আমার স্বপ্ন, আমার ভালবাসা... আমার নিঃস্বাস, আমার বিশ্বাস... আমার ঠিকানা..
আমার ডি.এস.এল.আর জীবনের প্রথম রাতের ছবি তোলার সুযোগ ঘটেছিল গুলশান লেকের আশেপাশের এলাকায় প্রায় একবছর আগে। অদক্ষ হাতের তোলা কিছু ছবি আজ শেয়ার করছি। তখন হাতে সবে মাত্র ক্যামেরাটি হাতে এসেছে। ফটোগ্রাফির ডিজিটাল আর অনলাইন কমুউনিটিতে আসি পরিচিত এক বড় ভাইয়ের হাত ধরে। তার কাছেই জানতে পারি এই রাতের ছবি তোলার আয়োজন এর কথা।
১লা আগষ্ট ২০০৮, শুক্রুবার
সরকারী ছুটির দিন, কিন্তু পুর্বনির্ধারিত অফিস থাকায় অফিস থেকেই গেলাম গুলশান ১নং লেকের পাশে। দেখা হলো অপেক্ষমান ফটোগ্রাফারদের সাথে। ধীরে ধীরে আরও কয়েকজন সামিল হল আমাদের সাথে। ঢাকার সিকিউরিটি সিসটেম এতটা ভাল নয় যে একা একা দামি ক্যামেরা হাতে পথে পথে ঘুরার সাহস করি। তাই দল যত ভারী হবে তাতে দুটা সুবিধা, ১) অহেতুক সিকিউরিটি নিয়ে চিন্তা করতে হয় না ২) পুলিশ মামাদের অহেতুক প্রশ্নের মুখে পরতে হ্য়না।
বিকালের আস্তগামী সূর্যের সোলালী আভা যখন পশ্চিম দিগন্তে খেলা করছিল তখন থেকে আমারদের ছবি তোলা শুরু হয়েছিল। বাড্ডা লিঙ্ক রোডের পাশে দাঁড়িয়ে কিচ্ছুক্ষন ছবি তুল্লাম। গুলশান লেকের পানিতে পাশের সুউচ্চ বিল্ডিং এর ছাঁয়া পড়ছিল। খন্ড খন্ড মেঘ ছিল আকাশে। সব মিলিয়ে দূরদান্ত এক আবহাওয়া।
ধীরে ধীরে সূর্য মামা চলে গেল আর রেখে গেল চাঁদ মামীকে। নিকোশ কালো আন্ধকারে আমাদের রেখে। গুলাশান ১ আর বাড্ডা লিঙ্ক রোড এর ঝলমলে আলোতে দূর করে দিয়েছিল সে অন্ধকার। আকাশে তারা ও ছিল কিছু কিছু। অন্ধকারে লেকের শীতল পানিতে পড়ছিল আশে পাশের সুঊচ্চ বিল্ডিং এর আলো আর বাড্ডা লিঙ্ক রোডে যানবাহনের আলো।
এর পর বেশ কয়েকবার ক্যামেরা হাতে ঘুরে বেড়িয়েছি রাতের ঢাকার পথে পথে। রাতের ঢাকা আসলেই অনেক সুন্দর। ২১শে ফেব্রুয়ারী’০৯ তে সারারাত ছিলাম জাতীয় শহীদমিনারের পাশে। আর একদিন সময় করে বলব সে কথা।
আগের ব্লগঃ খানাইয়া দিঘি মসজিদ, ছোট সোনামসজিদ, কানসাট চাপাইনবাবগঞ্জ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।