আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কক্সবাজারে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের দৃশ্য দেখল লাখো মানুষ

কবিতা/ গল্প/ উপন্যাস/ প্রবন্ধ/ অন্যান্য

বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে সেন্টমার্টিনের ছেঁড়া দ্বীপ পর্যন- বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের বিরল দৃশ্য দেখল লাখো মানুষ। শুক্রবার ছিল বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্ন স'ান থেকে প্রত্যক্ষ করেছে মহাজাগতির বিরল এই দৃশ্য। তবে পূর্ণ বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা গেছে কক্সবাজার থেকে দক্ষিণের সেন্টমার্টিন উপকূল পর্যন-। শুক্রবার বেলা ১২ টা ৪৪ মিনিটে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ যখন শুরু হয় তার আগে থেকেই কক্সবাজার সৈকতে বসে হাজার হাজার মানুষের মিলন মেলা।

কক্সবাজার সৈকতে পূর্ণ বলয়গ্রাস প্রত্যক্ষ করা গেছে ২ টা ৩০ মিনিটে। প্রায় সাড়ে ৪ মিনিট তা স'ায়ী ছিল। এই সময়ে সূর্য একটি ডায়মন্ড রিং এর আকার ধারণ করে। মধ্যে কালো প্রচ্ছায়া। সৈকতে উপসি'ত হাজার হাজার জনতা উল্লাস প্রকাশ করে বিরল এই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে।

অনুসন্ধিৎসু চক্র বিজ্ঞান সংগঠন কক্সবাজার সৈকতে আয়োজন করেছে বিশাল এলাকা জুড়ে পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প। সংগঠনের ৭১ জন কর্মী অত্যন- সুন্দর ও সুশৃঙ্খল ভাবে দর্শকদের সহযোগিতা করেছেন বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখতে। ক্যাম্পে ছিল প্রজেকশন টেলিস্কোপ ৫০টি, ৮ ইঞ্চি প্রতিসরণ টেলিস্কোপ (দেশের সবচেয়ে বড়), ৮ ইঞ্চি ক্যাসিগ্রেইন টেলিস্কোপ, বড় পর্দার এলসিডি প্রজেকশন কনরাডো সোলার টেলিস্কোপ। বড় পর্দার এলসিডি প্রজেকশন কনরাডো সোলার টেলিস্কোপ দিয়ে বিশাল পর্দায় বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের দৃশ্য দর্শকদের সরাসরি প্রদর্শন করা হয় এখানে। ক্লাবের কর্মীরা দর্শকদের সরবরাহ করে ১৫ হাজার সোলার ফিল্টার ফিল্ম।

বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুবায়ের আহমদ জানান, আমি কক্সবাজার এসেছি বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য। আসলাম এবং অনুসন্ধিৎস্য চক্র বিজ্ঞানের সাহায্য দেখতে পেলাম এ বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। জনসাধারণের মনে অনেক ভীতি ও কুসংস্কার আছে এ সূর্যগ্রহণকে নিয়ে। অনেকে বলে সূর্য গ্রহণের সময় কোন কিছু খাওয়া ঠিক না। কিন' এটি কু-সংস্কার।

আমি খাবার খেয়ে প্রমাণ করে দিলাম এটি একটি কু-সংস্কার। এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে প্রায় ৫ হাজার পর্যটক বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ প্রত্যক্ষ করেন। কিছু পর্যটর দ্বীপের দক্ষিণের ভূখন্ড ছেঁড়াদ্বীপে গেলেও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়। এই সময়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পর্যটকরা। সেন্টমার্টিনের আকাশও ছিল পরিস্কার কুয়াশামুক্ত।

প্রায় সাড়ে ৮ মিনিট ধরে পূর্ণ বলয়গ্রাস প্রত্যক্ষ করা গেছে দ্বীপের মনোরম পরিবেশে। বিজ্ঞান যাদুঘর সহ কয়েকটি সংগঠনের কিছু কর্মীও এখানে পর্যবেক্ষণে এসেছিলেন। পর্যটকদের সাথে স'ানীয় প্রায় ৯ হাজার অধিবাসীও আনন্দে বিষ্ময়ে প্রত্যক্ষ করে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের বিরল দৃশ্য। ডিসকাশন প্রজেক্টও ক্যাম্প স'াপন করেছিল এখানে। অনুসন্ধিৎসু চক্র বিজ্ঞান ক্লাব এর জ্যেতির্বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শাহজাহান মৃধা বেনু জানান, মূল কথা হলো আকাশের দিকে দেখুন এবং জ্যোতিবিজ্ঞান বিষয়ে মানুষকে আগ্রহী করে তোলা।

কারণ আমরা বলি এবং মনে করি মানুষের আগামী দিনের ঠিকানা মহাকাশ। মহাকাশ হচ্ছে সকল বিজ্ঞানের ওষুধি গাছ। আমরা মানুষের মনযোগটা যথাযথ থাকুন। পৃথিবীতে এর যথাযথ অগ্রগতি বিকাশ হচ্ছে। সেগুলো মানুষকে অবগত করা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।