এবার আসুন আমরা ভূ-তত্ব বিদ্যা (Geology) সম্র্পকে দেখব । এখনকার দিনে ভূ-তত্ব বিদ তারা আমাদের বলেন আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি বাইরের ভূ-ত্বক এটা শক্ত ও কঠিন আর ভেতরের অংশ খুবি গরম ও তরল আর সেখানে কোনো প্রানীর পক্ষে বেচে থাকা সম্ভব না । ভূ-তত্ব বিদরা বলেন পৃথিবীর উপরের স্তরটি খুবি পাতলা , বেশি হলে ৮-১০ মাইল যেটা পৃথিবীর ব্যার্সাধের ১% এরও কম , পৃথিবীর ব্যার্সাধ ৩৭৫০ মাইল । এখন বাইরের স্তরটি খুব পাতলা তাই স্তরটি নড়াচড়া করার সম্ভাবনাও খুব বেশী । ভূ-তত্ব বিদরা বলেন যে এই স্তরটা ভাজ হয়ে যায় , সেজন্যই তৈরি হয় বিভিন্ন রকম পাহাড় পরবোত ।
এই পাহাড় গুলো এগুলোর কারনে পৃথিবী বেশি নড়াচড়া করে না এগুলো কিলোকের মতো কাজ করে খুটির মতো পবিত্র কোরানে সুরা নাভা এর ৬নং ও ৭নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে আমি এই ভূমিকে করিয়াছি সজ্জ্যা وَالْجِبَالَ أَوْتَادًا এবং পরবোত সমূহকে করিয়াছি কিলোক এখানে আরবি শব্দ আওতাদ অর্থ কিলোক অর্থ খুটি এটা আমরা সেদিন আবিষ্কার করেছি । পবিত্র কোরানে সুরা গাসিয়ার ১৯নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে , এছাড়াও পবিত্র কোরানে সুরা নাজিয়াতের ৩২নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে وَالْجِبَالَ أَرْسَاهَا পবত মালাকে স্থাপন করা হইয়াছে সুদৃড় ভাবে ।
Geography এর ওপর একটা বই আছে The Earth বইটা খুবি বিখ্যাত, আর পৃথিববীর অনেক university তে Geography এর জন্য বইটা পড়ানো হয়ে থাকে অনেক দেশে , এই বইটার লেখকদের মধ্যে একজন হলেন Frank ঢ়res আর তিনি এই বইটার ভেতরে পাহাড় পর্ববতের উপর বেশ কিছু ছবি দিয়েছিলেন এগুলো ছিলো নিচের দিকে সোচাঁলো, তার মতে পাহাড় পর্ববতের কাজ হলো পৃথিববীর উপরের স্তরকে স্বাভিক রাখা । কোরানেও এই একি কথা বলা আছে একি তথ্য দেওয়া আছে সুরা আম্বিয়ার ৩১নং আয়াতে একথা বলা হয়েছে, এছাড়াও সুরা লোকমানের ১০নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, এছাড়াও সুরা নাহাল এর ১৫নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে – পৃথিবীতে স্থাপন করিয়াছেন সুদৃড় পর্ববোত মালা যাহাতে পৃথিবী আন্দোলিত না হয় । পবিত্র কোরানে পাহাড় পর্ববতের কাজের কথা বলা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে ।
যেটা আমরা আবিষ্কার করলাম সেদিন । সমুদ্র সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পবিত্র কোরানে আছে সুরা ফুরকানের ৫৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে – আল্লাহ সুবাহানা তাআলা দুই দরিয়াকে মিলিত ভাবে প্রবাহিত করিয়াছেন । একটা মিষ্টি ও সুপেয় ও ওপরটি লোনা ও খর , এবং উভয়ের মধ্যে রাখিয়া দিয়াছেন এক বারজাক অন্তরায় যাহা অতিক্রম করা নিষিদ্ধ কোরানে আরোও বলা আছে সুরা রহমানের ১৯ এবং ২০ নং আয়াতে বলা হয়েছে যেبَيْنَهُمَا بَرْزَخٌ لَّا يَبْغِيَانِ । مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ يَلْتَقِيَانِ আল্লাহ তাআলা প্রবাহিত করেন দুই দরিয়া যাহারা পরষ্পর মিলিত হয় এবং উহাদের মধ্যে রহিয়াছে এক অন্তরায় যা তাহারা অতিক্রম করিতে পারেনা । এখানে আরবি শব্দ বারযাক অর্থ একটা অন্তরায় আর বলা হয়েছে مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ يَلْتَقِيَانِ অর্থাৎ দুই দরিয়ার প্রবাহিত পানি পরষ্পর মিলিত হয় ।
