আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টেকনিক্যাল সাপোর্ট (কৌতুক)

আমার ব্লগে আপনাকে ............... স্বাগতম

এক ব্যক্তি টেকনিক্যাল সাপোর্টে চিঠি লিখেছে- ডিয়ার টেকনিক্যাল সাপোর্ট, গত বৎসর আমি গার্লফ্রেন্ড ৭.০ থেকে ওয়াইফ ১.০ তে আপগ্রেড করেছিলাম। তার কিছুদিনের মাঝেই আমি বুঝতে পারলাম এটি অযাচিত ভাবে একটি চাইল্ড প্রসেসিং শুরু করেছে যা অনেক জায়গা এবং রিসোর্স নিয়ে নিচ্ছে। শুধু তাই নয়, ওয়াইফ ১.০ ইনষ্টল হওয়ার সাথে সাথে অন্য প্রোগ্রামগুলোর সাথে ইন্টিগ্রেটেড হতে শুরু করেছে এবং বর্তমানে এটি সব ধরনের সিস্টেম একটিভিটি মনিটর করতে শুরু করেছে। ওয়াইফ ১.০ যেসকল প্রোগ্রামের সাথে কনফ্লিক্ট শুরু করেছে তার কয়েকটি- পোকার নাইট ৭.১, ফুটবল ৫.০, হান্টিং এন্ড ফিসিং ৭.৫ এবং গলফিং ৩.৬। আমি ওয়াইফ ১.০ কে কিছুতেই ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসে পাঠিয়ে আমার প্রিয় এপ্লিকেশনগুলো রান করাতে পারছি না।

তাই আমি ঠিক করেছিলাম আমার আগের গার্লফ্রেন্ড ৭.০ তে যাওয়ার ব্যপারে। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য ওয়াইফ ১.০ তে কোনরকম আনইনস্টল প্রসিডিউর নাই। দয়া করে আমাকে উদ্ধার করুন। ধন্যবাদ সমস্যাগ্রস্থ গ্রাহক। – পরের দিন টেকনিক্যাল সাপোর্ট থেকে জবাব এসে হাজির- জনাব সমস্যাগ্রস্থ ব্যবহারকারী, এটা খুবই কমন একটি সমস্যা যেটির বিষয়ে প্রায়ই লোকজন অভিযোগ করে থাকে।

বেশীরভাগ লোকই গার্লফ্রেন্ড ৭.০ থেকে ওয়াইফ ১.০ তে আপগ্রেড করে এটিকে একটি ইউটিলিটি প্রোগ্রাম ভেবে যা তাদের এন্টারটেইনমেন্টের জন্য কাজে আসবে। কিন্তু আসল সত্যটা হচ্ছে ওয়াইফ ১.০ একটি অপারেটিং সিস্টেম যা ডিজাইন করাই হয়েছে সবকিছুর নিয়ন্ত্রন ভার নিজের কাছে নিয়ে নেয়ার মত করে। এবং এটিকে ডিলিট করার কোন উপায় নেই… এমনকি আনইষ্টল করারও কোন ব্যবস্থা নেই। এটি একবার যেখানে সেটাপ হয়ে যায় সেখানের সমস্ত সিষ্টেম ও প্রোগ্রাম ফাইলকে সরিয়ে জাঁকিয়ে হয়ে বসে। যাকে বলা যেতে পারে উড়ে এসে জুড়ে বসা! আপনাকে আমরা দুঃখের সাথে জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে আপনি ওয়াইফ ১.০ থেকে আর কোনদিনই গার্লফ্রেন্ড ৭.০ তে ফেরত যেতে পারবেন না… কারন এটি আপনাকে তা করতে দিবে না।

আপনি দয়া করে ওয়াইফ ১.০ এর সাথে দেয়া সতর্কতাবাণী-মেইনটেনেন্স/চাইল্ড সাপোর্ট ম্যানুয়্যালটা পড়ে নিবেন। আপনার জন্য আমাদের পরামর্শ হলো আপনি ওয়াইফ ১.০ তেই থাকুন এবং চেষ্টা করুন পরিস্থিতি কিভাবে উন্নতি করা যায়। আমরা আপনাকে আরো উপদেশ দেব একটি ব্যাকগ্রাউন্ড এপ্লিকেশন সেটাপ করে নেয়ার ব্যপারে যা এটির যেকোন আর্গুমেন্টে “ইয়েস ডিয়ার” রিটার্ন করবে। এটি নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য আপনি সবসময়ই প্রথমে C:\APOLOGIZE! কমান্ডটি ব্যবহার করবেন। কারন শেষ পর্যন্ত আপনাকে ‘APOLOGIZE’ কমান্ডটাই ব্যবহার করতে হবে সিষ্টেম স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত আনার জন্য।

তবে আমরা আপনাকে পুরোপুরি নিরাশ করতে চাই না..। বস্তুত ওয়াইফ ১.০ একটি চমৎকার প্রোগ্রাম কিন্তু এটিকে অনেক যত্নের সাথে রাখতে হয়। ওয়াইফ ১.০ অবশ্য বেশ কিছু সাপোর্ট প্রোগ্রাম সহকারে সেটাপ হয়ে থাকে, যেমন ক্লিন এন্ড সুইপ ৩.০, কুক ইট ১.৫ এবং ডু বিল ৪.২। তবে এসব প্রোগ্রাম ব্যবহারের সময় আপনাকে খুবই সচেতন থাকতে হবে। কারন এই প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে গিয়ে একটু উনিশ বিশ হলেই কিছু থার্ড পার্টি প্রোগ্রাম ‘ক্যাট ক্যাট ১.৯’, ‘কাউ কাউ ৪.৯’ এক্সিকিউটেড হয়ে যাবে।

আর একবার যদি তা হয়ে যায়.. তাহলেই সারছে! সিষ্টেমের বারোটা বেজে যাবে। তখন সিষ্টেমের আগের পারফরমেন্স ফেরত আনতে আপনাকে আরো বেশ কিছু ইউটিলিটি টুল কিনতে হবে। আমরা এক্ষেত্র আপনাকে ফ্লাওয়ার ২.১ ও ডায়মন্ড ৫.০ কেনার পরামর্শ দেব। বিশেষ সতর্কতা: কোন রকমেই.. কোন অবস্থাতেই কোনরকম স্যাক্রেটারী উইথ শর্ট স্কার্ট ৩.৩ সেটাপ করতে যাবেন না। এই ধরনের এপ্লিকেশগুলো ওয়াইফ ১.০ এর সাথে একদমই ম্যাচ করে না এমনকি ফাইবার অপটিক লাইন কেটে গেলেও ৯০০ মেগাবাইট সাইজের অশান্তি ৯.৯ মূহুর্তের মাঝেই ডাউনলোড করে সিষ্টেমে বড় ধরনের ড্যামেজ করে দিতে পারে।

বুইঝেন কিন্তু…. আপনার মঙ্গল কামনা করছি টেকনিক্যাল সাপোর্ট অফিসার। (কাটপেষ্ট কৌতুক)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.