এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
দীর্ঘ প্রায় ১৪ মাস পর আবারো চালু হয়েছে বিজ্ঞান জগতের অন্যতম বিস্ময় কণার রশ্মি ভাঙ্গার মহাযন্ত্র লার্জ হেডরন কলাইডার বা এলএইচসি। শুক্রবার বিজ্ঞানীরা সফলভাবে এই পুনরায় চালু করেন।
দীর্ঘ প্রায় ২০ বছরের নির্মাণকাজ শেষে তৈরি হয়েছে এই মহাযন্ত্র এলএইচসি। বিগব্যাং-এর রহস্য জানতে ইউরোপীয় পরমাণু গবেষণা সংস্থা সিইআরএন-এর বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে এই যন্ত্র নির্মাণে কাজ করে যান। অবশেষে গত বছরের ১০ই সেপ্টেম্বর সুইস-ফরাসী সীমান্তে নির্মিত এই মহাযন্ত্র চালু করা হয়৷ ২৭ কিলোমিটার একটি লম্বা টানেলের মধ্য দিয়ে প্রচন্ড গতিতে প্রোটন কণা ছুঁড়ে দেওয়া হয়।
উদ্দেশ্য ছিল আলোর কাছাকাছি গতিতে কণারশ্মির মধ্যে সংঘর্ষ ঘটানো।
বিজ্ঞানীদের পরিকল্পনা ছিলো পূর্ণ শক্তিতে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন প্রোটন এলএইচসি ত্বরণ যন্ত্রের চার পাশে অতি দ্রুত বেগে ছোটাছুটি করবে। প্রতি সেকেন্ডে ১১,২৪৫ বার। আলোর ৯৯.৯৯ শতাংশ গতিতে ছুটে যাবে প্রোটনগুলো। প্রতি সেকেন্ডে ৬০ কোটি সংঘর্ষ ঘটানো সম্ভব হবে।
তবে প্রথম নয়দিন ভালোভাবে চললেও এরপরেই বিগড়ে যায় মহাযন্ত্রটি। বিশাল এই যন্ত্রের এক জায়গায় হিলিয়াম গ্যাস লিক হয়ে গেলে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়। দীর্ঘ ১৪ মাস পর যন্ত্রটিকে আবারো সচল করতে সমর্থ হয়েছেন সিইআরএন-এর বিজ্ঞানীরা।
শুক্রবার সংস্থাটির মুখপাত্র জেমস গিলিস বার্তা সংস্থা এএফপি-কে জানান যে, স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় মহাযন্ত্র এলএইচসি চালু হয়েছে। প্রোটন কণা ছুড়ে দেওয়ার পর সেটি প্রায় পুরো টানেলটি ঘুরে এসেছে।
পরে অবশ্য সিইআরএন-এর মহাপরিচালক রোল্ফ হয়ের জানান যে, বিজ্ঞানীরা আবারো সমর্থ হয়েছেন কণারশ্মিকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসতে। তিনি জানান, পুরো সাফল্য পেতে আরো সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক কাজ করেছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বৈদ্যুতিক সংযোগ ঠিকমত না হওয়ায় গত বছর মহাযন্ত্র লার্জ হেডরন কলাইডার বা এলএইচসি-তে গন্ডগোল দেখা দেয়।
তথ্যসূত্রঃ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।