আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুরান এবং আধুনিক বিজ্ঞান -৩



পদার্থ বিজ্ঞানে একটা theory আছে যার নাম ATOMISM পরমানু হলো কনো পদার্থের ক্ষুদ্রতম উপাদান যেটাকে আলাদা করা যায় না এই theory এর কথা প্রথম বলেছিলেন democritus greek (philosopher) ২ হাজার ৩শ্ বছর আগে , আর আরবদেরও এই জ্ঞানটা ছিল । আর পরমানুর আরবি শব্দ হলো জাররা , কিন্তু আজকের দিনে বিজ্ঞান উন্নত হওয়ার ফলে আমরা জানতে পেরেছি যদিও পরমানু হলো কনো পদার্থের ক্ষুদ্রতম উপাদান পদার্থের বৈশিষ্ঠ্যই এর মধ্যে থাকে তারপরও একে আলাদা করা যায় electron, proton ইত্যাদি অংশে তাই লোকে ভাবতে পারে কোরান সেকেলে হয়ে গেছে, পবিত্র কোরান জাররা সর্ম্পকে বলেছে আর বলেছে এটা একটা ক্ষুদ্রতম অংশ কিন্তু কোথাও একথা লেখা নেই একে অালাদা করা যায় না । পবিত্র কোরানে সুরা সাবা এর ৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে বলা হয়েছে যে – যখন কাফিরা বলে আমাদের নিকট কেয়ামত আসিবেনা তাহাদের বলো আসবেই সপথ আমার পতিপালকের নিশ্চয় তোমাদের নিকটও আসিবে , তিনি অর্দৃশ্য বিষয় সমূহ সর্ম্পকে সম্পূর্ন ভাবে জ্ঞাত, আকাশমন্ডলি ও পৃথিবীতে তাহার অগচর নয় অনু পরিমান কিছু কিম্বা তদ অপেক্ষা ক্ষুদ্র বা বৃহত কিছু । তাহলে কোরান বলছে অনুর চেয়ে ছোট বা বড়ো উপাদান আছে তাই কোরান আসলে সেকেলে নই এটা আসলে খুবি আধুনিক একি কথা আছে পবিত্র কোরানে সুরা ইউনুস এর ৬১-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে যে – তোমাদের পতিপালকের অগচর নহে কিছু অনু অপেক্ষা ক্ষুদ্র বা বৃহত কিছু । এবার ভূগল সর্ম্পকে বলি – আমরা এখন জানবো পানি চক্র সর্ম্পকে যেটা প্রথম বলেছিলেন Sir burner palace ১৫৮০ সালে তিনে ব্যাখ্যা করেছেন কি ভাবে সমুদ্র থেকে বাষ্প হয়ে যায় , কি ভাবে মেঘ তৈরী হয় , কি ভাবে মেঘ উপরে উঠে যায় , কি ভাবে সেখান থেকে বৃষ্টি হয় , বৃষ্টির পানি তারপর সমুদ্রে যায় এভাবে পানি চক্র সম্পূর্ন হয় ।

