হুশিয়ারি :- আমার ব্লগে কেউ সাহিত্য খুইজেন না । ইহা একটি মাকাল পরিবেশনা।
দিনাজপুর যখন পৌছালম তখন রাত ৯টা। আমরা ঢাকা (গাবতলি) থেকে রওনা দিয়েছিলাম দুপুর ১:৩০মিনিটে। হানিফের বাস কাউন্টারে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল খাইরুল (কলিগের বন্ধু)।
রাতে থাকলাম মালদাহ পট্টির হোটেল ডায়মন্ডে। খাইরুল কে নিয়ে স্টেশনরোডের মাসুম হোটেলে খেতে বসলাম আর আগামীকাল কে কোথায় কোথায় ঘুরবো তা ঠিক করলাম। খাইরুল আমাদের প্লান শুনে টেনশনে পরে গেলো। বলে, বস! এতো কম সময়ে কেমনে এতো ঘুববেন? আগামীকালও দিনাজপুরে থেকে যান। বললাম, আমাদের স্পিডে ঘুরার অভ্যাস আছে, টেনশন নিয়েন না।
দিনাজপুর ঘুরে আমাদের আগামীকাল রাতেই রাজশাহী থাকতে হবে।
ওকে বলা হলো আমাদের ভোর ৫টার দিকে ফোন দিয়ে ঘুম ভাঙ্গাতে আর সকাল ৬:৩০টার সময় হোটেলে হাজির থাকতে।
১৪ নভেম্বর ২০০৮, শুক্রবার।
ভোর ৫:৩০মিঃ এ ঘুম ভেঙ্গে গেলো। গোছল করে রেডি হয়ে গেলাম দুজন।
খাইরুলের খবর নাই, ফোনও নাই, অথচ ওর আমাদের ফোন করে ঘুম ভাঙ্গানোর কথা ছিল। আমরা যা সন্দেহ করেছিলাম তাই হয়েছে, খাইরুল মনে করেছিল আমরা ঢাকার পাবলিক দেরী করে ঘুম থেকে উঠবো, হোটেল থেকে বের হতে কমপক্ষে ১০টা বাজবে।
সকাল ৬:৪০টার দিকে আমি আর হাসান ভাই হোটেল থেকে নেমে, নীচে হাটাহাটি করছি। খাইরুলের খবর নাই। মেজাজ খারাপ লাগছে, ওরে ফালায় চলে যাবো কি না ভাবছি।
সময় নষ্ট না করে পাশের হোটেলে নাস্তা করতে বসলাম। খাইরুল কে ফোনে পাওয়া গেলো, সে আসছে।
বাস স্ট্যান্ড বাসে করে রওনা দিলাম প্রথমে গেলাম হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঘড়ির কাটায় সকাল ৮টা। সারা ক্যম্পাসে ৩-৪ জন মানুষ দেখলাম।
সবাই মনে হয় ঘুমাচ্ছে। পরিচ্ছন্ন ছিমছাম ক্যম্পাস। ঢাকা থেকে আসার সময় একটা অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে আসছি সেটা হলো, এখানকার এক স্টুডেন্ট এর হাতে একটা গিফট প্যাক পৌছিয়ে দেয়া। দায়িত্ব শেষ করে আবার বাসে উঠলাম ... গন্তব্য কান্তজী মন্দির।
--- (আশা করি চলবে)---
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।