ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি পরিনত হয়েছিলেন দূর্নীতির মীথ চরিত্রে। সরকারী কিংবা বেসরকারী কোন কাজ হবে অথচ তার অনুমোদন থাকবে না , বখরা থাকবে না - এমনটি ছিল অসম্ভব। যেখানেই ক্ষমতার দাপট সেখানেই উনার নাম। যেখানেই সিনিয়র নেতাদের সাথে দ্বন্দ কিংবা বেয়াদপির ঘটনা- সেখানেই তার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সংযোগ। ২০০১-২০০৬ সময়কালের বাংলাদেশের দূর্নীতি-দুঃশাসনে তিনি ছিলেন এমনই এক প্রবাদ পুরুষ।
তিনি খালেদা-জিয়া পু্ত্র স্বনামধন্য তারেক রহমান।
যদিও সেই ২০০১-২০০৬ সময়কালের বাংলাদেশ বলতে গেলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের নামে কিংবা বেনামে সন্ত্রাসবাদে ইতিহাস তৈরি করেছিল। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ১৭ ই আগস্টের দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে গ্রেনেড বিস্ফোরন, বিরোধী দলীয় এম.পি. আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যাকান্ড , সার্ক সনদের খসড়া রূপকার ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যাকান্ড, বাংলা ভাই তথা জে.এম.বি. এর উত্থান ও প্রকাশ্য আদালতে তাদের এ্যাকশন তার কয়েকটি উদাহরন মাত্র। পরবর্তীকালে বিভিন্নভাবে প্রমানিত হয়েছে এবং হচ্ছে তৎকালীন বি.এন.পি-জামাতের রূই-কাৎলারাও এই সমস্ত সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ইন্ধনদাতা ছিল।
জঙ্গীবাদী সন্ত্রাসের সেই কালো যুগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন।
সেখানে তিনি তৎকালীন রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হাওয়া ভবনের কর্ণাধার তারেক রহমান সম্বন্ধে যে ধরনের তথ্য দিচ্ছেন তা জাতির জন্য হতাশাজনক হলেও একেবারে অননুমেয় ছিল না।
বাবরের দেয়া তথ্য এরকম:
২১শে আগস্টের ঘটনার দু'দিন পর তারেক রহমান বাবরকে হাওয়া ভবনে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধমকান। এর তদন্ত নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি যাতে না করেন, সেজন্য ও শাসান।
বিষয়টি নিয়ে খালেদা জিয়াকে জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেন নি।
বাবরের দেয়া তথ্য সত্য হলে এটাই প্রতীয়মান হয় দুর্ভাগা জাতির রাজপুত্র বাংলাদেশকে শুধু দুর্নীতি নয়, সন্ত্রাসেও বিশ্বের এক নং জাতিতে পরিনত করার এজেন্ডা নিয়েছিল।
তথ্যসূত্রঃ
ইত্তেফাকঃ
Click This Link
যায় যায় দিনঃ
Click This Link
সমকালঃ
Click This Link
ভোরের কাগজঃ
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।