কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস
এখনো ভ্যানিলা আইসক্রিমের দুই লিটার বাটি দেখলে লোভ সামলাইতে পারি না । চান্দের রাইতে নিশিলাগা মাইনষের মত, রাস্তার গাড়ীওলাগো ডর দেখাইয়া এদিক ওদিক হাঁটি হাল্কা হাওয়ায় । গ্যাদার মা'র ধমকধামক থোড়াই কেয়ার কৈরা অত্যাচার করি , একটু উষ্ণতার আশায় । জীবন, বাঁচার ইচ্ছায়, আরো কিছুদুর খুঁড়ে দেখার ইচ্ছায় এখনো লোল পড়া কুত্তার মতই ঘন ঘন নিঃশ্বাস সহ চলতে আছে । বাঁচতাম চাই আরো কয়েক বছর, এইখানেই ।
সত্তর হুর-পরীর অলীক লোভ, এইসব দুনিয়াবী উষ্ণতা বা কোমল শীতের সাথে এখনো পাইরা উঠে নাই । সকাল বেলা কম্বল মুড়া দিয়া ঘুমাই আরো ১ ঘন্টা কিংবা আরো ২০ মিনিট । ৫ মিনিটও ছাড়ন নাই ।
গায়ে বোম বাইন্ধা এইরকম বাঁচন-কাতর মানুষগুলারে মারে আর সাথে নিজেও মরে যারা, তাগো ধ্যান-ধারণার কানাকড়িও আইজ পর্যন্ত বুঝলাম না ।
উত্তর-গোলার্ধ জুইড়া শীত নামছে ।
ফাকিস্তানের পাহাড়ী অঞ্চলেও নামার কথা । পাহাড়ী ঘরে লেপ-কম্বল মুড়ি দিয়া ঘুমের মজা ত্যাগ কৈরা , বরফ ঢাকা পথে আর্মির লৌড়ের উপ্রে আছে যেইসব মুজাহিদীন , তাগো গতরে কত রস আমি খালি ভাইবা মরি । চুড়ি-ফিতা কিনতে যাওয়া বোরকা পড়া নারী আর বালিকাদের বোম মাইরা উড়াইয়া দিয়া কি এছলাম কায়েম করবে তারা সেইটাও ভাইবা মরি ।
গত দুইমাসে ফাকিস্তানি মুজাহিদীনরা তাদের এছলামি ভাই-বইন-শ্বশুর-শ্বাশুড়ী-মামা-খালা বাছবিছার না কৈরা উড়াইয়া দিতাছে গোটা ফাকিস্তান জুইড়া । জায়গাটা ফাকিস্তান বৈলা, নাকি উড়াইতাছে মুজাহিদীন ভাই বেরাদর বৈলা জানিনা, কারো কোন বিকার দেখি না ।
প্যালেস্টিনের দুঃখে যারা কান্দে তারাও না ।
প্রায় প্রতিদিন খবর আসে ফাকিস্তানি মিলিটারির হাতে দশ/বিশ/দুইশ/তিনশ মুজাহিদীন নিহত । আবার খবর আসে বাজারে বোমা হামলায় তের/বত্রিশ/আটচল্লিশ জন নিহত । কোথাও একটা মিছিলের খবর শুনিনা । কোন পক্ষরেই কনডেম কৈরা ।
মানুষই কেন কখনো কখনো জীবনের বাড়া আবার কখনো কখনো নিছক সংখ্যা হৈয়া পড়ে বুঝি না । ইভেন, এছলাম শান্তির ধর্ম, এছলাম এইসব নির্বিচার গণহত্যা সমর্থণ করেনা, বহুল চর্বিত এইটুক সান্তনাবাণীও শুনিনা কোথাও ।
মাঝে মাঝে শুক্কুরবার রাইতে গলা সমান বিয়ার ঢাইলা জায়গায় কাইত হৈয়া ঘুমাইলে, ভোর চাইরটা পাঁচটার দিকে মারাত্নক পিপাসায় ঘুম ভাঙে । হাতের কাছে এপল জুস অরেন্জ জুস, চা, পানি যা পাই আরো লিটারখানেক ঢালার পরে টয়লেটে যাওনের আগেই আবার জায়গায় কাইত ।
ঐসবদিনের সকালে, প্বার্শপ্রতিক্রিয়ার তেজ মূল ক্রিয়ার কয়েকশগুন বেশি হৈয়া যাওয়ার পরেও , সেই ঔষধেই দুনিয়ার তাবৎ সমাধান নিহিত, এছলাম ঠিকাছে, পাব্লিক ঠিকমত মানতাছে না, এইসব যারা বলে, তাগো মুখেই ছাইড়া দিতে ইচ্ছা করে, ইউরিনালে না ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।