বাংলাদেশে যে দু'জন রাজাকার পুত্র বহাল তবিয়তে আছেন এবং করে কম্মে খাচ্ছেন তাদের অন্যতম নাইমুল ইসলাম। অন্য জনের কথা যথাসময়ে বলা যাবে। নাইমুলের কথা তেমন কিছু বলার নেই, আত্নস্বীকৃত এই রাজাকার পুত্রকে সহযোগী ব্লগাররা বেশ কিছু দিন ধরেই নাই মূল যাহার হিসাবে দেখছেন। আমি অবশ্য সেভাবে দেখি না। অমার মনে হয় তার মূল রাজাকার তন্ত্রের গভীরে প্রোথিত।
এ ধরণের লোকের প্রথম কাজ বাংলাদেশের অর্জণ গুলিকে ছোট করে দেখা। ২য় কাজ মুক্তি যুদ্ধের সময় দেশের যে ক্ষতি গুলি করা যায়নি সে গুলি করা। ৩য় কাজ হচ্ছে সারকার ও জনগনকে বিভ্রান্ত করে ফায়দা লোটা। তিনি ই একমাত্র সম্পাদক যিনি ১/১১'র পর মহা আনন্দে মঈন ইউ আহমেদের (বনসাই; প্রকারে বড় হয়, আকারে নয়) গুন কিত্তন করেছেন, ১/১১ 'র পর বনসাই এর কঠোর সমালোচনা করেছেন, নির্বাচনের আগে প্রধান দুই দলের দালালি করার চেষ্টা করেছেন, আর এখন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী অংশের দালালি করেছে বিনিময়ে রাজাকার পুত্র হয়ে ও ভি আই পি ট্রিটমেন্ট পাচ্ছেন। তবে এসব আমার আলোচনার মূল বিষয় নয়।
মূল বিষয় তার নীতি বিবর্জিত সাংবাদিকতা।
আমি আগ্ই বলিছি রাজাকারদের একটি মিশন হচ্ছে মুক্তি যুদ্ধের দেশের যে ক্ষতি গুলি করা যায়নি সে গুলি করা। এক ধরনের প্রতিশোধ স্পৃহা কাজ করে এদের মধ্যে । দেশের অর্জণ আর গৌরবময় প্রতিষ্ঠান গুলিকে ধ্বংশ করার একটা সংকল্প নিয়ে খুব ধীর স্থির ভাবে কাজ করে এরা।
নাইমুল ইসলামের মধ্যে এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে বি ডি আরের হত্যা কান্ডের পর থেকেই।
তার পত্রিকায় বি ডি আরের খুনিদের তথাকথিত দু:খ দুর্দশার কথা যে গুরুত্ব পেয়েছে তার অর্ধেক গুরুত্ব ও পায়নি নিহত অফিসার বা তাদের শোকাহত পরিবার। প্রকারন্তরে তিনি সমর্থণ করেছেন বিবেক বর্জিত খুনিদের। এর পর ও যখন পূনর্গঠনের মাধ্যমে বিডিআরের শক্তি এবং অপালরশনাল দক্ষতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া চুড়ান্ত পর্যায়ে, তখন তিনি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বিডিআরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ করতে থাকলেন । ভাবলেন তার ষড়যন্ত্রে যদি মহাপরচালক অপসারিত হন, থমকে যাবে পূনর্গঠন প্রক্রিয়া। ইত পূর্বে
বাংলাদেশ আনসার, বি এন সি সি, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, এমন কি
বিডিআরেরও পোষাক পরিবর্তিত হয়েছে একই প্রক্রিয়ায়, কই তাতে তো কারও গাত্র দাহ হয়নি, অথছ এবার নাইমূলের মনে সে কি দু:খ।
অবশেষে তিনি তাপস হত্যা প্রচষ্টোর সাথে সেনা বাহিনীকে জড়িয়ে বানোয়াট খবর ছাপলেন। উদ্দশ্যে সম্ভবত: সেনাবাহিনীর অফিসারদের মধ্যে উত্তজনা ও হতাশা ছাড়িয়ে দেওয়া। তিনি কত টুকু সফল হয়েছেন জানি না। তবে পরের দিন সেনা বাহিনীর প্রতিবাদ টি কেটে ছেটে ছেপে সৎ সাংবাদিকতার পরিচ দেননি। তার চেয়ে বড় কথা এ বিষয়ে প্রতিবেদ কের কোন ব্ক্তব্য ছাপা হয়নি ।
নাইমুল ইসলামের এই ভন্ডামির শেষ হবে কবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।