ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন,ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান। ইসলামী রাজনীতি ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইসলামী রাজনীতিকে বাদ দিয়ে পরিপূর্ন ইসলাম হতে পারেনা। আমরা পরিপূর্নভাবে ইসলামের হুকুম আহকাম পালনের জন্যই ইসলামী রাজনীতি বা ইসলামী আন্দোলন করি। এর পরও সংখ্যাগরিষ্টতার জোরে মুসলিম প্রধান বাংলাদেশ থেকে মহাজোট সরকার ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ থেকে ইসলাম ও মুসলমানদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন,রাজা গৌরগবিন্দ মুসলমানদের উপর ইসলাম বিরোধী সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার কারণে হযরত শাহজালাল (রহঃ) এদেশে আগমন করেছিলেন। আওয়ামীলীগ সরকার রাজা গৌরগবিন্দের ন্যায় বাংলাদেশ থেকে ইসলামী রাজনীতি ও ইসলামী শিা নিষিদ্ধ করে ইসলাম ও মুসলমানদেরকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র শুরু করছে। হযরত শাহজালাল রহ.এর কোটি কোটি উত্তরসূরীরা ইসলামী রাজনীতি ও ইসলামী শিা নিষিদ্ধ করে ইসলাম ও মুসলমানদেরকে নিশ্চিহ্ন করার আওয়ামী চক্রান্ত প্রতিহত করে ইসলামী রাজনীতি ও ইসলামী শিাকে সুসংহত করবে ইনশাআল্লাহ।
ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধের সরকারী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আইসিএম মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক আধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন,মহানগর সেক্রেটারী মোহাম্মদ আবু সাঈদ সিদ্দিকী, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কবির,দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলুল হক মৃধা,অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল আমিন খান ও মাওলানা নাজির আহমদ শিবলী প্রমুখ।
অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সা¤প্রতিক সময়ে ও ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতে রাজশাহী পলিটেকনিক কলেজে একজন ছাত্রকে জীবন দিতে হয়েছে। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা ধর্ষনের সেঞ্চুরী করে উৎসব করেছে। আওয়ামীলীগ নেত্রীকে একে ৪৭সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা সারাদেশে খুন,সন্ত্রাস,চাদাাঁবাজি,টেন্ডারবাজি করে,দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।
১৯৯৬-২০০১ শাসনামলে আওয়ামীলীগই প্রথম দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছে।
তিনি বলেন,স্বাধীনতার ৩৮ বছরে আওয়ামীলীগসহ ধর্মহীন রাজনৈতিক দলগুলো যে সন্ত্রাস,নিরীহ মানুষ হত্যা টেন্ডারবাজি,চাদাঁবাজি করেছে ইসলামী দলগুলো তার ১০০ভাগের একভাগ অপরাধ ও করেনি। বরং তারা সন্ত্রাস,চাঁদাবাজি,টেন্ডারবাজি,দুর্ণীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে, আদর্শ নাগরীক গড়ে তুলেছে। তার বড় প্রমান ১/১১ সরকারে সন্ত্রাস ও দুর্ণীতি বিরোধী অভিযান। ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করে আওয়ামীলীগ দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।