আগেকার দিনে বিশেষ্গরা তারা বুঝতে পারতেন না দুই দরিয়ার পানিকে নিয়ে এমন দুই কথা বলা হচ্ছে কেন । বলা হচ্ছে তারা পরষ্পর মিলিত হয় আবার বলা হচ্ছে তাদের মধ্যে অন্তরায় আছে । কোরান সর্ম্পকে বিশেষ্গরা আসলে বুঝতে পারতো না এখানে কি বোঝানো হচ্ছে । বর্তমানে আমরা আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্যে জানতে পেরেছি যে এদের মধ্যে একটা তিরযোক অন্তরায় অাছে , এই দুই দরিয়ার পানি, মিষ্টি পানি আর লোনা পানি এদের মধ্যে একটা অন্তরায় অাছে , আর যখোনি এই পানি এক সমুদ্র থেকে আরক সমুদ্রে প্রবাহিত হয় এই পানির চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্য তখন বদলে যায় আর তারপর সেই সমুদ্রের পানির সঙ্গে মিলিত হয়। অন্তরায় আছে এই অন্তরায়কে বলা হয় একটা transitional Homogenizing space বা area ।
দুই দরিয়ার পানি যদিও পরষ্পর মিলিত কিন্তু এদের বৈশিষ্ঠ্য তারপরও আলাদা থাকে , লোনা পানি তখোনো লোনা থাকে আর মিষ্টি পানি মিষ্টি থাকে । আর এই ধরনের ঘটনা দেখতে পাবেন kept point এ দক্ষিন আফ্রিকার kept town শহরে দক্ষিন উপকূলে যেখানে লোনা ও মিষ্টি পানি পরষ্পর মিলিত হয় , কিন্তু তারা আলাদাই থাকে পরষ্পর মেশে না । আর যখন পানি প্রবাহিত হয় এই পানির বৈশিষ্ঠ্য বদলে যায় । একি ঘটনা আপনারা দেখতে পাবেন মিশরে যেখানে নীল নদের পানি ভূ-মধ্য সাগরে গিয়ে পড়ে , একি ঘটনা দেখতে পাবেন উত্তর আমেরিকায় সেখানে Gulf of Mexico থেকে শুরু করে দুই দরিয়ার পানি হাজার মাইল একসাথে অতিক্রম হয়েছে , দুই ধরনের পানি মিষ্টি পানি ও লোনা পানি তারপরও তারা আলাদা থেকেছে । যদি এখানে নৌকায় করে যান আর আপনারা নৌকার এক পাশ হতে পানি তোলেন আর ওপর পাশ হতেও পানি তোলেন আপনি দেখবেন যে দুই পাশের পানিই আলাদা , এব পাশের পানি মিষ্টি আর অন্য পাশেরটা লোনা , এমনকি তাপমাত্রাও আলাদা থাকে এছাড়াও zibranka প্রনালীর কাছে এপাশে Atlantic অন্যপাশে ভূ-মধ্য সাগর এদের মধ্যে একটা অন্তরায় আছে , আর কোরানের এই কথাটার সত্যতা প্রমান করেছেন প্রফেসর Hey যিনি আমেরিকার একজন বিখ্যাত সমুদ্র বিজ্ঞানী ।
পবিত্র কোরান আমাদের প্রশ্ন করছে তোমরা তোমাদের প্রতি পালকের কোন অনুগ্রহ অস্বিকার করিবে । শুধু মাত্র আছে সূরা রহমানে ২৭নং পাড়ায় সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রতি পালকের কোন অনুগ্রহকে অস্বিকার করিবে , একথাটা বলা হয়েছে সব মিলিয়ে ৩১ বার। এখানে আল্লাহ-তা’আলার নির্দশনের কথা বলা হচ্ছে , গাছের কথা, আকাশ মন্ডলীর কথা তার পর প্রশ্ন করা হচ্ছে তোমরা তোমাদের প্রতি পালকের কোন অনুগ্রহকে অস্বিকার করিবে , এখানে পানি চক্রের কথা বলা হচ্ছে তার পর মিষ্টি পানি আর নোনা পানির মধ্যে অন্তরায় এর কথা বলা হচ্ছে তারপর বলা হচ্ছে তোমাদের প্রতি পালকের কোন অনুগ্রহকে অস্বিকার করিবে । পবিত্র কোরান একটি সূরার মধ্যে পাঠকদের প্রশ্ন করা হচ্ছে তোমাদের প্রতি পালকের অর্থাৎ সরবো-শক্তীমানের কোন অনুগ্রহকে অস্বিকার করিবে । পাঠকদের প্রশ্ন করা হচ্ছে যে এই সব নির্দশন এগুলো কথা হতে এসেছে কোন অনুগ্রহকে অস্বিকার করিবে ।
