তার্কিক দুই প্রকার: সু-তার্কিক আর কু-তার্কিক...
কঠিন চিজ এর পোষ্ট এর প্রেক্ষিতে এই লেখা:
আমাকে ভুল বোঝার কোন কারন নাই।
---------------------------------------------------------------------------------
চার বিয়ে করা যে আবশ্যক না সেটা আপনি নিজেও ভালো করে জানেন। আপনি আপনার সারা জীবনে কয়জন মুস্লিম পুরুষ দেখেছেন যারা একধিক বঊ নিয়ে সংসার করছেন? আমি এখনো সাম্নামাম্নি কাঊকে দেখিনি। বঊ মারা যাবার পর আরেকটি বিয়ে করেছেন এমন দেখেছি। সেটা দরকার পরলে আপনিও করবেন।
---------------------------------------------------------------------------------
সকল কালের এবং সকল যুগের জন্য যে মুহাম্মদ (সঃ) সর্বশ্রেষ্ঠ এবং অনুকরনীয়, অনুসরনীয় আদর্শ ইহাতে কোন সন্দেহ নাই। সন্দেহ কারীরা কাফের।
সেই প্রসঙ্গেই বলছি। ১৯৯৮ ইং সনের কথা আমার এলাকার একটি বালিকা বিদ্যালয়ের একজন হিন্দু মহিলা শিক্ষিকা অপর এক মুসলিম পুরুষ শিক্ষককে প্রশ্ন করে :
আপনাদের নবী নাকি ৪৯ বছর বয়সে ৯ বছরের মেয়েকে বিবাহ করেছিলেন?
জবাবে পুরুষ ঐ শিক্ষক (আওয়ামী লীগ সমর্থক) তাচ্ছিল্য এবং ঘৃণার ভাব প্রকাশ করে জবাব দেয়:
আরে এ-তো একটা ................ (গালি জাতীয় শব্দ) নাউজুবিল্লাহ্।
অন্য টিচাররা সংলাপটি শুনে ফেলে: ফলে সাখে সাথেই স্কুল সংলগ্ন বাজারে এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা- অবশেষে মিটিং.. মিছিল।
এলাকার মাওলানা সাহেবরা একত্রিত হন। ঐ সমালোচক মুসলিম টিচারকে মসজিদে এনে তওবা করান। আমি যতদুর জানি, কালের পরিক্রমায় ঐ সমালোচক মাষ্টার সাহেব গত ২ বছর আগে হজ্ব করেছেন।
আমার এই প্রসঙ্গে কথা বলার কারন:
সাথে সাথে আমার ভাবনায় যে কথাটি এসেছে তা হলো নিম্নরূপ:
১. ঐ লোকটি যদি আরব দেশে জন্ম হতো তাহলে হয়ত রাসুল (সঃ) সম্পর্কে এই বাক্য উচ্চারন করতোনা। কারন ওদের সমাজ ব্যবস্থায় নিজের নাতির বয়েসী মেয়েকে বিবাহ করা কোন দোষের বিষয় নয়।
এমনকি দাদার বিয়েতে নাতিরা এবং সন্তানেরা আরো বেশী আনন্দ করে। এসব কোন বানানো কথা নয়-আমি নিজে আরব দেশে কাটিয়েছি-৮ বছর। যা দেখেছি তাই বলছি।
২. কয়েক বছর আগে নোয়াখালীর বাঙ্গালী বিবাহিত কুয়েতী ড্রাইভার এর জন্য কুয়েতের ধনকুবেরের কন্যা জেনে শুনেই চলে এসেছিলেন। বাংলাদেশের অবিবাহিত কোন মেয়ের বেলায় যা কল্পনাও করা যায় না।
কারন ছেলেটি বিবাহিত।
২. আমি নিজে অনেক ভাবেই যাচাই করেছি-হাদিসের কোন কিতাবে কোথাও এই রেফারেন্স পাওয়া যায কিনা যে- আমি অল্প বয়সী মেয়েকে বিবাহ করেছি তোমরা করোনা। আমি কোথাও পাইনি- কারন রাসুল (সঃ) এর প্রতিটি কর্ম ছিল সকল যুগের সকল কালের জন্য মডেল। আর এই মডেলকেই সুন্নত বলা হয়। আর সে প্রসঙ্গেই হাদিসটি এসেছে যে: রাসুল (সঃ) এর একটি সুন্নত জীবিত করা এক হাজার শহীদের সমান সওয়াব।
প্রয়োজন আসলে একাধিক বিবাহ করার সুন্নত আরব দেশে জীবিত থাকলেও ---- আমাদের দেশে তা মৃত।
৩. পোষ্টের প্রথম অংশে বলা ঐ মাষ্টার সাহেবকে তওবা করানো যেমন মাওলানা সাহেবদের দায়িত্ব- তেমনি তার আগে প্রয়োজন নিজেদের সংশোধন। নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর সুন্নত জীবিত করার চেষ্টা রাখা। আমাদের দেশের আলেমরা সে চেষ্টা রাখেন না- আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এবং আইন এমনভাবে বদলে গেছে। কারন কয়জন আলেম নিজেরা একের অধিক বিবাহ করেছেন? নিজের সন্তানকে বিবাহ দেওয়ার সময় এই কথাটি তারা কতবার বলেন যে ছেলের বয়স বেশী-মেয়ের বয়স কম।
৪. আর এদেশের আইনটিও এমন ভাবে করা হয়েছে যা ইসলামের মৌলিক ভিত্তির পরীপন্থী। রাসুল (সঃ) এর হাদিস "তিনটি কাজ তোমরা তাড়াতাড়ি শেষ করবে -
১. নামাজের সময় হলে আদায় করে ফেলবে। ২. ছেলে-মেয়ের বিবাহ উপযোগী বয়স হলে তাড়াতাড়ি সেরে ফেলবে। ৩. মৃত ব্যাক্তিকে দাফন।
অতএব আমার প্রশ্ন হলো: এদেশের ছেলে মেয়েরা কি শুধুমাত্র ১৮ এবং ২৫ বছর বয়সেই বিবাহের উপযোগী বয়েস হয়?
উপমহাদেশের বিখ্যাত মুজাদ্দেদ - মুজাদ্দেদে দেহলবী (রঃ) বলেছেন: ভারতীয় উপমহাদেশের যে সমস্ত আলেম এক একাধিক বিবাহ করেন নাই তাহাদের ইমান বিষয়ে প্রশ্ন করার/সন্দেহ করার অবকাশ আছে।
আর কেন এই কথাটি তিনি কেন বলেছেন: আমার উপরোক্ত আলোচনায় আশাকরি বুঝতে পেরেছেন। জায়েজ বিষয়টিকে জায়েজ আর না-জায়েজ বিষয়কে না জায়েজ মনে করা ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের অংশ। কোন আইন এবং অণ্য কোন কারন দ্বারা জায়েজ না-জায়েজ হবেনা।
কঠিন চিজ এর আর একটি পোষ্ট: নাস্তিদের নৈতিক রূপ : লেখাটি পড়লাম-ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।