যশরাজ ফিল্মসের ব্লগে এক পোস্টে বলা হয়েছে, “যেভাবে গল্প তুলে ধরা হয়েছে তাতে অনেক বাংলাদেশি ভাই আপত্তি জানিয়েছেন।
“চলচ্চিত্রের কাহিনি ও গল্প পুরোপুরি কাল্পনিক। কোনো জাতি, সমাজের বিশেষ কোনো অংশ বা কোনো ব্যক্তির প্রতি অশ্রদ্ধা দেখানোর অভিপ্রায় নেই। তারপরেও এতে কেউ আহত হলে বা কারো প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করা হয়েছে বলে মনে করলে আমরা তার জন্য ক্ষমা চাইছি। ”
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘গুন্ডে’চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়।
এতে বাংলাদেশের জন্মকে দেখানো হয়েছে ভারত-পাকিস্তানের ১৩ দিনের যুদ্ধের ফল হিসেবে, যা শুরু হয় ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর।
আলী আব্বাস জাফর পরিচালিত ওই চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়ার পরপরই ব্লগ ও ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। গুন্ডেতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করার পাশাপাশি ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
এরপর বুধবার ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেয় যশরাজ ফিল্মস।
এতে বলা হয়, “মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই একটি স্বাধীন দেশের জন্ম হয়।
এটা কখনোই ভোলার নয়। স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশের মানুষকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে।
“তবে ‘গুন্ডে’ একটি কল্পিত কাহিনী (ফিকশন), যাতে যুদ্ধে বাস্তুচ্যুৎ হওয়া পরিবারের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।