গল্পের রাজত্বে বসবাস করছি আপাতত
যাকে বলে কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন তাহাই হইলো ঢাকা ব্যাঙ্কের এটিএম বুথ। কেউ আধুনিক ব্যাকিং সম্পর্কে বিতশ্রদ্ধ হতে চাইলে নিশ্চিন্তে এই ব্যাংকে একাউন্ট খুলুন। বেছে বেছে এই ব্যাঙ্কে একদল অকর্মণ্য-বেয়াদপ নেয়া হয়েছে। কালেয়েন্টর সাথে ভাল ব্যবহার তাদের ধাতে নেই। তারা মনে করে, প্রত্যেকেই তারা বিরাট তালেবর।
এই তো গতকাল বনানী শাখায় গেলাম আমার এটিএম কার্ডটা ঠিক করতে। এতো পচা কার্ড যে চার মাস মানি ব্যাগে থেকে চিচিংফাক, মানে দুইতিন জায়গায় ফেটে গেছে! টাইট্যুই পরা এক বলদ বললো, কমপক্ষে এক মাস লাগবে এটিএম কার্ড রিপ্লেস বা রিপেয়ার করতে। যেই বললাম, এতোদিন লাগার কী কারণ স্ট্যান্ডার্ট চার্টাড তো দুই দিনে নতুন কার্ডই দেয়, জবাবে বললো, আমরা সময় নেই। কেন? আসলে আমাদের কার্ড ডিভিশনটা আলাদা। শেষ পর্যন্ত তর্কের এক পর্যায়ে বলেই ফেললো, আপনি কার্ড সেকশনে যান, হেড অফিসে, আমরা কিছু জানি না।
আমি একাউন্ট করেছি ঢাকা ব্যাঙ্কের বনানী শাখায় আর তারা আমাকে হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্ট দেখায়! আরও মজার ঘটনা হলো, ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে আমার বউয়ের কার্ড দিয়ে টাকা তুলতে গিয়ে দেখি বুথই নষ্ট। এটা অবশ্য কমন ঘটনা। হাতেগোণা দুচারটা বুথের মধ্যে অধিকাংশ সময়ই অধিকাংশগুলোই নষ্ট থাকে। একবার তো উত্তরার এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে দেখি, একাউন্ট থেকে টাকা কাটা গেছে, রিসিট এসেছে, কিন্তু টাকা আসে নাই। তখন একে চিঠি লেখো, তাকে ফোন করো, সে এক বিরাট ঝামেলার মধ্যে পড়েছিলাম।
অবশ্য পনের দিন পরে, টাকাটা একাউন্টে ফেরত আসে। কিন্তু এই পনের দিনে পনের হাজার টাকার চিন্তা কম করেও ত্রিশবার করেছি। তার জন্য জয়তু ফাঁকা ব্যাঙ্ক, আই মিন ঢাকা ব্যাঙ্ক।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, এতো কিছুর পরও কেন ঢাকা ব্যাঙ্কে একাউন্ট রেখেছি, বিধি বাম, বেতনটা কোম্পানি ওই ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই দেয়। আর সেইজন্যই তারা হয়তো বসদের শুধু খুশি রাখে, আমরা তুচ্ছ।
অতএব ভাইয়েরা আমার, বোনেরাও আমার, আপনারা দয়া করে ঢাকা ব্যাঙ্ককে নিরুপায় হয়ে গেলেও এটিএম কার্ড বুঝে শুনে ব্যবহার করবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।