~ ভাষা হোক উন্মুক্ত ~
এক দেশে ছিল এক অন্ধ বানর। উহার চক্ষ জন্ম হইতেই যথাস্থানে না থকিবার কারনে বানরটির দুর্গতির অন্ত ছিলনা। বানরের এহেন দুর্দশা দেখিয়া কিছু শৃগালের মনে দয়ার উদ্রেক হইলো। উহারা দল বাঁধিয়া বানরটিকে সাহায্য সহযোগিতা করিবার মহান ব্রতে ব্রতী হইলো। বানরও উহাদের চক্ষে পৃথিবী দেখিতে পাইয়া আমোদিত হইতে লাগিলো।
কিছুকাল পরে শৃগালেরা বুঝিতে পারিলো যে ইহা কোন সাধারন বানর নহে। প্রকৃতি উহার চক্ষুদ্বয় কাড়িয়া লইয়া উহাকে বিশেষ আদ্ধাত্বিক ক্ষমতা ও ধারালো নখর প্রদান করিয়াছে। এই সত্য অনুধাবন করিতে পারিয়াই শৃগালবৃন্দ বানরটিকে উহাদের নানাবিধ কর্মে সম্পাদনে অনুঘটকের ন্যায় ব্যাবহার করিতে লাগিলো। যদি শৃগালবৃন্দের সাহিত কাহারও দ্বন্দ্ব লাগিয়া যাইতো, তবে উহারা গভীর রাত্রিতে বানরটিকে ব্যাবহার করিয়া উক্ত ব্যক্তিকে খামচাইয়া দিতো। বানর তো ছিল অন্ধ, উহার জন্য দিবারাত্রী সমান কথা।
এইভাবে সুখে শান্তি ও আমোদ আহ্লাদে উহাদের জীবন কাটিয়া যাইতেছিল। কিছুকাল পরে উক্ত এলাকার পার্শ্ববর্তী জঙ্গলের বাঁশঝাড়ে বেশ কিছু বাঁশ বয়োপ্রাপ্ত হইলো। এমতাবস্তায় শৃগালদের মনে নতুন খেলা দেখিবার তরে উদ্দিপনার সৃষ্টি হইলো। উহারা পার্শ্ববর্তী তৈলকল হইতে তৈল সংগ্রহ করিয়া একটি পরিপুষ্ট বাঁশের আগাগোড়ায় ভাল করিয়া মাখাইয়া দিলো। এর পরে মজা দেখিবার নিমিত্বে উহারা বানরটিকে উক্ত তৈলাক্ত বাঁশটি বাহিয়া উপরে উঠিয়া বসিবার জন্য অনুনয় করিল।
বানর ভাবলো - ইহা নিশ্চই জনকল্যাণমূলক কর্ম, কাজেই সে বিপুল বিক্রমে তৈলাক্ত বাঁশ বাহিয়া উপরে উঠিতে লাগিলো। কিন্তু সে যেমনটি ভাবিয়াছিল, কাজটি তেমন সহজ ভাবে সম্পাদিত হইতেছিলনা। তৈলাক্ততার কারনে বানর ২ ফুট উঠিয়া আবার ১ ফুট ১০ ইঞ্চি নামিয়া আসিতেছিল। বানরের এহেন কর্মকাণ্ডতে শৃগালগণ যথেষ্ট আমোদিত হইয়া আপন আপন পশ্চাতদেশ থাবরাইয়া আনন্দ প্রকাশ করিয়া বানরটিকে উৎসাহ প্রদান করিতেছিল।
এমতাবস্তায় কিছুকাল পুর্বে জন্ম লওয়া এক রাখাল বালক দয়া পরবশ হইয়া বানরটিকে ডাকিয়া কহিল - "হে বানর, তুমি অযথা পরিশ্রম করিয়া, শৃগালদের কথায় নাচিয়া তৈলাক্ত বাঁশ বাহিয়া উপরে উঠিতেছ, কিছুকাল পরে যখন তুমি বাঁশের সুউচ্চ শিখরে উপনিত হইয়া উপবেশন করিবে, তখন সুতীক্ষ্ণ বাঁশের ফলা তোমার আপন 'পোঁদ' বিদীর্ন করিবে।
তখন সামলাইবে কিরুপে?"
=========================================
[ ইহা নিতান্তই একটি গল্প, গল্পের কাহিনী বা চরিত্রের সাথে কারও মিল খুইজা পাওয়া গেলে উহা একটি কাকতাল বলিয়া গন্য হইবে ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।