_________________সেলাই গাছের কারখানা _______________________________________
একসাথে একাধিক চিন্তা
সৈয়দ আফসার
দেহ মিনার ছুঁয়ে দেখো
আমাকে তাড়াতে চাও ঘুরানো কথায়! নিলীমায় কেনো যে বাঁধো না অন্ধসময়, তবুও সুরে, বে-সুরে বাজো দেহের মায়ায়। বেঁচে থাকা মানেই কি আশা-যাওয়া-ভালোবাসা-টাসা; ছায়ায় রোপণ করা কিছু স্নিগ্ধমোহ তুলে রাখার ছলটাও হতে পারে আত্নঘাতি সিদ্ধাস্ত, স্থির অবসাদ! তবুও জটিল হাওয়াদের আঘাত কি করে যে ছুঁয়ে দেখে বোবামন, দেহের মিনার!এই যে অতীতটা কেনো যে মিশে আছে চার পায়ে… হয়তোবা ভালোলাগা গেল বর্ষা জলে।মনধূসরতা ছুঁয়েছে কি ঘাসপাতা, তারও পূর্বে পেয়েছো তো নরম মাটির ঘ্রাণ
আমাকে তাড়াতে পারো জন্মাবধি, তাড়াতে পারবে কি কবরে?
দেহ মিনার ছুঁয়ে দেখো সরলতায় আমি হারাইনি বেশি দূরে…
আমার সাথে মিশে যাচ্ছে দিন বদলের হাওয়া
মনে মনে সেও মিশেছে যেন দিন বদলের হাওয়া… কেনো যে আমাকে তাড়াতে চাচ্ছো বলো?— বিষয়স্থিরতা অ-ঘুচানো অসারতা… এসো, বাঁধন টুঁটে ছাপিয়ে ধরি চেনা অচেনা গন্ধ, সবরকম হাহাকার… আমাকে জাগাতে চাও তুমিসহ শত-শত আঘাত; তাড়াতে চায় কিছু কথা, কিছু ঋণ ইচ্ছের হাত! কান পাতলেই শুনি মরা সুখে কে যে মন টেনে ধরেছে আশায়। সবুজ ঘাসের ভেতর নিজেদের ইচ্ছেকে পাশাপাশি রেখে সংগোপনে বলি সুখদীর্ঘ যাপনের কথা
আমার পাশ ঠেলে পাড় হতে চাচ্ছো তুমিসহ নিজেরি জীবন-ধারাপাত
এতো এতো চেনা জানার ভেতর কেনো জাগছো না তুমি ইচ্ছের হাত
বুক খোলা দেহের ত্রাস
সারসত্যকথা নিজেদের বিশ্বাস, জানে কি ভরা-ছায়া-মরা-গাছ; একান্ত ব্যথাবিশ্বাস নিজের সাথে মানিয়ে নেয় কি সহজ? হাড়ের সম্পর্ক বেমানান বলবো না, হতে পারে দ্বন্দ্ব ভেদাভেদ দৃষ্টিভ্রমসহ কঠিন কাজ। স্বতই আমি পাঠ নিচ্ছি বুক খোলা দেহের তাস!… সকল সঙ্গ করিয়াছি ত্যাগ; সকলিই জানতে চায় নদী কেনো এতো-এতো বাঁক নেয়? ক্ষণমুহুর্ত্বপ্রহর নিজ জিজ্ঞাসার ভেতর নিঃশব্দতা প্রিয়বোধ… ঘাসফুলে বেঁচে থাকে আশা, ইচ্ছেমৃত্যুসহ জানার হৃদয়
ফিরতে ফিরতে আর ফেরলো না বাঁকানো সারসত্যকথা নিজেদের বিশ্বাস
কথা ও ঘটনা তুমিও কি জেনেছো? কেনো হয় বুক খোলা দেহের ত্রাস!
আড়াল থাকো না প্রিয়বেদনা
পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে দেহের খলবল ক্রমশ বাড়ছে… গতি-কৌতূহল নাচিয়ে তুলছে বাঁধা ও ভীতি, আমাকে তাতিয়ে রাখছে সব অনুভূতি… আমি অনুভূতি পাঠ নিতে জানি, কিন্তু প্রতিশ্রুতি আমাকে ধাক্কা দিলেই সব নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে অনুভূতির আঘাতে! গাছের ছায়া আর খাড়া রোদের ভেতর জমিয়ে রাখি অশ্রুবিন্দু, ভয়ভীতি… খলবল হয়ত কমে যাবে
আমার ভেতর আমাকেই চাষ করি; যাহা কেউ জানলে না
আমার ভেতর তোকেও পুষি; আড়াল থাকো না প্রিয়বেদনা
আমি তার চোখের ভেতর আমাকেই দেখি
চাইলেই সব কিছু হাতের নাগালে আসে কি? যেমন, নোনা জলের স্বাদ আফালি-বাতাসের ঘ্রাণ… বুকটান। ধ্যানে বসে রাশি গুনলেই দেখি কোমল বুকের ভেতর কে যেনো বসে আছে আনমনে; চোখের পরতে গুছিয়ে রাখছে শেষ বারের মতো কারো দৃষ্টি অনুভব; তিনকোঁচা শাড়ির ভাঁজে লুকিয়ে রাখছে খরাস্বপ্ন পাথর ফুলের ঘ্রাণ।কঙ্কনের শব্দ টনটন করে বাজলেই আমার বুকে গাঁথে তীর ও ধনুক। আমি তার চোখের ভেতর আমাকেই দেখি!
আমি তার চোখের ভেতর আমাকেই দেখি! সে-কি তা জানে?
চোখের ভাঁজে লুকানো যত স্মৃতিকথা এখন আর পড়ে না মনে
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।