আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একুশের বিশেষ ছোট গল্প, 'প্রতিবন্ধকতার বেড়াজাল পেরিয়ে'

অকর্মা, ভীতু, কাপুরুষ উৎসর্গ - যুদ্ধ অপরাধীদের ফাসির দাবিতে আন্দোলনরত সকল সৈনিক। সৌরভ সাহেবের মনটা আজ ভীষন খারাপ। বিছানায় অনেক এদিক সেদিক করেও শেষ পর্যন্ত তিনি ঘুমাতে পারলেন না। অথচ শোবার আধা ঘন্ঠা আগে তিনি বেশ কয়একটি ডাইজিপাম খেয়ে বিছানায় গিয়েছিলেন। চিৎ হয়ে শোয়া অবস্থায় বিছানার বাম পাশটির ফাঁকা জায়গাটিতে হাত পড়তেই তিনি চমকে উঠলেন, একটু সামলে উঠতেই মনে পড়ল রুপা প্রায় ছ‍‍‌’মাস তার সাথে এক ঘরে থাকেনা।

যদিও তার সাথে এক ঘরে না থাকার ব্যাপারে তিনি কোন কারন খুজে পাননি। রুপা শুধু একদিন বলেছিল- -এ রকম একজন গ্রাম্য ক্ষাত লোকের সাথে এক বিছানায় শুতে আমার শরীর ঘিনঘিন করে । সেদিন তিনি শুয়ে শুয়ে একটা ফান ম্যাগাজিনে ডুবে ছিলেন। একবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখেছিলেন রাত এগারটা বাজে। ঘড়ি দেখে তিনি আবারো পড়াই মনযোগ দিলেন।

ব্যাপারটি তাকে সেদিন খুব একটা নাড়া দিতে পারেনি কারন তিনি জানতেন রুপা এই কাজটি একদিন করবেই। শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। ম্যাগাজিনটি পড়তে পড়তে তিনি আশ্চর্য ভাবে লক্ষ করলেন যে ফান ম্যাজিন পড়ে তিনি বিরক্ত বোধ করছিলেন সেটি পড়ে তার অকারনে হাসি আসছে, সে রাতে তার ঘুমও খুব ভাল হল। পরদিন নাস্তার টেবিলে জব্বারের মাকে জিজ্ঞাসা করে জানলেন, রুপা খুব সকালেই নাস্তা করে বের হয়ে গেছে। দীর্ঘ শ্বাস গোপন করে টুকটাক কিছু মুখে দিয়ে তিনি উঠে পড়লেন।

নিজের রুমে এসে একটা সিগেরেট জ্বেলে মনে মনে ভাবলেন, কি এমন কাজ যে প্রতিদিন এত সকালে তাকে বাসা থেকে বেরুতে হবে, আবার ফিরবেতো সেই রাত দশটায় ! তাকে দেবার মত কোন সময় রুপার নেয়, এতে অবশ্য সৌরভ সাহেবের কোন অভিযোগ বা ক্ষোব নেয় বা এ নিয়ে কখনো কোন অনুযোগও তুলেননি রুপার কাছে। কিন্তু তাদের একমাত্র মেয়ে এশা.........। স্ট্যান্ডার্ড ফাইভে পড়ে এশা, এই বয়সে সে তার মাকে অনুকরন করা শিখে গেছে খুব ভালোভাবেই। বাড়িতে যতক্ষন থাকবে শুধু সাজগোজ আর মিউজিক সিসটেমে হাই ভল্যিয়মে গান শোনা। এ নিয়েও সৌরভ সাহেব কোন দিন রুপার সাথে কথা বলেননি কারন জানতেন বলে লাভ হবেনা।

