আমি ঘুরিয়া ঘুরিয়া সন্ধানো করিয়া স্বপ্নেরও পাখি ধরতে চাই আমি স্বপ্নেরও কথা বলতে চাই আমার অন্তরের কথা বলতে চাই...
আমি মানুষের পোশাকের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।
একজন মানুষের যেমন কোট-টাই স্যুটেড বুটেড হয়ে কচুক্ষেত বাজারে মাছ কেনার অধিকার আছে,ঠিক তেমনি আছে গ্যেঞ্জি আর ট্রাউজার পরে মার্সিডিজ কেনার অধিকার।
একটা মেয়ের যেমন শাড়ি কিংবা সেলোয়ার কামিজ পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে আসতে পারে তেমনি আসতে পারে হিজাব করে, আপাদমস্তক বোরখায় ঢেকে।
এটা তার একান্তই ব্যাক্তিগত ইচ্ছা, শুধু দেখার বিষয় শাড়ি কিংবা বোরখা তাকে জোর করে পরানো হচ্ছে কি না। সে যদি নিজের ইচ্ছায় পরে, এই দেশে কারো অধিকার নেই তাকে এটা করতে বাঁধা দেয়ার।
আজকাল একটা ট্রেন দেখা যায় হিজাবী মেয়েদের আমরা মনে করি ব্যাকডেটেড, মৌলবাদী, বোকাসোকা। আমরা বোঝানোর চেষ্টা করি
"তুমি মিয়া হিজাব করো, এই জটিল দুষ্কর কর্ম তোমারে দিয়া হইব না। "
"হ্যালো মিয়া ভাই, হিজাব মানুষের আই কিউতে কোন প্রভাব রাখে না, খুব খিয়াল কইরা..."
দেশের ৮৫ ভাগ মানুষ মুসলমান, আর তাদের অর্ধেক মেয়ে।
একটা মেয়ে যদি মনে করে হিজাব তাকে প্রোটেকশন দিচ্ছে তাহলে অবশ্যই এবং অবশ্যই সে হিজাব করবে।
আমার খুব পরিচিতজনের কাছে হিজাব নিয়ে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা শুনী, আজকের ঘটনা শুনে আর চুপ করে থাকা গেল না।
আমার সেই পরিচিতজন গেলেন শহরের এক নামীদামী কলেজে ইন্টারভিউ দিতে, এবং অবশ্যই আপাদমস্তক হিজাব পরিহিতা। বোর্ড থেকে তাকে জানানো হল যে, তিনি নির্বাচিত কিন্তু সমস্যা হলো তাদের প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ।
তবে তিনি যদি একটু কম্প্রোমাইজ করেন, অর্থাৎ হিজাবটা খুলে মানুষ হয়ে আসেন তাহলে হয়ত আজকেই জয়েন করতে পারবেন।
দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে শ্রেষ্ঠ ফলাফল নিয়ে আসা আমার সেই পরিচিতাটি
তার আত্মসম্মান কেই বেছে নিলেন বরাবরের মত।
মুখের ওপর এক কথায় না বলে আসলেন।
তার কথায় কর্তৃপক্ষ প্রচণ্ড অবাক হলেন,
এ চাকরির জন্য অনেকেই এক পায়ে খাড়া।
কিন্তু তারা মোটেও অপমানিত বোধ করলেন না,
তিনি যে সেই লোকগুলোর মুখে ঘুষি মেরে এসেছেন
সেটা তারা সম্ভবত এখনও বুঝতে পারে নি......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।