আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তবুও বুড়িগঙ্গার তীরে

আছি ভালো কোনোরকমে।

বুড়িগঙ্গার কথা তো আর নতুন করে বলার কিছু নেই.ঢাকার গর্ব এককালের ঐতিহ্যবাহী এই নদী তার বুকে দূষিত পানি নিয়ে এখনো বয়ে চলেছে. এখন এখানে মাছের পরিবর্তে ভেসে ওঠে পলিথিন, বয়ে চলে ময়লা আবর্জনা.পানির রং হয়ে উঠেছে কালো, ঢিল মারলে ফেনা ওঠে. বুড়িগঙ্গা নদী সংলগ্ন এলাকার মানুষ ঘরে বসে নদীর হাওয়ার সাথে হাওয়ার সাথে বয়ে আসা ফ্রী দূর্গন্ধও পায়. নদীর পাড়ের দরিদ্র জনগোষ্ঠী নদীকে মাধ্যম ধরে তাদের জীবন এগিয়ে নিচ্ছে. মানুষ আর কি করবে? অবসর সময় কাটানোর জন্য এখানেই এসে জমায়েত হয়. বিকেল বেলায় নদীর পাড়ে বসে কিংবা নৌকায় চড়ে সূর্যাস্ত দেখে তাদের সময় কেটে যায়. আর সঙ্গে তো থাকেই বাদাম-বুট, মুড়ি-চানাচুর. নদীর খোলা হাওয়া বলে কথা, হোক না দূর্গন্ধ? মজাই আলাদা. এমনটা আমার নয় নদীতীরে আসা কয়েকজন মানুষের কথাবার্তা থেকে বোঝা গেল. আমার অবাক লাগে এই পানিতে মানুষ এখনো গোসল করে কিভাবে! আমার তো মনে হয় কোন অনভ্যস্ত মানুষ এই বুড়িগঙ্গায় গোসল করলে চর্মরোগ তো হবেই এবং তার সাথে ২-৩ মাসের ডায়রিয়া ও কলেরা বিশেষ ছাড়ে প্রাপ্ত হবে. তবে আমি নিজে প্রায়ই বুড়িগঙ্গার পাড়ে যাই. যতযায়ই হোক না কেন আমার কিন্তু এই পরিবেশেও খুব একটা খারাপ লাগে না. বুড়িগঙ্গার ময়লা পানি দেখতে যাই না, যাই নদীর পাড়ে বসে যত দূরে চোখ যায় তত দূরে তাকিয়ে থাকতে. ভালোলাগে হয়তো এজন্য যে আমার এই তাকিয়ে থাকা আমার সপ্নের মতোই সীমাহিন.

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।