আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুন্দরী প্রতিযোগীতা, নারী-স্বাধীনতা, পতিতাবৃত্তি

আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
সুন্দরী প্রতিযোগীতা, নারী-স্বাধীনতা, পতিতাবৃত্তি সবে শেষ হলো চ্যানেল আই'র সুন্দরী প্রতিযোগীতা। আমরা কিছু সুন্দরীকে পেয়েও গেলাম। অনেকের জন্য খারাপ লেগেছে অযথাই বাদ যাওয়ার কারণে, আবার ভালও লেগেছে পছন্দের কেউ টিকে গেছে বলে (আমি অবশ্য প্রবাসী হওয়ার কারণে কোন অনুষ্ঠানই দেখি নাই, তাতে কি দেশে থাকলে তো দেখতাম)। বিচারকরা কিসের ভিত্তিতে সুন্দরী বিচার করেছেন আল্লাহপাকই জানেন আর যারা এই অনুষ্ঠান দেখেছেন তারা জানেন।

তবে মানদন্ড আন্দাজ করা যায়। যেমনঃ বাহ্যিক সৌন্দর্য, শরীরের গড়ন, চোখ, ঠোঁট, বক্ষের উঁচু-নিচুতা, নিতম্ব। ধরলাম মানদন্ড এর একটাও না, তাহলে ঠিক আছে, এই মেয়েগুলোকে মানুষ বলে গণ্য করা হয়েছে। কিন্তু এর ৪০% ভাগও যদি ওই মানদন্ডের ভেতরে থাকে তাহলে কি বোঝা যাচ্ছে পাঠক!!!!!!! বোঝা যাচ্ছে "যোণকর্মে যে আমাকে সবচেয়ে বেশি মজা দেবে" আমি তাকেই নির্বাচন করলাম। ষ্টেজে কোন মেয়েকে তার "আবেদন" আছে বলতে সহজ ভাষায় যা বূঝায় তা হলোঃ "তোমার সাথে যোণকর্মে মিলিত হওয়ার জন্য অন্যদের ডাকতেছ"।

এই কথাটা হয়ত রাস্তার একটা পতিতাকেও আমি বা আপনি, কেউ বলার সাহস রাখি না। ভাবতে খুব কষ্ট লাগে, আমাদের এই বাংলাদেশেও এই অপসংস্কৃতি চলে আসছে। নিজের বোন বা মেয়ের খ্যামটা নাচ কিন্তু কারো ভাল লাগার কথা নয়। অথচ সেই অপসংস্কৃতি আমাদের মাঝে চলে আসছে। নিজে হয়ত নিজের এবং পরের প্রজন্মকে ফেরাতে পারব কিন্তু তারপরের গুলো যদি ওতে জড়িয়ে যায়!!!!!!! এবার এই মেয়েগুলোর ভবিষ্যত বলিঃ এরা কিছুদিন পর নাটক-সিনেমা করবে।

বলবে, "চরিত্রের প্রয়োজনে কম কাপড়ে আপত্তি নাই"। অবশ্য প্রতিযোগীতায় এসেই অনেকে সে ধারণা আমাদেরকে দিয়ে গেছেন। যাই হোক, অনেক মিথ্যা (!!!!) অপবাদের পর বিয়ে-সাদীও হবে। ৯০% ভাগের ঘর ৪/৫ বছরের মধ্যে ভেঙ্গে যাবে। তারপর ভরা যৌবণে শুরু হবে "একা থাকা"।

আল্লাহ্‌ জানেন সেই "একা থাকা" আসলেই "একা থাকা" কিনা। নানা রকম কথা শোনা যায়, অনেকে আবার তাদের ("একা থাকা") বাজার-দর, দিবা/রাত্রি যাপনের বিভিন্ন আইটেমাইজড রেইটও জানেন (স্যরি, কেউ প্রমাণ চাইলে দিতে পারব না) কিন্তু পত্রিকায় আসে না এসব ব্যাপার। সিনেমা-নাটক পাড়ায় ব্যাপার গুলো হয়তো ওপেন সিক্রেট। মিডিয়া কোনদিন সেগুলো বাইরে আনে না। ভাল মেয়ে যে নাই সে কথা বলব না।

আমাদের অপি করিম'র ভাগ্য খারাপ তাই একটা প্রতারকের হাতে পড়েছিল। তা না হলে সে হয়তো একা হইত না। আমাদের নারীবাদীরা কিন্তু এই মেয়েদের নিয়ে কোন কথা বলেন না। কোন্‌ এক অজানা কারণে যে তারা সুন্দরী প্রতিযোগীতার বিরুদ্ধে কোন কথা বলেন না তা বোধগম্য নয়। এই মেয়েগুলো যে পণ্য হয়ে যাচ্ছে, বাজারজাত হচ্ছে সেদিকে তাদের কোন খেয়াল নাই।

নাকি এই বেখেয়ালীপনাটা ইচ্ছাকৃত!!!!! অথচ কলামে, গোলটেবিলে, টক শো'তে এঁদের চাপাবাজিতে টিভি বন্ধ করে রাখতে হয়। যাই হোক, দেখেন, এই মেয়েগুলোরই কিন্তু আত্মসম্মানবোধ অনেক বেশি। কারও দ্বিতীয় বা তৃতীয় বউ হিসেবে নিজেকে কিন্তু জীবনেও মানবে না। অথচ দেদারসে নিজেকে বাজারে তুলে, অনেকের ভোগের বা ব্যবসার বস্তুতে পরিণত হচ্ছে।
 



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.