হুশিয়ারি :- আমার ব্লগে কেউ সাহিত্য খুইজেন না । ইহা একটি মাকাল পরিবেশনা।
হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে মেইন রাস্তায় বাস পেয়ে গেলাম। এবার আমাদের গন্তব্য কান্তজী মন্দির (কান্তনগর মন্দির)। পনের মিনিট পর সকাল ৯টার দিকে কাঞ্চন নদীর উপর নির্মিত ভাদকা ব্রীজ পাড় হয়ে রায়পুর নামক এক জায়গায় বাস থেকে নামলাম।
সেখান থেকে ভ্যান গাড়ী ভাড়া করে গ্রামের ভিতর দিয়ে আমরা চললাম কান্তজি মন্দির দর্শনে। প্রকৃতির অপরূপ শোভা দেখতে দেখতে ২৫/৩০ মিনিট পরেই কান্তজি মন্দিরের গেটে এসে পরলাম। এখানে পুজা ও মেলা চলছে। মন্দির কে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ।
দিনাজপুরের জমিদার মহারাজা প্রান নাথ ও তার পুত্র রামনাথ কর্তৃক এই মন্দিরের নির্মান কাজ শুরু হয় ১৭০৪ইং সালে শেষ হয় ১৭৫২ইং সালে।
টেরাকটার নিপুন কাজ করা অসাধারন সুন্দর এই মন্দিরটি বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রন্ততাত্তিত নিদর্শন।
পুরো মন্দিরটা ঘুরে দেখলাম। শত শত লোকের সমাগম মন্দিরকে ঘিরে। মেলা বসেছে মন্দিরের বাউন্ডারি ওয়ালের ভেতরে আর বাইরের মাঠে। ভিতরের দোকানগুলোতে ধর্মীয় বই, পুজা সামগ্রী বিক্রি হচেছ আর বাইরে খাবার, খেলনা ইত্যাদির দোকান।
মিষ্টির দোকান থেকে আমরা ০৩ জন বিশাল সাইজের মিষ্টি স্থানীয় নাম নেংচা খেলাম।
এবার যাওয়ার পালা। পেছনের মেঠো পথ ধরে হাটতে লাগলাম। ২০/২৫ মিনিট হাটার পর চড় পরা একটা নদীর সামনে আসলাম। বাঁশ দিয়ে নদীর উপর ব্রীজ করা হয়েছে।
টাকার বিনিময়ে সেটার উপর দিয়ে মানুষ ভ্যান গাড়ী, রিক্সা পারাপার হয়। আমরা ধীর গতিতে নদীর স্বচ্ছ পানি আর হালকা স্রোত দেখতে দেখতে ব্রীজ পার হোলাম। সামনেই কান্তনগর বাস স্ট্যান্ড।
বাসে উঠে পরলাম। আমাদের এবারের গন্তব্য দিনাজপুর রাজরাড়ি।
স্মৃতি: ১৪ নভেম্বর ২০০৮, শুক্রবার।
তথ্য: http://en.wikipedia.org/wiki/Kantajew_Templ
প্রথম পর্বের লিংক :
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।