রুপা অনেকটা জোর করেই তাকে ইংরেজী স্কুলে ভর্তি করিয়েছিল। সৌরভ সাহেব মাঝে মধ্যে এয়ো এখেন রুপা প্রায়ই গাদা গাদা প্রশাধন সামুগ্রী, সিডি এই সব মেয়েকে এনে দিচ্ছে। তিনি শুধু এ সব দেখেন আর দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। উনি খুব ভালরেই জানেন বলে কোন লাভ হবে না বরং রাতের বেলা চিৎকার চেচামেচি করে বাড়ির সব কাজের লোকদের কাছে তাকে আবারো হাসির পাত্র হিসেবে তুলে ধরবে। তার বারো বছরের মেয়েটা এই বয়সে আস্তে আস্তে বিপথে যাচ্ছে অথচ তিনি কিছুই করতে পারছেন না।

এই ভাবনাটা ইদানিং তাকে কুরে কুরে খায়। এই সব ব্যাপার নিয়ে একদিন রুপাকে বলতেই সে ধেই ধেই করে রেগে উঠে, -মেয়ে কি তোমার একার ? মেয়ের জন্য মায়া কান্না দেখাতে এসনা বলে দিলাম। মেয়ে আমার আমি বুঝব কিসে ওর মঙ্গল আর কিসে অমঙ্গল হয়। নিশ্চয় কোন ক্ষ্যাতের কথায় ওকে ক্ষ্যাত হিসেবে বেড়ে উঠতে অন্তত মা হিসেবে আমি তা করতে দিতে পারিনা ! ঢং ঢং করে পুরোন দেয়াল ঘড়িটা বারো বার বেজে জানিয়ে দিল রাত এখন বারোটা। সৌরব সাহেব শুয়ে শুয়ে বাচ্চাদের মত এক দুই তিন এভাবে ঘড়ির ঘন্ঠার শব্দ গুনলেন।

বারোটা শেষ হলে তিনি বিছানা থেকে উঠে পড়লেন। সিগেরেটের প্যাকেট, লাইটার এবং ফ্রিজ থেকে এক বোতল পানি নিয়ে বেলকুনিতে আসলেন। রকিং চেয়ারটা এক কোনে রাখা আছে, ওটাকে টেনে ব্যালকুনির মধ্যেখানে নিয়ে এলেন, রুমে গিয়ে একটা সাইড টেবিল এনে চেয়ারের পাশে রেখে তার উপর সিগেরেটের প্যাকেট, লাইটার ও পানির বোতলটি সাজিয়ে রাখলেন। চেয়ারে বসে সামনে গ্রিলের বাইরে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলেন। শহরের এদিকটা অনেকটা নির্জন।

অভিজাত এই আবাসিক এলাকার জমির আকাশ ছোঁয়া দামের কারনে আশপাশে বাড়ি ঘর তেমন একটা হয়নি, সৌরভ সাহেবের ডান দিকের প্লটটি এখনো ফাঁকাই পড়ে আছে বামদিকে একটা ছয় তলা বাড়ি হয়েছে এছাড়া তার বাড়ির সামনে একটা হাই রাইজ বিল্ডিং অনেকটা দৈত্য দৈত্য ভাব নিয়ে দাড়িয়ে আছে। সৌরভ সাহেব অত্যান্ত দক্ষ হাতে একটা সিগেরেট জ্বাললেন। সামনের দিকে চেয়ে কিছুটা অবাক হলেন তিনি, এত উঁচু একটা বিল্ডিং অথচ কেমন অন্ধকার হয়ে আছে। অল্প কয়েকটা জানালা দিয়ে আলো আসছে। হয়ত কোন ছাত্র বা ছাত্রি রাত জেগে পরীক্ষার পড়া মুখস্ত করছে অথবা কোন দম্পতী একে অন্যের ভালবাসা আদায়ে ব্যাস্ত।

