বাংলাদেশে এখন মুদি দোকানের ব্যবসার মত ঔষধ ব্যবসাও জমজমাট। কোন প্রকার মনিটরিং না থাকায় যথেচ্ছ মূল্যে ঔষধ বিক্রির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই লাভজনক এই ঔষধ ব্যবসাকে বেছে নিয়েছে। প্রথমত অবৈধ ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান,দ্বিতীয়ত লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ঔষধের দোকান,এ দুই মিলে জীবনরক্ষাকারী ঔষধ এখন মৃত্যুদূতে পরিণত হয়েছে। কেননা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রমতে এদেশে প্রায় ৭৪৫টি বৈধ ঔষধ উৎপাদনকারীর পাশাপাশি প্রায় ১০ হাজার অবৈধ ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল,আমাদের দেশে নাকি আটা-ময়দা ও বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এন্টিবায়োটিক ক্যাপসুল,জ্বর,সর্দি-কাশি কিংবা ব্যথার প্রতিষেধক তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও দেশের প্রায় তিন লাখ ফার্মেসির মধ্যে দুই লাখ দশ হাজার ফার্মেসির কোন লাইসেন্স নেই,আর বাকি যেগুলোর লাইসেন্স আছে সেগুলো আবার সময়মত নবায়ন করা হয় না। ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ঔষধ সেবনে প্রতিনিয়ত জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পতিত হচ্ছে। এতসব অনিয়মের পরও এগুলো বন্ধের লক্ষ্যে তেমন কোন জোরালো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না,যাও নেয়া হচ্ছে তা এগুলো বন্ধের জন্য পর্যাপ্ত নয়। কিন্তু এ-রকমটা আর বেশিদিন চলতে থাকলে এর ভুক্তভোগী হতে হবে আমাদের সবাইকে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।