সরসিজ আলীম_এর কবিতা
ভোজন সভা
পাখিরা মায়ের আঁচলে মুখ লুকাইতেছে,
আকাশের এক কোনায় জড়ো হইতেছে
আর উড়িয়া উড়িয়া বেড়াইতেছে।
আকাশ তো হতবাক,
পাখিরা কিছুতেই মাটি স্পর্শ করিবে না,
না জল না আহার।
তাহাদের গায়ে লতাগুল্মের গন্ধ, আর
তাহাদের পুষ্পের ঘ্রাণ পালাইয়া গিয়াছে
পবনের ভেতর,
তাহারা ভোজন সভার আয়োজন করিয়াছে।
অমনি হুমড়ি দিয়া পড়িলো বিশাল বপুটি,
যখন তাহারা জন্তুটির গলার দড়ি আর
লেজ ধরিয়া দিয়াছিলো একখান টান।
অনেকে জন্তুটির চৌ-পদ বাঁধিয়া ফেলিলো,
অনেকে নৃত্য করিতে লাগিলো।
জন্তুটির আদুরে গলায় ধারালো কোপ পড়িলো,
শিশুরা আর মেয়েরা
নিজেদের চক্ষু ঢাকিলো দুই হাতে।
শরীর নিথর হওয়ার আগে আগে
চক্ষু উল্টাইলো, জিহবা বাহির করিলো কয়েক হাত,
ঘর ঘর শব্দ করিতেছিলো, রক্ত ফিনকি দিতেছিলো,
রক্ত ছড়াইতেছিলো, রক্ত গড়াইতেছিলো,
রক্ত পান করিতেছিলো কেউ কেউ,
রক্ত মাড়াইতেছিলো অনেকে, আর
অনেকে মামার বাড়ি যাইতেছিলো,
নৃত্য করিতেছিলো কেউ কেউ,
তাহারা একটি ভোজন সভার আয়োজন করিয়াছে।
চারিপাশ জুড়িয়া আগুন জ্বলিতেছিলো,
মাংস পুড়িতেছিলো, রক্ত পুড়িতেছিলো,
রক্ত গড়াইতেছিলো হাতে হাতে,
সবাই নৃত্য করিতেছিলো, ভোজ সভা নৃত্য করিতেছে।
রক্ত গড়াইতেছে,
পাখিরা উড়িতেছে আকাশে আকাশে।
ভোজন সভায় হাসাহাসি উড়িতেছে
শিশুদের চোখে মরুর বালুকণা ঢুকিতেছে,
ভোজন সভা দুলিতেছে
মেয়েদের চোখে মরুর বালুকণা ঢুকিতেছে।
৩০.১১.২০০৯, ঢাকা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।