my country creat me a ginipig
পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল ১৯৯৭ সালের ২ডিসেম্বর ।
কালের পরিক্রমায় আজ ১২ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে।
কিন্তু এ চুক্তির ফলে কার কি লাভ হয়েছে তা ভাবার সময় এসেছে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলে ছিল, যে
ক্ষমতায় গেলে তারা পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করবে।
কিন্তু পাহাড়ী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, ইউপিডিএফ তাদের কথায় বিশ্বাস করেনি।
তাই তারা নির্বাচনের সময় আওয়ামীলীগকে সমর্থন না করে নিজেদের প্রার্থী দিয়েছে। যেখানে প্রার্থী দিতে পারেনি সেখানে তারা না ভোট দিয়েছে। যার ফলে দেখা গেছে না ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে রাঙ্গামাটি সংসদীয় আসনে রেকর্ড হয়েছে। সেখানে ৩৩ হাজার না ভোট পড়েছে। এর কারণ ছিল, এখানে ইউপিডিএফ-এর প্রার্থী বাতিল হয়ে গিয়েছিল।
তাই সেখানে ইউপিডিএফ সমর্থকরা না ভোট দিয়েছে। অপর দিকে জেএসএস তথা জনসংহতি সমিতির প্রার্থী পেয়েছে প্রায় ৫৫ হাজার ভোট।
যাই হোক পাহাড়ী সংগঠন গুলো আওয়ামীলীগের কথা বিশ্বাস না করলেও সরকারে এসে তারা চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে বলেই দেখা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে জেলা পরিষদ সমূহ পূনর্গঠন করেছে।
অবশ্য আঞ্চলিক পরিষদ পূনর্গঠন করা হয়নি।
আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ গত দশ বছরের বেশি সময় ধরেই সন্তু লারমার করায়াত্ব আছে বিধায় কেউ এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার প্রয়োজন অনুভব করে না।
ভূমি কমিশন গঠন করেছে।
একটি ব্রিগেডসহ ৩৫ টি সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করেছে। যদিও চুক্তিতে আছে ৬ টি ব্রিগেড তথা ৬ টি স্থায়ী সেনা ক্যাম্প পার্বত্যাঞ্চলে থাকবে। কিন্তু বর্তমানে সেখানে আছে ৪ টি ব্রিগেড।
তার পরেও সন্তু লারমা খুশি হতে পারেন নি । তিনি চান সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার। এটা পার্বত্য চুক্তির বাইরে তার নতুন দাবী বলেই মনে হচ্ছে।
নতুন দাবী আরো আছে-পার্বত্যাঞ্চলের তিনটি সংসদীয় আসন পাহাড়ীদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে।
পার্বত্যাঞ্চল থেকে বাঙ্গালীদের সরিয়ে নিতে হবে।
ইত্যাদি।
নতুন দাবীর বহর দেখে সরকার সম্ভবত কিছুটা বড়কে গেছে । এ কারণেই তাদের আগ্রহে কিছুটা ভাটা পড়েছে বলে মনে হচ্ছে।
কারণ ক'দিন আগেও সরকারের পক্ষথেকে একের পর এক বক্তব্য দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু ইদানিং আওয়াজ একটু কমে এসেছে ।
সন্তু লারমাও সম্প্রতি বান্দরবানে এক বক্তব্যে তারা চিরাচরিত হতাশা ব্যাক্ত করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।