আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোন কিছুই ফেলনা নয়

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

বিজ্ঞানের সূত্র অনুযায়ী, কোন কিছুই নষ্ট হয় না, শুধু তার অবস্থার পরিবর্তন হয়। অর্থাৎ এক অবস্থা থেকে আরেক অবস্থায় রূপান্তরিত হয়। আমরা যেটা ব্যাবহার করে ফেলে দেই, সেটাই হয়ত কারো ব্যাবহারের উপাদান হিসাবে ব্যাবহৃত হয়। আমাদের এই রাজধানীতে একশ্রেণীর মানুষই আছে যারা তাদের জীবিকা নির্ভর করে এইসব ফেলে দেয়া জিনিস পত্রের উপরে।

এরা একটা বড় অংশ। এই ময়লা আর্বজনাই তাদের রুজির উৎস। সঙ্গত কারনে অত্যন্ত নোংড়া পরিবেশে এদের বসবাস, অনেক নোংড়া থাকে সবসময়, মানবেতর জীবন যাপন তারা করে। বেশ কয়েক বছর আগে বাঁশি বাজিয়ে বাসা বাড়ি থেকে ভ্যান গাড়িতে ময়লা/আর্বজনা সংগ্রহ করার রেওয়াজ চালু হয়। সম্ভবতঃ সর্বপ্রথম ধানমন্ডিতে এটা চালু হয়েছিল।

সময়ের প্রয়োজন ছিল সেটা। এদের কাজ হলো এই আর্বজনা সংগ্রহ করে নিকটস্থ সিটি কর্পোরেশনের ডাষ্টবিনে ফেলে দেয়া। অল্প মাসিক চাঁদার চুক্তিতে এরা অনেক বড় একটা কাজ করে। তবে তারা যদি এই দায়িত্ব না নিত, তবে এ শহর আরো নোংড়া হতো। এরপর এই আবর্জনা গুলো গাড়ী করে নিয়ে যাওয়া হয় ভাগাড়ে।

ঢাকা শহরের সীমানা ঘেঁষে কোথাও ফেলা হয়। আর তখনই হুমড়ি খেয়ে পড়ে কিছু শিশু, মহিলা ও পুরুষ। তাদের মধ্যে শিশুর ভাগই বেশী। সেই ময়লা থেকে বেছে সংগ্রহ করে কাজে লাগার মত জিনিস। সেগুলো আবার সর্ট করা হয় উপাদানের উপর নির্ভর করে।

মূলতঃ এখান থেকে পাওয়া জিনিস গুলো রিসাইক্লিং করা হয়। কিন্তু এই শিল্পে কাজ করা লোকজন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করার জন্য অল্পতেই অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। নানা রকম রোগে পড়ে যায় তারা। অন্ততঃ শিশুদের এধরনের কাজ থেকে বিরত রাখা উচিত। অর্থাৎ আপনি যে জিনিস শেষ বলে ফেলে দিলেন, দেখা গেলো সেটা আরেকজনের কাজে লাগছে।

শেষ হইয়াও হইলো না শেষ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.