আগেকার দিনে মানুষ ভাবতো খূষ্ট-পূর ৭ম শতকে sage of maltese তিনি বলেছেন সমুদ্রর পানি বাতাসের সাথে মিশে যায় আর এই পানে পরবর্তীতে র্বষ্টি হয়ে পড়ে , মানুষ আগে বুঝতে পারতো না মাটির নিচের পানি আসলে কিভাবে আসে তাই তারা ভাবতো পানির ওপর বাতাসের প্রচন্ড চাপের কারনে , বাতাস যে প্রচন্ড চাপ দেয় এই কারনে উপরে বৃষ্টিপাত হতে পারে । এই পানি মাটির ওপর পড়ে তার পর সমুদ্রর দিকে যায় একটা লুকানো পথে যার নাম abyss আর Plato এর সময় এটাকে বলা হতো stares এই মতবাদে পৃথিবীর মানুষ বিশ্বাস করে এসেছে সপ্তদশ শতাব্দী পযন্ত আর Aristotle এর theory সহ বিভিন্ন দর্শন মেনে চলা হয়েছে উনবিংশ শতাব্দী পযন্ত যে মাটি থেকে পানি বাষ্প হয়ে উপরে উঠে এটা তারপর পাহাড়ের ওপর জমা হয় আর এই পাহাড় গুলোর ওপর তৈরি হয় র্রদ এখান থেকে মাটির নিচে পানি জমে , এখন আমরা জানি মাটির নিচে যে পানি সেটা চুয়ে চুয়ে মাটির নিচে চলে যায় পবিত্র কোরানে আছে সুরা জুমার এর ২১-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে – তোমরা কি দেখোনা যে আল্লাহ-তাঅালা আকাশ হইতে বারি বষন করেন অত:পর উহা ভূমিতে প্রবাহিত করেন নির্ঝর রুপে প্রবাহিত করেন এবং ত্বদদারা বিভিন্ন বর্নের ফসল উৎপন্ন করেন । এছাড়াও পবিত্র কোরানে সুরা রুম এর ২৪-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে – আল্লাহ আকাশ হইতে বারি বর্ষন করেন এবং ত্বদ্বারা ভূমিকে পূনরজীবিত করেন পবিত্র কোরানে সুরা মুমিনুন এর ৪৮-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে যে – আমি আকাশ হইতে বারি বর্ষন করি পরিমিত ভাবে অত:পর উহা মৃতিকায় সংরক্ষন করি উহাকে অপসারন করিতেও সক্ষম । পবিত্র কোরানে সুরা আল-হিজর এর ২২-নং আয়াতে উল্লেখ করা আর আছে যে – আমি বৃষ্টি গর্ভ বায়ু প্রেরন করি যে বায়ুতে বৃষ্টি থাকে অত:পর আকাশ হইতে বারি বর্ষন করি উহা তোমাদিগকে পান করিতে দিই । এখানে আরবি শব্দটা লাওয়াকি এটা হলো লাকি শব্দটার বহু বচন যার মূল শব্দ লাকাহা , যার অর্থ গর্ভে ধারন করা অথবা শরীরে ধারন করা ।

বাতাস চারিদিক হতে এশে মেঘ গুলোকে বৃষ্টি গর্ভে রুপান্তরিত করে , তারপরে বৃষ্টিপাত হয় । বাতাসের কারনে মেঘ গুলো একত্রিত হয় , প্রচন্ড চাপের সৃষ্টি হয় , বজ্রপাতের সৃষ্টি হয় তারপর মেঘ থেকে বৃষ্টিপাত হয় । পবিত্র কোরান সম্পূর্ন পানি চক্রের কথা বলেছে কিভাবে পানি বাষ্প হয় , কিভাবে মেঘ তৈরি হয়, কিভাবে ঘনীভূত হয়, কিভাবে বৃষ্টিপাত হয়, কিভাবে পানি সমুদ্রে ফেরে । অনেক জায়গায় বলা আছে সুরা নূর এর ৪৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা , সুরা নাবার ১২-১৩ -নং আয়াতে আর এছাড়াও সুরা রুম এর ৪৮-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে । পবিত্র কোরানে সুরা নূর এর ৪৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে আল্লাহ সঞ্চালিত করেন মেঘ মালাকে এটাকে কোরান কি বোঝাচ্ছে যে আল্লাহ সঞ্চালিত করেন মেঘ মালাকে এখন কার দিনে যারা এরোপ্লেনে চরে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন তারা বলতে পারবেন যখন এরোপ্লেন মেঘের ওপর দিয়ে চলে যায় তখন যদি মেঘের দিকে তাকান নিচে তিনি দেখতে পাবেন মেঘ গুলোকে দেখাচ্ছে একটা বিশাল ঢেউএর মতো কোরান একথা বলেছে ১৪০০ বছর আগে ।

১৪০০ বছর আগে কোনো এরোপ্লেন ছিলো না । পবিত্র কোরান Hydrology এবং পানি চক্র নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিস্তারিত বর্ননা দিয়েছে পবিত্র কোরানে সুরা আরাফের ৫৭-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে , সুরা রদ এর ১৭-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে , সুরা ফুরকানের ৪৮ এবং ৪৯-নং আয়াতে , সুরা ফাতির ৯-নং আয়াতে একথা বলা হয়েছে, সুরা ইয়াসিনের ৩৪-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে, সুরা জাসিয়ার ৫-নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, সুরা কাফ ৯ এবং ১০-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে, সুরা ওয়াকিয়াহ্ এর ৬৮ নং আয়াত থেকে ৭০ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে । আর এছাড়াও কোরানে সুরা মূলক এর ৩০-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে । পবিত্র কোরান Hydrology এবং পানি চক্রের বিস্তারিত বর্ননা আছে । ---------------------------------------------------------------------------------- এই লেখা ডক্টর জাকির নায়েক এর লেকচার থেকে নেওয়া হয়েছে


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.