আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেহের ওজন কারণ ভোজন...



নারী হোক পুরুষ হোক, যাদের ওজন বেশী তাদের জীবনযাপন, খাওয়া-দাওয়ার অনুসন্ধান করল দেখা যায়, বেশির ভাগ অধিক ওজনবিশিষ্টি মানুষই ভোজনপ্রিয়। তারপর তাদের বেশির ভাগই প্রোটিন গ্রহণে আগ্রহী। আর অধিক প্রোটিন গ্রহণে দেহে দ্রুত চর্বি আসে, মানুষটি হয় মোটাসোটা বা স্থুলকায়। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ভারতে এই স্থুলকায় লোকের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। ফলে তারা হয়ে পড়ছে অকর্মণ্য।

চলতে-ফিরতে পারে না। কাজকর্ম করতে হাঁপিয়ে ওঠে। শিকার হচ্ছে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনী সমস্যার মতো নানা রোগে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থুলকায় লোকের ধারণা, তার দেহের ওজন মোতাবেক খাদ্য প্রয়োজন। তাই খাদ্য গ্রহণের সময় নিঃশ্বাস বন্ধ করে ডান হাতে-বাঁ হাতে খেতে থাকে, ফলে যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে।

দিন দিন ওজন বাড়ছে। অকর্মণ্য হয়ে পড়ছে। পারিবারিক জীবন হয়ে পড়ছে অশান্তিময়। স্থুলকায় লোকের আকর্ষণ বেশী ডিম, গোশত ও চর্বি জাতীয় খাদ্যের প্রতি। এগুলো খাওয়ার পর হজমের জন্য যে পরিমাণ ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের প্রয়োজন তা হয় না।

ফলে দেহের ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকে। এক দল গবেষক ব্রিটেনে এক সমীক্ষায় দেখেছেন, স্থুলকায় বা বেশী ওজনের মানুষ বেশি খায়, কম পরিশ্রম করে। ফলে স্থুলতা বা ওজন বাড়তে থাকে। তারা ফলমুল শাকসবজি ও মাছ পছন্দ করে না। ডিম, গোশত, ফাস্টফুড ইত্যাদি তাদের প্রিয় খাদ্য যা তাদের ওজন বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রতিকার হিসেবে সব চিকিৎসকের পরামর্শ হলো, ওজন কম রাখতে এবং স্থলতা কমাতে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম অত্যাবশ্যক। অধিক প্রোটিন, লাল গোশত, ফাস্টফুড, ডিম বর্জন করে, শাকসবজি, ফলমুল, মাছ বেশী খাওয়া উচিত। নিয়মিত ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের বিকল্প নেই।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।