আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রীমঙ্গলে হাইল হাওরের বাইক্কা বিলে

রঙ্গিলা বন্ধুরে....... i_mahmud2008@yahoo.com

শ্রীমঙ্গলে হাইল হাওরের বাইক্কা বিলে চোখ জুড়ানো সবুজের সমারোহ ইসমাইল মাহমুদ কৃতজ্ঞতা : ভাস্করের মা'র পুলা মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় হাইল হাওরের বাইক্কা বিলে হিজল-করচসহ বিভিন্ন গাছের সবুজ বনায়নে হাইল হাওরের দৃশ্যপট বদলে যাচ্ছে। বাইক্কা বিলের চারদিকে এখন দিগন্তজুড়ে শুধু কেবল চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক দৃশ্য আর সবুজের সমারোহ। হিজল করচের হাইল হাওরে যেমনি সবুজের প্রশান্তি এনে দিয়েছে তেমনি সবুজ রূপে সেজেছে। ২-৩ বছর ধরে হাওরের বাইক্কা বিলে আবারও লাল আর সাদা পদ্ম ফুলে ভরে উঠছে। মাঝে মাঝে দেখা যায় বিরল প্রজাতির নীল পদ্ম।

ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে চারিদিক। এরই মাঝে ফুটে রয়েছে পদ্মটুনা। সাধারণত মার্চের শেষ থেকে মে মাস পর্যন্ত এ দৃশ্য দেখা যায়। হাওরের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাওয়া এখনো যে সম্ভব তার একটি উদাহরণ এই হাইল হাওরের বাইক্কা বিল। ইউএসআইডি’র সহায়তাপুষ্ট বেসরকারি সংস্থা মাচ প্রকল্প ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ হিসেবে হাইল-হাওরের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করে হাইল হাওরের অতীতের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করে।

বর্তমানে আইপ্যাক তার দেখভাল করছে। হাইল-হাওরের পাড়, ছড়ারপাড় ও রাস্তার পাশে প্রাকৃতিক বাদাবন পুন:প্রতিষ্ঠা করার জন্য হিজল আর করচ বনায়ন শুরু করে। একই সঙ্গে লাগানো হয় অর্জুন, দিজাম, বট, জারুল, কাইনজাম, ডুমুর, পিটালী ও মেরুল গাছের চারা। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৮৫ হাজার চারা হাইল হাওরে লাগানো হয়েছে। পশু-পাখির নিরাপদ আবাসস্থল তৈরি এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এ প্রকল্পের কাজ।

এছাড়া হাইল হাওরের প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি মাটির ক্ষয়রোধ এবং পরিবেশের উন্নয়নের উদ্দেশ্যেই এ বনায়ন করা হয়েছে। হাইল হাওরে জীববৈচিত্র্য রক্ষার কাজে নিয়জিত আইপ্যাকের শ্রীমঙ্গল অফিসের সাইড কো-অর্ডিনেটর আমিনুল ইসলাম জানান, হাইল-হাওর থেকে হারিয়ে যাওয়া মাছ, গাছ ও পাখি মাত্র ৫-৬ বছরের ব্যবধানে হাওরে পুর্নবাসিত হতে শুরু করেছে তাছাড়া স্থানীয় মৎস্যজীবীসহ জলাভূমির অন্যান্য উপকারভোগীদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তিনি আরও জানান, হাওরের কাগাউড়াকান্দি অর্থাৎ বাইক্কাবিলের পূর্বপাড়, বড় গাঙ্গিনার খালের পাড়, সানন্দাবিলের পাড়, জেঠুয়া বিলের পাড়, খইয়া বিলের পাড়, মেদী বিলের পাড় ও রামাইবিলের পাড়সহ প্রায় ১২ কিলোমিটার স্থান এখন হিজল করচসহ এসব গাছের সবুজ আচ্ছাদন তৈরি করেছে। এসব গাছে এখন বাসা বেঁধেছে দেশীয় পাখি। এখানে ৯৮ প্রজাতির মাছের আবাসস্থল এবং ১৬০ প্রজাতির পাখির বিচরণ ক্ষেত্র।

স¤প্রতি বার্ড লাইফ ইন্টারন্যাশনাল এ হাওরকে গুরুত্বপূর্ণ পাখি এলাকা হিসেবে আন্তর্জাতিক ভাবে তালিকাভুক্ত করেছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.