আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার প্রিয় ছবি : টাইটানিক

গল্পের রাজত্বে বসবাস করছি আপাতত

মুক্তিকাল : ১৯৯৭ দৈর্ঘ : ১৯৪ মিনিট রঙ : রঙিন ভাষা : ইংরেজি দেশ : আমেরিকা চিত্রনাট্য ও পরিচালনা : জেমস ক্যামেরুন প্রযোজনা : জেমস ক্যামেরুন, জন লেন্ডন চিত্রগ্রহণ : রাসেল কার্পেন্টার সম্পাদনা : কনরেড বাফ, জেমস ক্যামেরুন, রিচার্ড এ হ্যারিস অভিনয় : লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও, ক্যাট উইন্সলেট, বিলি জেন, ক্যাথি বেটস, বিল প্যাক্সটন, গ্লোরিয়াস স্টুয়ার্ট, ফ্রান্সি ফিসার, বানার্ড হিল সঙ্গীত : ফ্রেড ফিশার, জেমস হর্নার কাহিনী সংক্ষেপ : গুপ্তধন সন্ধানী একটি দল ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজের খোঁজ করতে থাকে। তারা এক তরুণী চিত্রকলা খুঁজে পায়। বৃদ্ধা রোজ ডসন বলেন, ছবির ব্যক্তিটি তিনিই। বৃদ্ধা রোজের মুখ থেকে ফ্ল্যাশব্যাকে বাকী গল্পটা শোনা যায়। পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান, জাক-জমকপূর্ণ জাহাজ টাইটানিকের যাত্রী হয়েছিলো রোজ।

তার সঙ্গে ছিলো হবু স্বামী ক্যাল হকলি। জুয়া খেলায় একটি টিকেট কেটে এই বহুল আলোচিত জাহাজে ওঠার একটি মূল্যবান টিকেট পেয়ে যান চিত্রকর জ্যাক। জাহাজেই পরিচয় হয় জ্যাক ও রোজের। ক্রমশ সে পরিচয় প্রেমের দিকে পরিণতি নেয়। দরিদ্র এক চিত্রকর আর উচ্চবিত্ত রোজের অসম প্রেম ক্যালের নজরে পড়ে।

সে রোজকে চোখে চোখে রাখে। কিন্তু তারা লুকিয়ে দেখা করতে থাকে। এমনকি জ্যাক একদিন রোজের ন্যুড ছবিও আঁকে। যে জাহাজ কোনদিনও ডুববে না বলে কোম্পানি ঘোষণা দিয়ে ছিলো সেই জাহাজই সবাইকে হতবাক করে একটা বিশাল আইসবার্গের সাথে বাড়ি খেয়ে ডুবতে থাকে। জাহাজে পানি ঢুকতে থাকে।

লাইফ বোটে ওঠার জন্যে সবার কাড়াকাড়ি শুরু হয়। কিন্তু জ্যাককে রেখে রোজ কিছুতেই লাইফ বোটে উঠবে না। এদিকে জাহাজ ডুবতে থাকে। অবশেষে রোজকে অনেক বুঝিয়ে লাইফবোটে উঠানো হয়, জ্যাক সেই লাইফোটের কোনা ধরে সমুদ্রে ভাসতে থাকে। কিন্তু তীব্র ঠান্ডা কখন সে মরে যায় রোজ টেরও পায় না।

রোজ তার ভালবাসাকে হারিয়ে যেতে দেখে শীতল সমুদ্রের তলে। সেই হারানো ভালবাসা বৃদ্ধ রোজের কাছে ফিরে আসে অনুসন্ধানী ডুবরিদের উদ্ধার করা ছবির মাধ্যমে। বিশেষত্ব : টাইটানিক বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবসা সফল এবং জনপ্রিয় ছবি। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জাহাজকে কেন্দ্র করে চিরকালের অসম প্রেমকাহিনীকে জেমস ক্যামেরুন ভীষণ জাকজমকের সাথে চিত্রায়িত করেছেন। এ ছবির নির্মাণ কাল থেকে কড়া গোপনীয়তা রক্ষা করা হলেও, ছবি মুক্তির পর পরই একে নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠে।

