পূর্নিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রূটি বিদেশে থাকাকালীন যে সকল খাবার গুলোকে মিস করি, তার কিছু কিছু নিজেরা বানাই খাই। যেমন, পরোটা, ভুনা গরু, সেমাই, মাংসের কিমা , কোরমা, ফ্রাই, বিরিয়ানি, পোলাও, ভর্তা ইত্যাদি। বাট সেই মজা তো আর পাইনা। রান্না করতে করতে ক্ষিদা বইয়া যায়।
কিছুদিন আগে একবার প্রচন্ড জ্বর আসছিল।
এমন টক খাইতে ইচ্ছা করতেছিল, কি কমু, জীবন ডা বৃথা মনে হইতেছিল, টক ফল না পাইয়া। শেষে আনারষ কিন্না আইনা মরিচ দিয়া মাইখা খাইছি , তাও সালার মিষ্টি আনারস। যাইহোক, তেতুল ওর্ডার দিলাম গতকাল এককেজি খানেক। দেশে থাকতে মা, মাঝে মাঝেই চালতা ছেইচা রাখতো, আমি পোড়া মরিচ, ধনে পাতা দিয়া মাইখা খাইতাম। টকের প্রতি আমার এই নেশাটা পোয়াতি মহিলাগো থাইকাও বেশি।
রংপুরে থাকাকালীন, সিংগারা হাউসের সেই সিংগারাকে খুব মিস করি। একপিস একটাকা করে খাইতাম। সিংগারার সাথে ঝোল টাইপের একটা সস। কখোনোই তৈরী সিংগারা পেতামনা, গিয়ে ওয়েট করতে হত। সিংগারা ভেজে এভাবে রাখা হত
সন্ধায় যখন পড়তে বসতাম, প্রচন্ড ক্ষুধা লাগত।
মাঝে মাঝে বাপজানে দোকানের কর্মচারী দিয়া ডালপুরি কিন্না পাঠাই দিত। আহা অমৃত, কি টেষ্ট, চোখ বুঝলে এখোনো দেখতে পাই।
কতদিন থেকে দুধ চা খাইনা, সবুজ চা খাইতে খাইতে মুখটাই তেতো হইয়া গেছে। খাটি দুধের দুধ চা ওহ.......... চা বানানো শেষ হলে, উপরে মালাই ছেড়ে দিত, উমমমমম
ক্যাম্পাসে থাককালীন সকালে ভুনা খিচুরী খাওয়া একটা নেশা হইয়া গেছিল। সকালে উইঠাই চইলা যাইতাম খাওয়ার জন্যে।
ঐ খিচুরী খাওয়ার পরে খালি ঘুম পাইত, গেজানো খিচুরী। আর মাঝে মাঝে আলু ভর্তা কইরা গরম ভাতে ঘি দিয়া খাইতাম।
প্রায়ই ক্লাসে বরোটা পার হইলেই, ক্ষুধা লাগত, আর ক্লাসে মন বসত না। ভুনা গরুর গোস্ত দিয়া গরম ভাত খাওয়ার জন্যে মনটা আকুপাকু করত। বের হইয়াই সোজা বন্ধু হোটেল............দুইটা কাচা মরিচ ডইলা আরো ঝাল বানাই নিতাম।
খাওয়া শেষে একটা মিষ্ট পান, মনে হইলে মনটা এহোনো হুহু কইরা উঠে
শুক্রবারে গরুর মাংস খাওয়াটা একটা রেওয়াজ ছিল আমাদের বাড়িতে। চারটা ফ্যামিলি একসাথে, একসাথে রান্না বান্না হইত। সারা সপ্তাহ অপেক্ষা করতাম কবে শুক্রবার আসবে................ সবাই সেপারেট হওয়ার পরে অবশ্য এই অপেক্ষা আর করতে হ্য়নাই। ইচ্ছামত খাওয়া দাওয়া। আম্মুর হাতের যে খাবার গুলো মিস করি তার মধ্যে মুড়ির ঘন্ট
রিটা মাছ আম্মু কড়া ঝাল দিয়া এমন ভাবে ভুনা করত যে কি কমু।
মাঝে মাঝে রাইতে সপ্নে দেখি, রিটা মাছ দিয়া ভাত খাইতেছি। আরো আছে, বুট ডাল দিয়া খাসির মাথা [লোল ফালাইলাম কতগুলি], গরুর ভুড়ি সহ আরো কত কি। মায়ে অনেক পিঠা বানাইত বাট আমার ভালা লাগত খালি পাটিসাপটা পিঠা আর দুধ চিতই।
এই সব খাবারে কথা মনে পড়লে আর চাইনিজ খাবার খাইতে ইচ্ছা করেনা। খিচচা বইয়া থাকি......................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।