oracle.samu@googlemail.com
বাংলাদেশ প্রধান মন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফরে সম্পাদিত ৩ টি চুক্তি নিয়ে বিশ্লেষন মূলক বেশ কিছু লেখা পড়েছি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এবং ব্লগে। অনেকেই এগুলর খারাপ-ভাল উভয় দিক নিয়েই আলচনা করেছেন, তবে আজ এগুল নয় অন্য একটি বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করব।
ভারতে স্বাক্ষরিত একটি সম্মতি পত্রে বাংলাদেশ নীতিগত ভাবে এই সম্মতি দিয়েছে যে, ২০১৪-১৫ সালে জাতিসংঘের পুনর্গঠন প্রকৃয়ায় স্থায়ী সদস্য পদে বাংলাদেশ ভারতকে সমর্থন দেবে বিনিময়ে ভারত ২০১৭ সালে ২ বছর মেয়েদি অস্থায়ী পদে বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে।
আাপাত নিরিহ দর্শন এই শর্ত, আমার মতে বাংলাদেশকে ধীর্ঘ সময়ের জন্য বিপদে ফেলতে পারে। আমি বলছি না বাংলাদেশ সমর্থন দিলেই ভারত জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য হয়ে যাবে।
কিন্তু ভারত যদি ব্রাজিল, জার্মানি কে পেছনে ফেলে জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য হয়েই যায় তবে তা বাংলাদেশের জন্য সমুহ বিপদের কারন হবে। আসুন করনগুল পয়েন্টাউট করি -
১। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতই একমাত্র দেশ যে সব চেয়ে বেশী বার প্রতিবেশী দেশের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। নিরাপত্তা পরিশদে ভারতের উপস্থিতি আরেকটি মিনি যুক্তরাষ্ট্র সৃষ্টি করবে।
২।
উদিয়মান শক্তি ভারত প্রতিবেশী দেশ সমুহে আর বেশি অর্থনৈতিক আগ্রাসন চালাবার কাজে নীতি নির্ধারনী ক্ষমতা ব্যাবহার করবে।
৩। দক্ষিন তালপট্টি, সমুদ্রসীমা, ছিট মহল ও অভিন্ন পানি সমস্যা নিরসনের শেষ আশ্রয় স্থল জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের হাত ছাড়া হবে।
৪। এই পদ ভারতের সামরিক শক্তি সাথে কূটনৈতিক শক্তকে আরও মজবুত করবে।
৫। একরোখা ভারত আরও আগ্রাসী হয়ে উঠবে।
বাংলাদেশকে যে খানে কূটনৈতিক ভাবে ভারতের বিপক্ষ শিবিরে থাকার (গোপনিয় ভাবে হলেও) কথা সেখানে আমরা তাদের প্রকাশ্য নীতিগত সমর্থন দিচ্ছি! এটা ত সবাই স্বিকার করেন যে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায়, জার্মানি, ব্রাজীলের চাইতে ভারত অনেক বেশি হুমকি সৃষ্টি করছে এবাং ভবিস্যতে করবে।
তাহলে আমরা কি জেনে-বুঝেই প্রতিপক্ষের হাতে মোক্ষম অস্ত্র তুলে দিচ্ছি, না কি এটা আমাদের নীতি নির্ধারকদের ইচ্ছাকৃত অসাবধানত?
আমাদের পররাষ্ট্র নীতি কি এতটাই নতজানু যে, সধারন বিচার-বুদ্ধিও লোপ পেয়েছে? না কি এটা আমাদের উর্বর মাথা ওয়ালা রাজনীতিবিদ-আমালদের নির্বুদ্ধিতার চরম বহি্ঃপ্রকাশ ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।