সেই দু-ভাইয়ের কথা মনে আছে? কদিন আগে তিন রহস্যের গপ্পো দিয়েছিলাম। আরো দুটি এডভেঞ্চার নিয়ে এবারে বানানো হল, একসাথে দুই। আরেকটি ই-বুক এডভেঞ্চার। বইয়ের মাঝখান থেকে এক খামচি তুলে দিলাম। মূল বইয়ের লিঙ্ক পোস্টের নিচের দিকে।
ঈদের ছুটিতে আরাম করে জমিয়ে পড়েন।
----------------------------------------------
আকমল উত্তরটা দিল তাড়াতাড়িই। বলল, 'দেখেশুনে মনে হচ্ছে ড্রাইভারটা। অতুলকে খুন করে টাকাগুলো নিয়ে পালিয়েছে। বোধহয় লোভ সামলাতে পারেনি।
কিংবা আগে থেকেই এধরনের মতলব ছিল। সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। '
শান্ত প্রশ্ন করল, 'ও থাকে কোথায় ?'
আকমল বলল, 'আগারগাঁয়ে কোথায় যেন। আমি বাড়ি চিনি না, তবে একদিন তালতলার কাছে গাড়ি রেখে কি কাজে গিয়েছিল। মিনিট দশেকের মধ্যেই ফিরেছে।
মনেহয় মুল রাস্তার কাছেই। '
শান্ত বলল, 'ওর বাড়িতে কে কে থাকে ?'
আকমল বলল, 'বউ থাকে শুধু। পুলিশ ওকে এ্যারেষ্ট করেছে গতকালই। সে বলছে হালিম সকালে বের হওয়ার পর আর ফেরেনি। কিন্তু জানেনই তো, এরা কখন কোথায় বিয়ে করে ঠিক নেই।
হয়ত অন্য কোথাও সংসার পেতেছে। তাকে পেলেই সমাধান হবে মনে হচ্ছে। '
'হুঁ' বলে চুপ করে গেল শান্ত।
কিছু একটা ভাবছে। কিছু একটা গড়মিল পেয়েছে কোথাও।
এই ভঙ্গি কমলের খুব পরিচিত। নিশ্চয়ই প্রশ্ন করে যা পেতে চেয়েছিল সেটা পায়নি। অথবা যা পেয়েছে সেখানে একের সাথে অন্যের মিল নেই।
আকমল ইতস-ত করছে। কি যেন বলবে বলবে করছে।
বলবে কিনা ঠিক করতে পারছে না। শান্ত তাকে যেন কোন গুরুত্বই দিচ্ছে না। বিষয়টা একটু অস্বাভাবিক মনে হল কমলের কাছে। সাধারনত কেউ সামনে থাকলে তারসাথে খুব আগ্রহ নিয়ে কথা বলে সবসময়। বিরক্ত হলেও সেটা প্রকাশ করে না।
এর ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে না কেন ?
আকমল পকেটে হাত ঢুকিয়ে একটা সিগারেটের প্যাকেট বের করল সে। সোনালী রঙের নতুন প্যাকেট। হাতে কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করল। তারপর আসে- করে খুক করল। শান্ত তাকাতে প্যাকেটটা বাড়িয়ে ধরল।
'সিগারেট ?'
'না, ধন্যবাদ। আমি স্মোক করি না। ' হেসে জানাল শান্ত।
সে অপ্রস'তভাবে সিগারেটের প্যাকেটটা রেখে দিল টেবিলে।
নিজেও ধরাল না, লক্ষ্য করল কমল।
ওর হাতটা কি সামান্য কাঁপছে ? ঠিক ধরতে পারল না সে। তবে লোকটা যে একেবারে স্বাভাবিক আছে তাও মনে হল না। হয়ত ভুলতে পারছে না ঘটনার কথা। হয়ত সে যত সহজভাবে বলল কোম্পানী তত সহজভাবে নেয়নি বিষয়টা। যদি এত সহজভাবে নিত তাহলে তাকে গোয়েন্দার কাছে আসতে হত না।
চল্লিশ লক্ষ টাকা অনেক টাকা। তাকে দোষী করলে, যদি ক্ষতিপুরন করতে হয় তার বহুবছরের বেতন একসাথে করতে হবে। হয়ত বাকী জীবন বিনাবেতনে কাজ করতে হবে।
তেমন কোন নিয়ম আছে না-কি ? হঠাৎ করেই কমলের মনে হল কথাটা। যদি টাকা না পাওয়া যায় তাহলে কোম্পানী তার কি করতে পারে ? সে যখন চুরি করেনি।
তার যতটুকু করার ছিল সে ঠিকমতই করেছে। টাকা উঠিয়ে দিয়েছে। তারপর কোম্পানীরই অন্য কাজ করতে গেছে।
'একটা কথা। ' ইতস-ত করল আকমল।
সোজা তার দিকে মুখ তুলে তাকাল শান্ত, 'বলুন। '
আকমল ইতস-ত করে বলল, 'আমার কোম্পানীর ডিরেক্টরদের সাথে যদি একটু কথা বলেন। মানে ওনারা, বড়লোক মানুষ- বোঝেনই তো। সহজ বিষয়কেও জটিল করে তুলতে চান। আপনার যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে-'
'আমার কথা বলার বিষয় কি?' যথেষ্ট অবাক হয়েই জানতে চাইল শান্ত।
আকমল আগের মতই ইতস-তভাব বজায় রেখে হাত কচলে বলল, 'এই মানে- যদি বলেন যে আপনি বিষয়টি দেখছেন তাহলেও হয়। একটু আস্বস- করা আরকি-'
একটু সময় নিল শান্ত উত্তর দিতে। বলল, 'বেশ, আমি একটু খোঁজ নেই আগে। '
হাঁটুর ওপর হাত রেখে ওঠার প্রস'তি নিল আকমল। বলল, 'আমি আজ উঠি তাহলে।
একেবারে যন্ত্রের মত ব্যস- থাকতে হয় সারাদিন। কোনদিকে একটু সময় দিতে পারিনা। দিনের আলো দেখার সময় পর্যন্ত পাই না। '
'আপনার সেই কাজ হয়েছে ঠিকমত ?' হঠাৎ করেই যেন প্রশ্নটা করল শান্ত।
'কোন কাজ ?'
'যে কাজের জন্য আপনি গাড়ি ছেড়ে গেলেন।
'
উঠে দাঁড়িয়েছে আকমল। বলল, 'না, তারসাথে দেখা হয়নি। ও হ্যাঁ, আপনার কাজের জন্য তো ফি দিতে হয়। আমি আপনাকে টুয়েন্টি থাউজেন্ড পে করব ভাবছি কাজটার জন্য। আশা করছি কালকেই দিতে পারব।
আর ওদের দুজনের ছবি। আর কিছু লাগবে ?'
'আপনার কন্ট্যাক্ট নাম্বারটা দরকার হতে পারে। '
আকমল পকেট থেকে একগোছা কার্ড বের করল। কমল দেখল বিভিন্নজনের নানারকম কার্ড। নিজের একটা কার্ড বের করে শান্তর দিকে এগিয়ে দিল।
টেবিল থেকে তার জিনিষপত্র উঠিয়ে নিল।
তারপর বাইরে চলে গেল।
কমল একবার তার যাওয়ার দিকে একবার শান্তর দিকে তাকাল।
----------------------------------------------
ফ্রি ডাউনলোডের জন্য একসাথে দুই
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।