আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুইজারল্যান্ডে মসজিদের মিনার নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যমূলক এই কর্মকান্ড প্রত্যাশিত নয়

:)

মসজিদের মিনার নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পে সুইজারল্যান্ডে গণভোটের রায় প্রকাশের পরপরই এ পদক্ষেপের সমালোচনায় মুসলিম বিশ্বসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নিন্দার ঝড় উঠেছে। আর এ প্রতিবাদী কণ্ঠের সাথে কণ্ঠ মিলিয়েছে জাতিসঙ্ঘ। এ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছেন জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার নাভি পিল্লাই। তিনি বলেছেন ইসলাম বা অন্য কোনো ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত স্থাপত্য নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা সুস্পষ্টভাবে বৈষম্যমূলক। এ নিষেধাজ্ঞা গভীরভাবে বিভক্তিকর, সুইজারল্যান্ডের জন্য এমন পদপে নেয়া দুর্ভাগ্যজনক।

সুইজারল্যন্ডের মসজিদে মিনার নির্মাণে নিষেধাজ্ঞায় ব্রিটেনে প্রতিবাদ ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এটিকে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অনুভূতির ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করছেন সবাই। ব্রিটেনের ৪০০ ইসলামী প্রতিষ্ঠান সংগঠনের আমব্রেলা ফেডারেশন মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন বলেছে এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। বাংলাদেশেও অনুরূপ নিন্দার ঝড় উঠেছে। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের ভোটাররা সে দেশের মসজিদগুলোতে মিনার নিষিদ্ধ করার একটি প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে।

এ সংক্রান্ত গণভোট শেষে এক্সিট পোলের হিসাবে এ তথ্য বের হয়ে এসেছে। ইউরোপের অন্যতম দেশ সুইজারল্যান্ডের প্রায় ৭৫ লাখ মানুষের মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা চার লাখের মতো। সে দেশের একাধিক মসজিদে সুউচ্চ মিনার রয়েছে। তবে এই মিনার নির্মাণ যাতে আর না হয় সে জন্য ১৮ মাস ধরে প্রচারণা চালিয়ে এসেছে দেশটির ডানপন্থি রাজনৈতিক দল সুইস পিপলস পার্টি বা এসভিপি। তারা মসজিদগুলোতে মিনার নির্মাণ বন্ধের দাবির সপে এই সময়ের মধ্যে এক লাখ ভোটারের স্বার সংগ্রহ করে।

এসভিপি'র এই দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। অবশেষে মসজিদের মিনার নিষিদ্ধ করা হবে কি না এই ইস্যুতে দেশটিতে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট গ্রহণ শেষে এক্সিট পোলের হিসাবে দেখা গেছে ৫৯ শতাংশ ভোটার এই নিষেধাজ্ঞার পে ভোট দিয়েছেন। গত ৯ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, ৫৩ শতাংশ ভোটার এসপিভি'র এই নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে অপরদিকে ৩৭ শতাংশ মনে করেন মসজিদের মিনার নিষিদ্ধ করা হোক। মাত্র এক সপ্তাপের ব্যবধানে জনমত এভাবে বদলে যাবে সেটি কেউই আশা করেননি।

কয়েকদিন আগে সুইস প্রেসিডেন্ট হান্স রুডম্ফ মেরৎস এক ভাষণে বলেন, মুসলমানদের ধর্ম পালন এবং মিনার নির্মাণের স্বাধীনতা থাকা উচিত। তবে দেখা যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ও সরকারের তরফ থেকে সে আহ্বানের কোনো ইতিবাচক সাড়া গণভোট মিলল না। পর্যবেকরা বলছেন, এর ফলে নিরপে রাষ্ট্র হিসেবে সুইজারল্যান্ডের ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষুন্ন হবে। Reference: মাসিক জিঙ্গাসা

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.