এছাড়াও জীব বিদ্দ্যার ক্ষেত্রে পবিত্র কোরানে আছে সুরা আম্বিয়ার ৩০-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاء كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ আমি প্রানবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করিলাম পানি হতে তবুও কি তারা ইমান আনিবেনা । চিন্তা করেন সেই আরবের মরু ভূমিতে যেখানে পানি পাওয়াটা খুব কষ্টের আর কোরান বলছে সমস্ত জীব জন্তু পানি থেকে সৃষ্টি হয়েছে । কে এই কথা বিশ্বাস করবে কোরানে অন্য কোনো কিছু লেখা থাকলে হয়তো কেউ বিশ্বাস করতো , পানি যেখানে পানির অভাব সেখানে কোরান বলছে ১৪০০ বছর আগে সমস্ত জীব জন্তু সৃষ্টি হয়েছে পানি থেকে । এখন আমরা জানি যে সাইটোপ্লাজম হলো যে কোন প্রানী কোষের সবচেয়ে মৌলিক উপাদান এর ৮০% হলো পানি , প্রত্যেক জীব-জন্তুর শরীরে ৫০-৭০ ভাগ থাকে পানি ,আর পানি ছাড়া কোনো জীব-জন্তু বাঁচতে পারে না এটা হবেই । কোরান প্রশ্ন করছে وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاء كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ প্রানবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করিলাম পানি হতে তবুও কি তোমরা ইমান আনিবেনা ।
আল্লাহ বলছেন সব জীব-জন্তু পানি হতে তৈরি আর আমরা জানলাম সেদিন । কোরান একথা বলছে ১৪০০ বছর আগে তবু কি তোমরা ইমান আনিবেনা ? কোরান একটা প্রশ্ন করছে একটা উত্তর চাইছে । পবিত্র কোরানে আছে সুরা নূর এর ৪৫-নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে - আল্লাহ সমস্ত জীব সৃষ্টি করিয়াছেন পানি হতে । পবিত্র কোরানে আছে সুরা ফুকান এর ৫৪-নং আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে – আল্লাহ তা’আলা মানুষ জাতিকে সৃষ্টি করিয়াছেন পানি হতে । চিন্তা করেন ১৪০০ বছর আগে কোরানে একথা বলছে হয়েছে ।
উদ্ভিদ বিদ্যার ক্ষেত্রে আমরা এই কিছুদিন আগে জেনেছি যে গাছ-পালারো লিঙ্গ থাকে পুরুষ এবং স্ত্রী আমরা আগে এটা জানতাম না এমন কি উভলিঙ্গ গাছ , সেই গাছ গুলোর মধ্যে পুরুষ এবং স্ত্রী অংশ আলাদা থাকে । এছাড়াও পবিত্র কোরানে আছে সুরা তা’হার ৫৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা অাছে– আল্লাহ সুবাহানা তা’আলা আকাশ হতে বারি বর্ষন করেন এবং ইহা দ্বারা বিভিন্ন উদ্ভিদ উৎপন্ন করেন একটি আরেকটির তুলনায় পৃথক । তার মানে গাছ-পালারো লিঙ্গ আছে । পবিত্র কোরানে আছে সুরা রদের ৩-নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে – তিনি প্রত্যেক প্রকারের ফল সৃষ্টি করিয়াছেন জোড়াই¬- জোড়াই । সব জায়গায় জোড়া গাছ পালারো লিঙ্গ আছে পুরুষ এবং স্ত্রী
----------------------------------------------------------------------------------
এই লেখা ডক্টর জাকির নায়েক এর লেকচার থেকে নেওয়া হয়েছে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।