হঠাৎ করে সৌরভ সাহেবের বুকটি হু হু করে উঠে, এক সময় কি দুর্দান্ত প্রেম ছির রুপার সাথে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বার সময় ক্লাস ফাকি দিয়ে কতনা জায়গায় দুজনে বসে থেকেছে। ক্যাফেটেরিয়া, শহীদ মিনার, ইবলিশ চত্তর আর একটু শাহস বাড়ার সাথে সাথে সায়েন্স বিল্ডিং এর পেছনে বসে প্রেম করেছে, প্যারিস রোড দিয়ে হাত ধরাধরি করে হেটেছে কতটা সময়, কখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে সেদিকে কারো খেয়াল থাকেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন অনুষ্ঠান বা যে কোন জাতীয় দিবসগুলো তারা এক সাথে আয়োজন করে উপভোগ করত। হাতে সিগেরেটের আঁচ লাগতেই সৌরভ সাহেব দেখেন সিগেরেটের আগুন ফিল্টার পর্যন্ত চলে এসেছে।

সিগেরেটটি দুরে ছুঁড়ে ফেলে বোতল থেকে একটু পানি খেয়ে আরেকটা সিগেরেট ধরিয়ে আবারো বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় গুলিতে ফিরে যান তিনি। খুব মনে পড়ে সে বার বসন্ত উৎসবের কথা। রুপা আগের দিনই সব পরিকণ্পনা করে সাজিয়ে রাখে কখন কি করবে অথচ সময় মত হল গেটে পৌছিয়ে সেদিন রুপাকে পায়নি সৌরভ। এক ঘন্ঠা বসে থেকে শেষে একটা চিঠি লিখে রুপার এক বান্ধবীর কাছে রেখে আসে। চিঠিটির প্রতিটি বাক্য সৌরভের একনো মনে আছে।

নিজের স্মৃতী শক্তিকে আবারো বাজিয়ে নিতে মনে মনে আওড়াতে থাকেন ভালবাসার নীল রং দেখিনি কখনো। নীল দেখেছি যা জীবনে তার পুরোটা কষ্টের। ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে বড় জোর একতলা ছাদ ছোঁবার ইচ্ছাটা দমন করতে পারিনা কিন্তু আকাশ ছোবার স্বপ্নতো প্রশ্নই আসেনা। আর তাই বাশুন্তী রঙা শাড়ী না হোক অন্য যে কোন আটপোরে শাড়ীতে আজ তোমায় দেখব কল্পনা করেছিলাম, বাশুন্তী উৎসবের চেয়ে তোমাকে দেখবার আগ্রহটি মূলত অনুপ্রানিত হয়েছিলাম। তোমাকে না দেখে কষ্ট হয়েছে খুব তবে সে কষ্ট ক্ষমা করলাম কিন্তু এতক্ষন ধরে লেডিজ হলের সামনে বসিয়ে রাখার জন্য তোমার শাস্তি অনিবার্য।

ও হ্যাঁ তোমার জন্য ফুল নিয়ে এসেছিলাম, সেই ফুল কুচি কুচি করে ছিড়ে ফেলেছি এবং সেখান থেকে একটা বিশ্রি পোকা বের হয়েছে। শাস্তির কথা মনে রেখ ! সৌরভ সাহেব হাসেন মনে মনে, নিজের স্মৃতী শক্তির প্রশাংসা করেন আপন মনে। হাতের সিগেরেটটি কখন শেষ হয়েছে খেয়ালই করেননি, আরেকটি সিগেরেট জ্বেলে মেলাবার চেষ্টা করেন সেদিনের সেই রুপা ও আজকের এই রুপাকে । যে রুপা এক সময় তার সিগেরেট খাওয়া সহ্য করতে পারত না সেই রুপা এখন তাকে মদ না খাওয়ার জন্য ক্ষ্যাত বলে। খুব কষ্ট হয়েছিল সেদিন, যেদিন এক পার্টি থেকে ফিরে অনেক রাতে রুপা চিৎকার করে উঠে, -সবার সাথে একটু ডিংস নিলে কি এমন মহা ভারত অশুদ্ধ হত শুনি?’ রুপার কথায় খুব কষ্ট হলেও নির্বিকারে হজম করতে হয়েছিল তাকে।

