আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দায়িত্ব সরকারের: international criminal court



আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সভাপতি বিচারপতি স্যাং হুন সং বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারকেই নিতে হবে। সরকারকে ডিঙিয়ে ৩৭ বছরের পুরনো ইস্যু নিয়ে কাজ করা আইসিসির দায়িত্ব নয়। সরকার চাইলে বিচার প্রক্রিয়ার সক্ষমতা গড়ে তুলতে আমরা সহযোগিতা করতে পারি। গতকাল হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক সেমিনারে অংশ নিতে তিন দিনের সফরে আইসিসি সভাপতি ঢাকায় এসেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি স্যাং বলেন, যে কোনো দেশের অপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট দেশকেই শুরু করতে হয়। বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দায়িত্ব মূলত বাংলাদেশ সরকারেই। সরকারকেই প্রাথমিকভাবে এর উদ্যোগ নিতে হবে। এখানে সরকারকে ডিঙিয়ে ৩৭ বছরের পুরনো এই ইস্যু নিয়ে কাজ করা আইসিসির দায়িত্ব নয়। বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার পরে সরকারের পক্ষ থেকে কোনোরকম সহায়তা চাইলে ক্যাপাসিটি ব্লিডিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা দিতে পারি।

এক্ষেত্রে আগ বাড়িয়ে আমরা কিছুই করতে পারি না। আন্তর্জাতিক আইন এবং আইসিসির সংবিধিতে এই বিষয়টি সুস্পষ্ট। তবে কোনো দেশ যদি এ ধরনের বিচার করতে সম্পূর্ণরূপে অসমর্থ হয় তাহলে আইসিসি পদক্ষেপ নিতে পারে। আমি মনে করি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের বিশেষজ্ঞ এবং প্রয়োজনীয় আইন রয়েছে। তাই বাংলাদেশ সরকারের উচিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া নিজেদেরই শুরু করা।

সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশীরের বিরুদ্ধে আইসিসি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। অথচ ইরাক, আফগানিস্তান, ভারতের গুজরাটসহ বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার নিরীহ মুসলমানকে হত্যার বিষয়ে আইসিসি নীরব দর্শকের ভূমিকায় কেন, আইসিসি কি তাহলে মুসলমানদের টার্গেট করছে—এমন প্রশ্নের জবাবে আইসিসি প্রেসিডেন্ট বলেন, সব আইনকানুন অনুসরণ করেই ওমর আল বশীরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কিছু সমালোচনাও আছে। আফ্রিকার অনেক দেশ মনে করে আমরা আফ্রিকাকে টার্গেট করেছি। তবে অধিকাংশ আফ্রিকান নেতা মনে করেন কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

কারও চাপে পড়ে আমরা ওমর আল বশীরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করিনি। আমি আপনাদের জানাতে চাই বুশের বিরুদ্ধে অন্তত ৫০টি অভিযোগ এসেছে আমাদের কাছে। এছাড়া টনি ব্লেয়ার, জন হাওয়ার্ডসহ আরও অনেক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। এসব অভিযোগ প্রাথমিকভাবে এখন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে নিশ্চয়ই আমরা পদক্ষেপ নেব।

ওমর আল বশীরের বিরুদ্ধে আপনারা যত সহজে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন জর্জ বুশ বা টনি ব্লেয়ারের ক্ষেত্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা আপনাদের পক্ষে ততটাই কঠিন হবে বলে আমাদের বিশ্বাস—সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের ব্যাপারে বিচারপতি স্যাং বলেন, এ ব্যাপারে আমার কোনো দর্শন (ভিউ) নেই। সংবাদ সম্মেলনে বিচারপতি স্যাং বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত আইসিসির সংবিধিটি অনুস্বাক্ষর করা। যা বাংলাদেশ সরকার এখনও করেনি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.