গিরগিটি যেমন রূপ বদলায় ঠিক তেমনি মানুষ ও রূপ বদলায়।
আমার ব্লগে লেখা "ইফ্তেখার মোহাম্মদ" এর লেখা এই খবরটি পড়ে বড়ই দুঃখ লাগল। তাই সবার সাথে শেয়ার করলাম। মুল লেখাথেকে কপি করা।
মূল লেখা এখানেঃ মূল লেখা
কান্ড অবাক হওয়ার মতোই।
কিন্তু সমীকরণ কিংবা হিসেব একেবারেই সরল। সত্যিই তারা 'ভারত-বগিতে' পা দিয়ে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত করতে চাইছেন। তাই ট্রানজিট কিংবা টিপাইমুখ বাঁধের পর এবার বেছে নিলেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা নিয়ে সাকা-নিজামীদের গাত্রদাহ নতুন নয়। সেই সুরেই এবার কলকাতার তারা টিভি মাঠে নেমেছে।
ঠিক সাকা-নিজামীদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ওদের হাতে ভারতবিরোধী ইস্যু তুলে দিতেই তারা টিভি নিজস্ব আয়োজনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পদদলিত করার দৃশ্য সম্প্রচার করেছে। তারা টিভিতে জোট আমলে যুবরাজখ্যাত ব্যক্তির মোটা অঙ্কের বিনিয়োগই তাদের হাতে ইসু্য তুলে দেয়ার আয়োজন নিশ্চিত করেছে। নাকি ওখানে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরও বিনিয়োগ এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করেছে?
আক্ষরিক অর্থেই হতবাক হওয়ার মতো কান্ড। শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় ঢাকার দর্শকরা তারা টিভি চ্যানেলের গানের অনুষ্ঠানের মঞ্চের ওপর অঙ্কিত জাতীয় পতাকার ওপর দাঁড়িয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করতে দেখেছেন। '৭১-এর ঘাতক-রাজাকার, বাংলাদেশবিরোধী শক্তি ছাড়া ঢাকার অধিকাংশ দর্শক তাৎক্ষণিক চ্যানেল পাল্টে নেন।
কেউ বা টেলিভিশন বন্ধ করে দেন। কিন্তু দর্শকরা যে দৃশ্য দেখেছেন তাতে তাদের রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পত্রিকা অফিসে ফোন করে জানান তারা টিভির বাংলাদেশের পতাকা অসম্মান ও ষড়যন্ত্রের কথা।
তারা টিভিতে এক সময় কাজ করতেন কিন্তু বর্তমানে তারা টিভি ছেড়ে দিয়েছেন এমন একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেছেন, জোট আমলের অলিখিত যুবরাজ তারা টিভিতে বিপুল অর্থলগ্নী করেছেন। জোট আমলে যুবরাজের সঙ্গে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী উলফার গভীর সম্পর্ক ছিল।
সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে উলফারও তারা টিভিতে বিনিয়োগের অভিযোগ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে উলফাপ্রধান অরবিন্দ রাজখোয়া গ্রেফতারের পর ভারতীয় পত্রিকায় সাক্ষাতকার দিয়ে বলেছে, "বাংলাদেশ সরকার বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। " মূলত আওয়ামী লীগ সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই তিনি এমন বক্তব্য দিয়েছেন বলে বিশ্লেষকদের অভিমত। তারা টিভিও বাংলাদেশী ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট চাঙ্গা করতে, বর্তমান মহাজোট সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এই কুৎসিত-রুচিহীন অপকর্মটি করেছে বলে সংশিস্নষ্ট সূত্র মনে করছে।
সূত্র: দৈনিক জনকন্ঠ
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলি, ২০০৫ সনে একটা উটকো ঝামেলায় প্রতিপক্ষের হয়ে হাজির হয়েছিলো বিএনপির এক রানিং এমপির ভাতিজা।
হাতে ওয়ারলেস, লম্বায় ৬ ফুট । যে কেউ দেখলে ভাবতে পারে সামরিক বা বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থার লোক। ভাব-ভঙ্গিতে তেমনই ইংগীত করছিলো। বাদুনুবাদের এক পর্যায়ে চার্জ করে বসলাম। বেচারা পরিচয় দিলো তিনি তারা টিভির সংবাদিক(!) , হা হা প গে।
সাংবাদিকরা ওয়ারলেস ব্যবহার করে এই প্রথম দেখলাম। পরে আরও বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে দেখলাম, সে মামুলী একটা রিপোর্টার মাত্র। এমপির ভাতিজা হবার সুবাদে সে তারা টিভিতে। বেশীরভাগ দলীয় লোকেদেরই নাকি সেখানে চাকুরি হয়েছিলো। বিএনপির লগ্নি করা অর্থে চালিত প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পদদলিত হয়েছে, বিষয়টা আসলেই উদ্বেগজনক।
নিন্দা ও ঘৃণা রইলো এসব লোকেদের জন্য
**ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। সবাইকে অনুরোধ দয়াকরে এই পোস্টটাকে ছড়িয়ে দিন জাতে করে আরো বেশি লোক এইটা জানতে পারে। **
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।