নারায়ণগঞ্জ শহরের ফতুলস্না থানার গাবতলি টাগারপার এলাকায় একটি প্রিন্টিং কারখানার ৩ তরম্নণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গণধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ভিডিও করে ব্যাকমেলিং করেছে সন্ত্রাসীরা। ১৫ দিন আগে ঘটনা ঘটলেও মামলা করতে সাহস পায়নি ধর্ষিতারা। বাড়াবাড়ি করলে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করার হুমকি দিয়েছে তারা। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে একদিকে লোকলজ্জা, অন্যদিকে সন্ত্রাসীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ধর্ষিতারা।
স্থানীয় একটি সামাজিক সংগঠনের প্রভাবশালী নেতাদের আশ্রয়ে থাকায় কেউ সন্ত্রাসীদের ভয়ে মুখ খুলছে না। জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার বাসিন্দা ধর্ষিতা তিন তরম্নণী গাবতলি টাগারপার এলাকায় একটি প্রিন্টিং কারখানায় কাজ করে। মালিকের গ্রামের বাড়িও একই এলাকায়। তারা থাকেন গাবতলি টাগারপারতেই নিজেরা মেস করে। গত ৩০ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটার দিকে এক তরম্নণীর কাছে তার ২ ভাই বেড়াতে আসে।
রাত সাড়ে আটটার দিকে ৩ সন্ত্রাসী তরম্নণীদের ঘরের বাইরে থেকে তালা মেরে দেয়। রাত ১০টার দিকে ১০/১৫ সন্ত্রাসী তাদের বিবস্ত্র করে মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ভিডিও করে। মোবাইল ফোনে খবর দেয়া হয় কারখানার মালিককে। তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু কারখানার মালিক রাতে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
রাত ২টায় সন্ত্র্ত্রাসী ফরিদ, রফিক, নয়ন, উজ্জল, জনির নেতৃত্বে ১৫/২০ সন্ত্রাসী ৩ তরম্নণীকে ধরে একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ক্যামেরায় ভিডিও করে সন্ত্রাসীরা। অন্যদিকে গোপালগঞ্জের গ্রাম থেকে আসা ২ যুবককে মারধরের পর সকালে ছেড়ে দেয়া হয়। ধর্ষিতাদের হুমকি দেয়া হয়, এ ঘটনায় মামলা করা হলে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হবে।
সন্ত্রাসীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ধর্ষিতারা। এ ঘটনা এলাকার সবাই জানে। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না। কারণ সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে সন্ত্রাস-মাদকদ্রব্য নির্মূলের নামে গঠিত একটি সংগঠনের প্রভাবশালী নেতারা। তাদের মদদেই এলাকায় নির্বিঘ্নে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
জোট সরকারের আমলেও তারা ছিল বিএনপির পরিচয়ে বেপরোয়া ছিল। মহাজোট সরকারের আমলে তারা ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগের লোক হয়ে গেছে। বুধবার বিকেলে ফতুলস্না থানার ওসি জীবনকানিত্ম সরকার বলেন, এ পর্যনত্ম কেউ আমাদের কাছে কোন অভিযোগ করেনি। তবে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।