শারদশশীর অনন্ত অপেক্ষায় তোর চোখের সবুজ রঙ আকাশনীল হয়ে গেলে ঠিক ধরে নিস আমি হারিয়ে গেছি ঘাসেদের দলে...
আমরা বাংলাদেশী। আমরা প্রকৃতিগত ভাবেই সদালাপী, পরহিতকারী, অভিমানী, আত্নবিমুখ ইত্যাদি।
দেশের জন্য জীবন দিয়েছি, স্বাধীনতা অর্জন করেছি, এ নিয়ে আমাদের গর্বের শেষ নেই।
আমরাই বিশ্বে একমাত্র জাতি যাদের কে স্বাধীনতার জন্য এত বড় মুল্য দিতে হয়েছে।
কিন্তু, আমাদের এই প্রজন্মের সন্তান যারা, তারা সঠিক ভাবে আমাদের এ গর্বের ইতিহাস জানে কিনা, তা নিয়ে আমাদের মোটেও মাথা ব্যাথা নেই।
আমরা তো কেবল একের পর এক ইতিহাস বিকৃত করে চলেছি।
অথচ নিজের পাওনা আদায় করতে আমরা সিদ্ধহস্ত। নিজের লাভের জন্য কারও সর্বনাশ করতেও আমাদের বিবেকে বাধে না। কিভাবে বাধবে? বিবেকটাই তো বিসর্জন দিয়ে ফেলেছি আমরা।
একবারো কী আমরা ভেবে দেখি, দুর্নীতি আসলে আমরা কার সাথে করি? কার বিপদ দেকে আনি? কার পণ্যদ্রব্যে ভেজাল মেশাই? উত্তর একটাই, নিজেদের।
এটা কি আমরা জানি, না জেনেও না জানার ভান করি? কখনো কি ভাবি আগামী প্রজন্মের জন্য কী অনিশ্চিত ভবিষ্যত রেখে যাচ্ছি?
না, ভাবি না, ভাবার প্রয়োজন বোধ করি না।
অসহায় জীব-জন্তুর কষ্ট দেখে আমদের চোখে পানি আসে, কিন্তু সামান্য সম্পদের লোভে নিজের ভাই কে খুন করতেও আমাদের হাত কাপে না।
আমরা কী দিলাম তা কখনই হিসেব করিনা, শুধু কি পেলাম তার হিসেব করি। দিন দিন বাড়ছে আমাদের চাহিদা, সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দূর্নীতি। ক্রমাগত দেশটা কে শতছিন্ন করে চলেছি আমরা।
প্রশ্ন জাগে, মুক্তিযোদ্ধারা কিসের আশায় যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন?
কোন দেশই নিজে নিজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়না। নাগরিক হিসেবে আমাদের দ্বায়িত্ব দেশের উন্নয়ন এ অংশ নেয়া। অথচ আমরা কি করছি? চোখের সামনে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হচ্ছে, আমরা চুপচাপ দেখছি, কখোনো নিজেরাই অংশ নিচ্ছি তাতে। ! খুন, ছিনতাই, ধর্ষণ হচ্ছে, আমরা চেয়ে চেয়ে দেখছি। এরপর হঠাৎ একদিন বেনিয়াদের হিংস্র থাবা পড়বে আমাদের পরিবারের ওপরেও।
সেদিন ও আমরা চুপ করেই থাকবো। হয়ত দু ফোটা চোখের জল ফেলবো।
আমরা ধরেই নিয়েছি যে আমাদের পক্ষে সহ্য করা ছাড়া অন্য কিছু করা সম্ভব নয়। ব্লগে দেশ দরদি দুটো লেখা পোস্ট করে আর হৃদয়গ্রাহী কিছু মন্তব্য করেই আমরা খালাস। দেশপ্রেমের গল্প শুনে আমাদের চোখে পানি এসে যায়, অথচ কখনও ওরকম একটা গল্পের অংশীদার হতে চেষ্টা করিনা আমরা।
একটু ভেবে দেখি, যারা দুর্ণীতি করছে তারা সংখায় কতজন? ১৫ কোটি মানুষের এই দেশে বড়জোড় ২-৩ কোটি। তবে এ সংখা দিন দিন বেড়েই চলেছে। একটু একতাবদ্ধ হলেই কিন্তু আমরা আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ কে ধ্বংসের হাত থেকে বাচাতে পারি। কিন্তু এই একতার বড় অভাব আমাদের ভেতর।
আমরা দিনবদলের স্বপ্ন দেখি, কিন্তু কিভাবে দিনবদল হবে সেটা জানিনা!
বিশ্বাস হচ্ছেনা?
এই মুহুর্তে আমি যদি সামনে এসে দাড়াই, আমি জানি, আমার পেছনে এসে কেউ দাঁড়াবে না।
কী, আমি ঠিক বলিনি?
ছবিটি প্রতীকী। এভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে কবে আমরা মাথা উচু করে দাড়াতে পারবো???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।