আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার প্রিয় ছবি : রেইন ম্যান

গল্পের রাজত্বে বসবাস করছি আপাতত

মুক্তিকাল : ১৯৮৮ দৈর্ঘ : ১৩৩ মিনিট রঙ : রঙিন দেশ : আমেরিকা ভাষা : ইংরেজি পরিচালনা : বেরি ল্যাভিনসন প্রযোজনা : মার্ক্স জনসন চিত্রনাট্য : বেরি ল্যাভিনসন, রোনাল্ড বাস, মূল গল্প : বেরি মরো অভিনয় : ডাস্টিন হফম্যান, টম ক্রুজ, ভেলেরিয়া গলিনো, জিরাল্ড আ মলেন, মাইকেল ডি রবার্ট, লুসিনডা জেনে, বনি হান্ট, বেথ গ্রান্ট সঙ্গীত : হান্স জিমার চিত্রগ্রহণ : জন সেলে সম্পাদনা : স্টু লিন্ডার শিল্প নির্দেশনা : ইডা রেন্ডম কাহিনী সংক্ষেপ : চার্লি ব্যাবিড খবর পায় তার বহুদিন ধরে বিচ্ছিন্ন পিতা মারা গেছে। সে বাবার জš§স্থানে রওনা হয়। তার আশা, পিতার রেখে যাওয়া বিশাল সম্পদের ভাগ পাবে সে। কিন্তু সে গিয়ে দেখে তার জন্যে পুরনো একটা গাড়ি ছাড়া আর কিছুই উইল করা হয়নি। অন্যদিকে তার অটেস্টিক ভাই রেয়মন্ডের জন্য কয়েক মিলিয়ন ডলারের ফান্ড রেখে যাওয়া হয়েছে।

চার্লি শুরুতে হতভম্ব, বিরক্তি, কিন্তু তারপর রেমন্ডে ব্যবহার করার বুদ্ধি করে। রেমন্ডের অভিভাবকত্ব পেলে সে অন্তত সম্পত্তির অর্ধেক অংশ পাবে বলে আশা করে। অটেস্টিক ইন্সটিট্যুশন থেকে রেমন্ডকে নিয়ে সে এক দীর্ঘ যাত্রায় বের হয়। রেমন্ডের অদ্ভুত, আজগুবি কাণ্ডকারখানায় বিরক্ত হয় চার্লি। রেমন্ড ভয়ঙ্করভাবে তার রুটিনে আসক্ত।

নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট খাবার না-খেলে তার চলে না, এমনকি আণ্ডারওয়ারটি পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির নির্দিষ্ট দোকান থেকে কিনতে হয়। এক পর্যায়ে চার্লি লক্ষ্য রেমন্ডের ভেতরে অদ্ভুত ক্ষমতা আছে। সে মুহূর্তে বড় বড় সংখ্যা মুখস্থ করতে পারে। এমনকি এক বসায় টেলিফোন ডিরেক্টরি মুখস্থ করে ফেলতে পারে। রেমন্ডকে নিয়ে চার্লি ক্যাসিনোতে যায়।

রেমন্ড যতোবার বাজি ধরে ততোবারই জেতে। তারা খুব বিলাশবহুল হোটেলে উঠে। আর এই সব ঘটনার মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে বড় ভাই রেমন্ডকে ভালবেসে ফেলে চার্লি। বিশেষত্ব : তথাকথিত ‘রোড মুভি’র মতো নয় নয় এ ছবি। পিতার মৃত্যুর পর দুই ভায়ের সম্পর্ক, মানসিক প্রতিবন্ধীদের প্রতি দরদ এবং সবার উপরে মানবিক আবেগের অসাধারণ চিত্রায়ন এ ছবি।

টম ক্রুজ আর বিশেষ করে অটিস্টিক চরিত্রে ডাস্টিন হফম্যানের অভিনয় এ ছবির অন্যতম সেরা সম্পদ। অস্কারে এটি সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য ও সেরা অভিনেতা [ডাস্টিন হফম্যান] ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পায়। বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভালে এ ছবি গোল্ডেন বিয়ার পায়। এটিই একমাত্র ছবি যা একইসঙ্গে অস্কারে সেরা ছবির পুরস্কার এবং গোল্ডেন বিয়ার পুরস্কারও পেয়েছে। বিশেষ তথ্য : ১. শুরুতে বেরি ল্যাভিনসন এ ছবি পরিচালনা করতে চাননি।

তিনি গুড মনিং ভিয়েতনাম করতে চেয়েছেন। পরবর্তী আরও অনেক ডিরেক্টর এমনকি স্পিলবার্গকেও এ ছবির জন্য অনুরোধ করা হয়। স্পিলবার্গ এ ছবি পরিচালনার জন্য কিছু নোটও নেন। পরবর্তীতে বন্ধু জর্জ লুকাসের ডাকে ইণ্ডিয়ানা জোনস : দ্য লাস্ট ক্রুসেড তৈরিতে সাহায্য করতে চলে যান। শেষে বেরি এ ছবির দায়িত্ব নিলে স্পিলবার্গ তার করা নোটগুলো বেরিকে ব্যবহার করতে দেন।

২. ডাস্টিন হফম্যানকে চার্লি ব্যাবিডের চরিত্র করতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু চিত্রনাট্য পড়ার পর তিনি রেমন্ড চরিত্রটি করতে চান। টম ক্রুজ এ কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে চার্লি চরিত্র করতে রাজী হয়ে যান। টম ক্রুজ তার আইডল অভিনেতার সাথে কাজ করার বহুদিনের স্বপ্ন পুরনের সুযোজ পান। জ্যাক নিকলসন রেমন্ড চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।

৩. একটা দৃশ্যে দেখা যায় ডাস্টিন হফম্যান কিছুতেই প্লেনে উঠবে না, কোন প্লেন কবে কোথায় ক্রেশ করেছিলো, কতো জন মারা গিয়েছিলো সে এই সব মুখস্থ বলে। টম ক্রুজ শেষ পর্যন্ত কিছুতেই তাকে প্লেনে ওঠাতে পারেনি। বিশ্বের বহু এয়ারলাইন কোম্পানি তাদের প্লেনে এ ছবি দেখিয়েছে, তবে ছবির এই দৃশ্যটি কেটে দিয়ে। ৪. সাধারণ মানুষের কাছে অটিসিজমের সম্পর্কে পরিচয় এবং সচেতনতা সৃষ্টি করতে এ ছবি বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.