ডিয়ার লিসেনার আমি আবার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আজ আমি আপনাদের অনেক কিছু জন্য প্রেজেন্ট করব। সো আপনারা খেয়াল করুন. . . . . . . .ইত্যাদি ইত্যাদি। এফএম রেডিও কিংবা টেলিভিশন চ্যানেলে আজকাল হরহামেশাই এ ধরনের কথা শোনা যায়। শুধু তাই নয় ভুল উচ্চারণ এবং আঞ্চলিকতায় ভরপুর বাংলা ভাষার ব্যবহারের ব্যাপকতা দেখা যাচ্ছে ইদানিংকার গণমাধ্যমে।
যেহেতু গণ্যমাধ্যমে যাই প্রচার করা হোক না কেন্ তা দেশের সব অঞ্চলের জন্য প্রচার করা হয়, সেহেতু কোন বিশেষ অঞ্চলের ভাষা ব্যবহারের কারণ কী থাকতে পারে? শিক্ষিত লোকেরা কী সব অঞ্চলের মানুষের উপযোগী করে তার লেখা বা পরিবেশনা তৈরী করার ক্ষমতা রাখেন না? অনেককেই প্রমিত বাংলার প্রতি বিষোদগার করতে দেখা যায়। কিন্তু প্রমিত বাংলা ছাড়া সারা দেশের মানুষের উপযোগী কোন কিছু তৈরী করা কি সম্ভব? জনস্বার্থের জন্য তৈরী বিভিন্ন প্রচারমূলক নাটিকাগুলি সব সময় একটি বিশেষ অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষায় তৈরী করা হয়। টেলিভিশন চ্যানেলগুলির বিভিন্ন টকশো কিংবা ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে উপস্থাপক বাংলা ইংরেজি মিশিয়ে এক ধরনের খিচুড়ি ভাষায় কথা বলেন। এর কারণ কী? তারা কি বাংলা বা ইরেজি কোন ভাষাই ঠিকমত জানেন না? অন্যদিকে রয়েছেন ফারুকীর মত নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি শিক্ষিত তরুণ-তরুণীর মুখে যে সংলাপ তুলে দিয়েছেন তা বাংলা ভাষার কোন রূপ-চলিত না আঞ্চলিক? আঞ্চলিক ভাষা হলে কোন অঞ্চলের? দেশে বেসরকারী স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলি চালু হওয়ার আগে বিটিভিতে যে নাটকগুলি প্রচার করা হত তা বেশিরভাগেই ছিল শুদ্ধ বা প্রমিত চলিত বাংলা ভাষার ব্যবহার।
সেই নাটকগুলি কি এখনকার নাটকগুলির চেয়ে কম উপভোগ্য ছিল? আমাদের গণসাধ্যমগুলির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলি আমাদের ভাষার উন্নতির জন্য না অবনতির জন্য? প্রশ্নটি সবার জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।