পানির তৃষ্ণা পেতেই বাস্তবে ফিরে আসেন তিন। বোতলে মুখ দিয়ে কয়েক ঢোক পানি খেয়ে সামনের বিল্ডিং এর দিকে চায়লেন তিনি, এখন সব লাইট বন্ধ, হয়ত আশ পাশের সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। শুধু তিনি জেগে আছেন একাকি, তাও আবার তিক্ত অতীত ও কিছুক্ষন আগের এক জ্বালাময় ঘটানাকে স্বরন করে ! মনটা আবারো প্রচন্ড খারাপ হল। রুপার সমস্যাকে এই চোদ্দ বছর ধরে দেখতে দেখতে অনেকটা গা সওয়া হয়ে গেছে কিন্তু.................. সৌরব সাহেব শার্টের অস্তিন দিয়ে চোখ মুছলেন। কয়েক ঢোক পানি খেয়ে আরেকটা সিগেরেট জ্বাললেন।

হঠাৎ করে বড় অসহয় মনে হতে লাগল নিজেকে, ঠিক যেমন খাঁচায় বন্দি কোন পাখি । হয়ত এই মুহুর্তে এই বাড়ি ছেড়ে দুরে কোথাও চলে গেলে একটু শান্তি হত। সৌরভ সাহেব আবারো সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া ঘটনাটির কথা চিন্তা করেন, তার বারো বছরের একমাত্র মেয়ে এসে তাকে প্রশ্ন করল, -ড্যাডি আজ মিস বলেছে কাল একুশে। এ জন্য আমাদের প্রভাত ফেরিতে নিয়ে যাবে। মেয়ের এই কথায় তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন কারন তিনি প্রতি বছরই যান, একা।

রুপা বলে, -শীতের এত সকারে খালি পায়ে হাঁটার কোন মানে হয় ! সৌরভ সাহেব ভাবলেন এবার তিনি মেয়ের সাথেই যাবেন, তিনি অত্যান্ত খুশি হয়ে বললেন, -বেশতো মা, যাবে -কিন্তু ড্যাডি আমি যে যাব কিন্তু প্রভাত ফেরিটা জিনিস আর একুশের মানে কি ? বল না ড্যাডি, প্লিজ সৌরভ সাহেব একে বারে পাথর হয়ে যান মেয়ের কথা শুনে। সৌরভ সাহেবের বাবা একজন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা। ৭১ এ তিনি অত্যান্ত দাপটের সাথে যুদ্ধ রত অবস্থায় পাক হানাদার বাহীনির হাতে শহীদ হন এ ছাড়া তার দাদা একজন ভাষা সৈনিক। ভাষার জন্য লড়তে গিয়ে উনি দীর্ঘ সময় কারা ভোগ করেছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কখনো তারা আপোষ করেননি।

সেই দেশ প্রেমিক পরিবারের ওয়ারিশ হয়ে তার মেয়ে জানেনা একুশে কি, প্রভাত ফেরি কি ! সৌরভ সাহেব তার চৌদ্দ বছরের দাম্পত্ত কলহ ভুলে যেতে পারেন কিন্তু এক মাত্র মেয়ের এমন কথা কি ভাবে ভুরবেন ! সেই সন্ধ্যা থেকে তিনি অনেক ভেবেছেন, এ দোষ কার ? তাঁর একার ? কিন্তু তিনিতো পরিস্থিতির স্বীকার মাত্র। মেয়েকে সাথে নিয়ে যে দু'দন্ড কথা বলবেন সে সময় নিজের অফুরন্ত থাকলেও মেয়ের নেয়। স্কুল, কোচিং ছাড়া বাড়িতে যতক্ষন থাকে তার মাঝে তিনি ৪/৫ জন শিক্ষককে আসতে যেতে দেখেন। এছাড়া সঙ্গীত এবং নাচেরতো আলাদা শিক্ষক আছেনই। সৌবভ সাহেব কিছুতেই কিছু মেলাতে পারছেন না, তবে এর জন্য কি রুপা দায়ি ? আবার মনে মনে ভাবেন, মা হিসেবে রুপা যদি দায়ি হয় তবে বাবা হিসেবে তিনিও দায়ি থাকেবেন, নাকি এশার ইংরেজী স্কুল দায়ি তাকে এ শিক্ষা না দিতে পেরে , নাকি স্কুলের শিক্ষক কিনবা মিসরা ! নাকি বর্তমান পরিবেশ, সমাজ ! সৌরভ সাহেবের মাথা এলোমেলো হয়ে যায়।

