চলছি, যেমন চলছে। ইমেইল: lostindrk@gmail.com
একটু ধৈর্য্য লাগবে, কিন্ত এটাই স্বাভাবিক। আমি সবার মতই জানি, লাইফ ইজ ..ব্লাহ...ব্লাহ..।
সমস্যা:
পরিবারের দিক থেকেই ওর সাথে আমার বিয়ের কথা আগায়। সাইজে এই ধরণের শ্যামলা হিউজ মেয়ে মানুষটিকে দেখে প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম।
পরে দেখলাম, এতো ভীষণ কিউট! এতো খোলামেলা মনের মেয়ে দেখেনি। যদিও আমার জীবনে কোন মেয়েই আসেনি। বিয়ের কথা বার্তা শেষে বেশ ঘুরতে গিয়েছিলাম। টোনাটুনি মিলে ঘর কিভাবে সাজাবো, তাই নিয়ে কতো ধরণের ভার্চুয়াল ঝগড়া। আর, তার পরেই, আমি ওর কান কামড়ে ধরতাম।
আসলে ওর মিষ্টি রাগ চুষে নিতাম। । । আমায় পুরো দোষ দিয়ে লাভ নেই। শুরুটা ওরই।
কোন জোয়ান ছেলের নাকের ছিদ্রতে জিহবা দিয়ে কাতুকুতু দেবার মানেটা কি?
হঠাৎ কি মনে করে, ওদের পরিবারে কি যেন হলো। ওরা আমার ব্যাপারে আর আগাবে জানিয়ে দিলো। আমি এখনো জানিনা আসল কাহিনী কি? তবে, পরিস্কার জানিয়ে দেওয়া হলো, তারা আমায় আর তাদের জামাই বানাবে না।
কষ্ট পেলেও চেপে গেলাম। মাল্টি ন্যাশানাল কোম্পানিতে কাজ করা সাধারণ এক সিস্টেম ইন্জিনিয়ারের আর কত টুকুই বা ক্ষমতা।
ভুলে যাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টায় সত্যি সত্যি একদিন ভুলেও গেলাম।
তিন মাস কেটে গেলো।
সেদিন আমি খুব ব্যস্ত। হঠাৎ ফোন বাজে। সেই বিরক্তিকর আওয়াজ।
ফোন তুলতেই সেই "তুমি"! ও আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে বললো, পরিবারের চাপ ও তার ব্যর্থতা। আমি মানা করিনি। পারিনি।
তারপর, ওর সাথে অনেকদিন দেখা। আবারো, সেই পুরোনো গর্তে ইচ্ছে করেই পড়ে গিয়ে পা ভাংগা।
বার বার আবারো দেখা। আর, সেই সময়ই ওকে আমার মতন করে সর্বোচ্চ পাওয়া। বার বার। যতবার, যতক্ষণ ও চেয়েছে আমায়।
ওরই চাপে আমার বাবা মাকে আবার তাদের বাসায় পাঠালাম।
কিছুই করার ছিলো না। মায়ের কাছে আমার ঘাড়ে লাগানো ওর টিপে অনেকদিন আগেই ধরা খেয়েছি।
আমি যা আশাও করিনি, ঠিক তাই হলো। আমাদের সোজা সাপ্টা আবারো "না" করা হলো। এবার মেয়ের মা-বাবা নয়, মেয়ে নিজেই!
শুনেছি, পরে কোথাও কোন বুয়েট ও ঢাকা ভার্সিটি এমবিএ পাস করা ইন্জিনিয়ারের সংগে বিয়ে করেছে।
সেও ভালো কোন জায়গায় ভালো টাকা কামাচ্ছে। হ্যাপিলি এভার এফটার টাইপের কিছু একটা।
আবার ও আবারও এবং একই মানুষ। ড্যামন।
টুইস্ট নাম্বার এক: মেয়েটির হাজব্যান্ড আমারই কলিগ।
সম্প্রতি শুনেছি, সেই আমার বস লেভেলের কেউ একজন হতে যাচ্ছে।
টুইস্ট নাম্বার দুই: কেনো আমায় মানা করেছে, বুঝতে সমস্যা আর হয়নি। স্বার্থপরতা তো মেয়েদেরই রক্তের লোহিত কণায়!
টুইস্ট নাম্বার তিন: দুঃখু মিয়া, তুমি একটা এসহোল!
কোন এক নীল রংয়ের ওর্কিড মার্কা টেলিকম থেকে, ঢাকা
নামটা পরিস্কার না!
পরামর্শ:
আপনার জীবনে ভালো কিছু হবে বলেই আমার ধারণা। ধৈর্য্য রাখুন এবং চেপে যান। নতুন জীবন শুরু করুন।
দুঃখু স্পেশাল পরামর্শ:
আপনি নিশ্চিত থাকুন, ঐ মেয়েটি আপনার কোন কোথাই ওনাকে বলেনি। মেয়েরা এই বিষয়ে যথেষ্ঠ সচেতন থাকে। রাতারাতি ভুলে যাওয়াতে মেয়েরা এক্সপার্ট হয়। তবুও সাবধানে থাকুন। আফটার অল, মেয়ে মানুষ।
পেটে কথা থাকেনা। নিজের জিনিস অন্যের নামে চালিয়ে এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে দেখে নেয়, জিনিস ঠিক থাকে কিনা। তবে, ছেলেটি নিয়ে অতিরিক্ত সাবধান থাকুন। বুয়েট ফেরত পাবলিক বলে কথা! কোন কথা বন্ধুকে যদি বলে থাকেন, সময় ভেদে অস্বীকার করুন। নিজের জীবন নিয়ে কোন মেয়ে মানুষ যদি এধরণের োদা আপনাকে দিতে পারে, তবে মনে রাখুন আপনার ইয়েও কম যায় না।
আশা হারাবেন না, শুরু করুন আপনার যাদু। জায়গা মতন আপনিও মারুন পল্টি।
জানিনা আপনি আমার লেখা পড়বেন কিনা! বাই দ্যা ওয়ে, আমি সত্যি একজন এসহোল! আই এম সো এফ* লুজার!!! রি আ্যালি, আই এম! ভালো থাকুন! শুভকামনায়।
দুঃখু
আগের পর্ব দেখুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।