আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফাসিঁ কার্যকর হওয়ার পর জাতির কতভাগ দায়মুক্তি ঘটেছে?

একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।

বহুল কাঙ্কিত বিচারই হয়েছে। একটি প্রায় পুরো পরিবারকে হত্যার সঠিক বিচার এবং বিচার কার্যকর হয়েছে। যা এ দেশের অগণিত মানুষের চাওয়া পাওয়া ছিলো। অনুমিতই ছিলো যে ব্লগে এটা নিয়ে আজকে জমে উঠবে।

তাই হয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে আমিও খুব স্নায়ুচাপে ছিলাম যখন ছোট ভাই বদরুল জানালো যে, আজকেই রায় কার্যকর হবে। তবে এই ভেবে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ দেই মনে মনে যে, সাধারণ জনগণ কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই ফাঁসির রায় কার্যকর করা। তাতে অনেক শংকা দূর হয়েছে। কারণ এটা যেনোতেনো কোন মামলার রায় কার্যকর না।

এটা একজন রাষ্ট্রনায়কের হত্যার বিচারের কার্যকর! এটা হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালীর হত্যার বিচারের কার্যকর। এটা একটা প্রায় পুরো পরিবার হত্যার বিচারের কার্যকর। তাই কিছুটা ভয় বা শংকা মনে ছিলো অপরাধীদের শক্তি নিয়ে। এনিওয়ে মূল প্রসঙ্গ থেকে সরে আসার জন্য দুঃখিত। ব্লগে মোটামুটি সবাইকে একটা কথা বলতে দেখছি যে এই রায় কার্যকরের মাধ্যমে জাতি অর্ধেক কলংকমুক্ত হলো।

তাহলে দাঁড়ালো যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং কার্যকরের মাধ্যমে বাকি অর্ধেক কলংকমুক্ত হবে জাতি। আদৌও কি তাই? ৭ কোটি মানুষের চোখের পানি। ত্রিশ লক্ষ শহীদের জীবন এবং তিন লক্ষ মা-বোনদের ইজ্জতের দাম কি তাহলে এতোই তুচ্ছ? আমার কাছে মনে হয়েছে গুণ ভাগের হিসেবে এখনো জাতি সিকিভাগও দায়মুক্ত হয়নি। এখনো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। শুধু এটুকু জানি যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার করতে হবে।

তাহলেই জাতি শতভাগ দায়মুক্ত হবে। সেটার প্রত্যাশায় রইলো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.