রাতে কিছই খেতে পারেননি, শোবার আগে চারটি ৫ মিলিগ্রামের ডায়জিপাম থেয়েও ঘুমুতে পারলেন না। মাথা থেকে কিছুতেই দুর করতে পারছেন না ব্যাপারটা। নিজে যাকে পছন্দ করে বিয়ে করেছিলেন সেই পছন্দের মানুষ বিয়ের পরে সম্পুর্ন অন্যরুপ প্রকাশ করল অথচ এই চৌদ্দ বছরে কোন বিষয়ে তিনি রুপার সাথে কোন প্রকার বিরুদ্ধাচারন করেননি। রুপার সব অস্বাভাবিক কাজকে তিনি স্বাভাবিক হিসেবে মেনে নিয়েছেন। তবে কোন অবস্থাতেই মেয়ের এই কথাকে তিনি স্বাভাবিক হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না ! মেয়েতো রুপারো, সে যদি না চায় একুশে কি মেয়ে তা না জানুক তবে এটা তাদের মা মেয়ের ব্যাপার, এখানে তার কি কিছু করবার আছে ? অনেক চিন্তা করে কথাটির কোন জবাব বের করতে পারলেন না তিনি।

গালাটা আবারো শুকিয়ে গেছে, বোতলটা তুলতেই বুঝলেন খালি। একটা সিগেরেট জ্বালালেন। দুর মসজিদ থেকে আযানের সুর ভেসে আসছে। মুয়াজ্জিনের কন্ঠে তখন করুন আকুতি -আসসালাতু খাইরুম মিনান নাওম’ সৌরভ সাহেব তার আধা খাওয়া সিগেরেটটি ছুড়ে ফেললেন, মুয়াজ্জিন সাহেবের আযানের মধ্যে তিনি তার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, আর পেছনে নয় এবার সময় সামনে এগুনোর তিনি তার চৌদ্দ বছরের দাম্পত্য কলহ মুখ বুজে হয়েছেন।

সয়েছেন মেয়ের ইংরেজী স্কুলে পড়া সহ অনেক অন্যায় আব্দার। একমাত্র মেয়ের বাংলা ভাষা লিখতে পড়তে না জানার কষ্ট সয়েছেন কিন্তু আর কত ! তার এক মাত্র মেয়েকে আজ বাংগালী সংস্কৃতি ও চেতনা পরিপন্থি চারদিকের হাজারো বিজাতীয় অপ সংস্কৃতির হাত থেকে বাঁচাতে হবে, যে কোন কিছুর বিনিময়ে ! সৌরব সাহেব আজ সারাদিনে সব কর্মসূচী ঠিক করে রাখলেন, আজ তার আনেক কাজ ! আকাশ আরেকটু ফর্ষা হলেই নেমে যাবেন বাগানে। বড় বড় গোলাপ গুলি তুলে প্রথমে যাবেন শহীদ মিনারে। ওখান থেকে যাবেন দাদুর কবর জিয়ারত করতে। সেখান থেকে বাসায় ফিরেই............।

হ্যাঁ, এই তো সময়। সৌরভ সাহেবের নিজের প্রতি ঘেন্নায় মন ভরে গেল, আশ্চর্য় কেন আমি এতদিন ধরে........ অবাক বিস্ময়ে তিনি চেয়ে থাকেন পূর্ব দিগন্তের দিকে ! -----------------২১/০২/২০০২ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।