বহুদিন পর, তাও প্রথম ইনিংসের ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে, ৩১১ রানের বিশাল ঘাটতির মুখে, একটি স্বপ্নিল দিন কাটালো বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট। যদিও দিন শেষ হবার একটু আগে দুই মহানায়কের বিদায়ে ম্বপ্নের তাল কেটে গেছে। আবারো আমরা বৈরী আম্পায়ারিংয়ের শিকার হলাম। জুনাঈদের ব্যাটে বল লাগার কোন আভাস পেলাম না। তবু তিনি আউট বিলি বাউডেনের কমিক আঙুলে।
বাংলাদেশ দিন শেষে ৩ উইকেটে ২২৮। পিছিয়ে আছে ৮৩ রানে। সামনে আছে আস্ত দুটি দিন।
আজ আমাদের অর্জনের ঘরে অনেক কিছু আছে। প্রথম সেশনে ১ আর দ্বিতীয় সেশনে ২ উইকেট হারালাম।
৬০ ওভার খেলে মাত্র ৩ উইকেটে ২২৮ অনেক বড়ো অর্জন।
তামিম-জুনাঈদ জুটিতে প্রথম আমরা কোন টেস্টে পেলাম ২০০ রানের পার্টনারশিপ। এটা এখন যেকোন উইকেট জুটিতে সব দেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। আগের রেকর্ড ছিলো ১৯১ রানের। আশরাফুল-মুশফিক জুটির শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
তামিম করলেন ক্যারিয়ারসেরা ১৫১ রান। ১০১ বলে ১০২ রান করে তামিম করলেন বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরী। আগের রেতর্ড ছিলো মুশফিকের ১১২ বলে। এর আগের টেস্টে এই ভারতের বিপক্ষেই চট্টগ্রামে মুশফিক এ রেকর্ড করেছিলেন। এই ১৫১ বাংলাদেশের পক্ষে কোন ওপেনারের সর্কোচ্চ রান।
এটি বাংলাদেশের পক্ষে কোন ব্যাটসম্যানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। সর্বোচ্চ ১৫৮ আশরাফুলের ভারতের বিপক্ষে চট্টগামে করা।
কামব্যাক টেস্টে জুনাঈদ করলেন হাফ সেঞ্চুরী। দিলেন তামিমকে অসাধারন সহযোগিতা।
দুজনকেই জানাই প্রাণ ঢালা অভিনন্দন!
এখন ক্রিজে আছেন নাইটওয়াজ ম্যান শাহাদাত-২* আর আশরাফুল-২*।
লাঞ্চের পর খেলতে নেমে দলীয় ১৯ রানে আউট হন কায়েস। ৫ রানে কার্তিকের এক অসাধারণ ক্যাচের শিকার হন তিনি। দিনের শেষ দিকে দুভার্গ্যজনক আউট হন জুনাঈদ ৫৫ রানে। তামিম আউট ১৫১ রানে। ৩টি উইকেট নিলেন জাহির খান।
বাংলাদেশ-২৩৩ ও ২২৮/৩, ভারত-৫৪৪/৮ ডিক্লেয়ার্ড। সব মিলে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ৮৩ রানে।
কাল বাংলাদেশ নতুন করে নামবে। এখন দায়িত্ব আশরাফুল, সাকিব,মুশফিক, রিয়াদদের হাতে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ভারতকে আবার মাঠে নামতে হবে।
লিঙ্ক: http://www.hitcric.info/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।