পানি ও বিদ্যুতের অপচয় রোধে এগিয়ে আসুন!
সর্বশেষ আপডেট: আজকের গণভোটে সুইসরা মিনার ব্যানের পক্ষেই ভোট দিয়েছে, অন্তত এক্সিট পোল তাই বলছে।
জি হা, টাইটেলখান ঠিকই পড়ছেন। সুইজারল্যান্ডে এই মাসে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে---ঐদেশে মসজিদগুলায় মিনার নির্মাণ সম্পূর্ণ ব্যান করা হবে কিনা সেইটা নিয়া। এই উদ্যোগের মূল কান্ডারী হইল সুইস পিপলস পার্টি, একটা ডানপন্থী দল, যাদের যুক্তি হইল যে মসজিদের মিনারগুলা হইল ইসলামিক কট্টরপন্থার/অসহিষ্ঞুতার প্রতীক।
Click This Link
এই খবর পইড়া ২ টাইপ প্রতিক্রিয়া হইতে পারে:
১।
"কস কি মমিন? সুইজারল্যান্ড না নিরপেক্ষ দেশ হিসাবে নাম কামাইছে? ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়েও তারা না নিরপেক্ষ ছিল? তারা না এতই নিরপেক্ষ যে জাতিসংঘেই জয়েন করল এই সেদিন, তাও গণভোট নিয়া? তাদের এই দশা???"
আর নাহলে এইরকম:
২। "যতই নিরপেক্ষ ভাব দেখাক, তাদের তো ৮০%ই খ্রিস্টান, তারা আবার ভাল হয় কিভাবে? খ্রিস্টানরা ইসলামের শত্রু, সবাই মিলে ইসলামের গলা টিপ্যা মারতে চায়! গত ১০০০ বছর ধইরা তো তাই করতেছে! এইটা ইউরোপের হারামিপনারই আরেকটা অধ্যায়!"
আমার বিশ্লেষণ: খবরটা আসলেই টাস্কি খাওয়ার মত, তবে কাহানী অন্যখানে।
ইউরোপ বলতে যা বুঝায়, সেইটারে ভাইঙ্গা চুইরা এক্কেরে অন্য রুপ দিতে যে "আনস্টপেবল ফোর্স" আগায়ে আসতেছে, সেইটার নাম ইসলাম।
আরো নির্দিষ্টভাবে, ইসলামী জনগণ আর তাদের প্রবল জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার।
ইউরোপ আজ থেইকা ৩০/৪০ বছর আগেই বুইঝা ফেলছে, তাদের সনাতনী 'সাদা চামড়ার' মানুষগুলা একসময় এতই আধুনিক হইব, যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি নেগেটিভ যাইব।
তখন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ান কইরা একটু কম আধুনিক মানুষ সব জায়গায় আসতে না দিলে খবর আছে। দিলে ২ রকম লাভ---বিপুল সংখ্যায় উদ্যাগী কর্মী, আর তাদের পোলামাইয়া, যাদের অনেকেই কর্মী হইব, ফলে অর্থনীতিরও আগায়া যাওয়ার ইন্ঞ্জিন পাওয়া যাইব। "ইকোনমিক গ্রোথ" হইল গিয়া প্রত্যেকটা অর্থনীতির মোক্ষ, যেইটা কমতে থাকা জনসংখ্যা দিয়া করা সম্ভব না।
পেজগীটা লাগছে ঐখানেই।
সবাইরে আসতে দিতে গিয়া আশে-পাশের মুসলিম দেশগুলা থেইকাও হু হু কইরা মানুষ জন ঢুকতাছে, এশিয়া সাইড থেইকা, এমনকি আফ্রিকা সাইড থেইকাও।
এবং ওদের জনসংখ্যা বৃদ্ধিও মাশাল্লাহ। এখন আগামি ৫০/১০০ বছরে এমন অবস্থা হইব, যে ইউরোপের দেশগুলার একটা বিরাট অংশ হইব এই মুসলিম লোকগুলার বংশধর, তারা থাকব সব জায়গায়--আর্মীতে, কল কারখানায়, হাটে মাঠে ঘাটে।
ইউরোপ যে "ভ্যালুস" গুলা দিয়া চলে, তার সাথে এই মুসলিমদের ভ্যালুস এর মিল নাই। আর ইউরোপের জন্য সমস্যার কথা হইল--এই মুসলিমরা কিন্তু ইউরোপে আইসা মেইনস্টরীমের সাথে মিলে একাকার হয়া যায়, তা কিন্তু না! তারা আলাদা থাকে, তাদের আলাদা পাড়া, আলাদা দোকান, আলাদা বন্ধু-বান্ধব গ্রুপ, এমনকি অনেক খানে আলাদা স্কুল কলেজ। তারা তাদের দেশ থেইকা ২০ ছর আগে যে ভ্যালুজ গুলা নিয়া আসছে, সেইটাই চালাইতেছে এখনো।
আর এইসব দেইখা, ইউরোপের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের একটা বিরাট অংশ খাপ্পা! আমগো দেশে আইসা এই বিধর্মীগুলা আমগো চাকরীই খায়া ফেলতেছে!! সাহস কত! আবার "আমার গডই সেরা" বইলা চিল্লায়!! (আল্লাহু আকবার!)
ইউরোপে আইসা ইউরোপের চাকরী খাওয়া লোকগুলার একটা বড় অংশ মুসলিম, এইটাই ইসলামের উপর রাগের বড় কারণ। তার উপর আছে ভয়---৫০ বছর পর ইয়রোপের সবচেয়ে কমন নাম "ক্রিস্টোফার" থাইকা "মুহাম্মদ হুসেন" হয়া যাইব, এইটাও অনেকে হজম করতে পারতেছেনা।
তাই ইউরোপে এই তীব্র মুসলিম ঘৃণা, সুইস মিনার ব্যান সেইটারি ধারাবাহিকতা মাত্র।
সংযুক্তি: আমেরিকায় ইসলমকে সন্দেহের চোখে দেখলেও সাধারণ জনগণ "ইসলাম-ফোবিয়া"র পর্যায়ে যাইতে দেরী আছে। ২ খান কারণ: আমরিকার আশে পাশে মুসলিম দেশ নাই, যে খান থেইকা হু হু কইরা মুসলিম ঢুকব।
এইখানে আসে ল্যাটিন দেশগুলার লোক। ২য় কারণ: আমেরিকায় ইমিগ্র্যান্টদের মেইনস্ট্রীমে মিশে যাওয়ার হার অনেক বেশী, ইউরোপে যেটা অনেক কম। সাধে এইটারে "মেল্টিং পট" কয় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।