আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে...
রাত ১২টার পর ব্লগে খুব খেয়াল করে দেখছিলাম, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসকে কেউ স্মরণ করছে কিনা ব্লগে, যেখানে কিনা মুক্তিযুদ্ধ ইস্যুতে মুহুর্মুহু ভারী গোলাবিনিময় চলে সর্বক্ষণ। শেষে পোস্ট একটি পাওয়া গেল বটে, তবে লক্ষণ সুবিধার নয়। আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সামান্য সময়ের ব্যবধানে দেওয়া দুটি পোস্টের পরিসংখ্যান দেখলাম একনজর-
প্রিয় দুইজন ব্লগারকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা : শুভ জন্মদিন
মুহূর্তেই ২১টি মন্তব্য, ৫৯ বার ইতিমধ্যে পঠিত, ৫ জনের ভাল লেগে গেছে অলরেডি।
আগামীকাল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
মোটে ১ টি মন্তব্য, টেনেটুনে ১৮ বার পঠিত, পোস্টটি ০ জনের ভাল লেগেছে, ০ জনের ভাল লাগেনি!
প্রশ্ন উঠতে পারে, কিসের মধ্যে কী, পান্তা ভাতে ঘি? কথা ঠিক। তাছাড়া হে গর্দভ, একটার সঙ্গে আরেকটাকে মিলিয়ে কি খুব সুবিবেচনার পরিচয় দিলা মিয়া, ফিউশন ফাইভ? অবশ্যই, অবশ্যই, একে ঠিক সুবিবেচনা বলা যায় না।
প্রিয়জনের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোয় দোষের কিছু নেই, বরং অভিনন্দনযোগ্য। কেউ আহত হলে বরং আগাম ক্ষমা চেয়ে রাখছি। তাছাড়া ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বলে কি কারো জন্ম আটকে থাকবে নাকি? হুমম... তাও ঠিক। তারপরও, ইদানিং পরিসংখ্যান দেখে বুকের কোথাও কী যেন খালি হয়ে যায়! মনে হয় যে, এই জাতির কোথাও সঙ্গোপনে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
এমনিতে আমি মনে করি না, ব্লগে লম্ফঝম্ফ করে, বিশাল কাহিনী-টাহিনী ফেঁদে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কায়েম করা যায়।
ব্লগের অভিজ্ঞতা থেকে সেটা খালি চোখেই দেখা যায়। বরং আমাদের সবকিছুই গৎবাঁধা হয়ে গেছে। আমরা আগের চেয়ে অনেক বেশি মেপে মেপে কথা বলি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক লেখালেখিতে আমরা কী রকম প্রতিক্রিয়া দেখাই, আমি একটি তালিকা তৈরি করেছিলাম বেশ অনেকদিন আগে। মূলত সেই তালিকা অনুসারেই এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক যাবতীয় প্রতিক্রিয়া প্রকাশিত হচ্ছে।
তবু একটা লাইন কেউ লিখলে, কেউ একটু লোকদেখানো হা-হুতাশ করলেও একটু স্বস্তি পাই, খানিকটা ভরসা পাই যে, নাহ্ লোক আছে এখনো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।