বিগ বাজেটের এই ছবির শূটিং টেকিনিক থেকে এর সম্পাদনা, সঙ্গীত সবকিছুই আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে। টাইটানিক অস্কারে ১৪টি নমিনেশন পায়, একমাত্র অল এবাউট ইভ ছবিটি এতোগুলো নমিনেশন পেয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত ১১টি অস্কার পায় টাইটানিক। বিশেষ তথ্য : ১. স্টুডিও জ্যাকের চরিত্রে ম্যাথিও ম্যাকানিকে চেয়েছিলো, কিন্তু জেমস ক্যামেরুন ডি ক্যাপরিওকে নেন। রোজের জন্য গুয়েনিথ পালট্রোকে বলা হয়েছিলো।

২. নোভা আইসকটিয়ায় আইসবার্গ শ্যূট করার সময় গোপনীয়তা রক্ষা করতেই জেমস ক্যামেরুন সবাইকে বলেছিলেন, প্লেনেট আইস নামের একটি ছবির জন্য এ দৃশ্যগুলো ধারণ করা হচ্ছে। ৩. রোজের যে ছবিটি আবিস্কৃত হয়, সিনেমায় সেটি জ্যাকের আঁকা। কিন্তু বাস্তবে এ ছবিটি একেছেন ক্যামেরুন নিজে। শুধু তাই নয়, জ্যাকের স্কেচ বুকের সব ছবিই ক্যামেরুনের আঁকা। ৪. জাহাজের করিডোর ভেঙে সমুদ্রের পানি ঢুকছে এ দৃশ্যটি ধারণ করতে ৪০ হাজার গ্যালন পানি তীব্র বেগে ছাড়া হয়।

কিন্তু ক্যামেরুন এ দৃশ্য নিয়ে সন্তুষ্ট হননি। তিনি এর তিনগুণ পানি আরও জোরে ব্যবহার করতে বলেন। এবং সেটকেও আরও শক্তিশালী করে বানান। ৫. এ ছবিতে স্যালেন ডিওনের গাওয়া মাই হার্ট উইল গো এন ভীষণ হিট হয়। ক্যামেরুন প্রথম থেকেই ছবিতে কোন গান ব্যবহার করতে রাজী ছিলেন না, এমনকি শেষ ক্রেডিটের সময়ও না।

সুরকার জেমস হার্নার গোপনে গীতিকার উইল জেনিংস এবং সেলেন ডিওনের সঙ্গে বসে এ গানটি রেকর্ড করে ক্যামেরুনকে দেন। গানটি শোনার পর পরই ক্যামেরুন এটি সংযোজন করতে রাজী হয়ে যান। ৬. এ ছবি বানাতে খরচ হয়েছে ২০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে, যা টাইটানিক জাহাজ তৈরির খরচের চেয়ে বেশি। ১৯১০-১৯১২ সালে টাইটানিক জাহাজ তৈরি করতে খরচ হয়েছিলো ৭.৫ মিলিয়ন ডলার, যার মূল্যমান ১৯৯৭ সালের বিবেচনায় ১২০ থেকে ১৫০ মিলিয়ন ডলার। ৭. স্টুডিও বাজেট বেড়ে যাওয়ায় ক্যামেরুন তার ডিরেক্টর সš§ানী ৮ মিলিয়ন ডলার এবং তার অংশিদারিত্বের অর্থটুকু দিয়ে দেন।

৮. শ্যূটিয়ের পর পুরো সেটটি বাতিল মাল হিসাবে বিক্রি করে দেয়া হয়। ৯. ক্যাট উইন্সলেট যখন প্রথম জানতে পারে যে ছবিতে তাকে ডি ক্যাপ্রিওর নগ্ন হতে হবে তখন নিজেকে ও ক্যাপ্রিওকে সহজ করার জন্য প্রথম দেখার পর সে ডি ক্যাপ্রিওর সামনে নগ্ন হয়ে যায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.