যা দেখবো তাই বিশ্বাস করবো। রাজিব তোমার কাছে খোলা চিঠি,
ব্লগার রাজিব,ব্লগার আসিফ দুজনকেই যারা নিহত এবং আহত করেছে তারা তাদের রক্তে বয়ে চলছে পাকু বীর্যের ডি,এন,এ বংশ পরমপরায়। তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে তাদের রাজাকার বললে , অসভ্য পুরাণের বিরুদ্ধে , নারীর অধিকার নিয়ে কিছু বললেই তারা তেড়ে আসে লাল জিহ্বা বের করে ছাল তোলা নেড়ীকুত্তার মত আমাদের দিকে।
কিন্তু তারা কোথায় থাকে দেশের তথাকথিত শিশুপার্কগুলোতে যখন শিশুদের বিনোদনের নামে যুবকদের সহবত চলে হরদমে! শিশুদের দোলনাগুলো যখন ভরে থাকে কনডমের পরিত্যাক্ত প্যাকেটে। ইট পাথর আর সিমেন্টের বেঞ্চি গুলোতে বিশটাকা দিয়ে টিকিট কেটে যখন তরুন তরুনীরা বসে বসে বীর্যপাত করে যৌনতার নানা কৌশল জনসন্মুখে অবলম্বন করে।
কোথায় থাকে তখন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সাটানো দেশ দ্যা রিপাবলিক অব বাংলাদেশ এর পুলিশ বাহিনী? একদিকে শিশুপার্কের বেঞ্চি,দোলনা,ঘুপচি ঘাপচি তে চলে নগ্ন যৌনতার ছড়াছড়ি অন্যদিকে ইসলামিক রিপাবলিকদেশের পুলিশ বাহিনী পার্কের প্রবেশ মুখে বসে বিড়ি টানে হরদমে। আর একদল টুপি পরে দাড়ি মুখে এসে ওয়াজ মাহফিলের চাদা চায়। হায় কি সেলুকাস দেশ কি সেলুকাস নাটক! বেশ্যাখানায় ওয়াজের চাদা!!!!
কোথায় থাকে তখন এদেশের ধর্মীয় অনুভুতি! সংবিধানের বুকের উপর তো রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম এর লোগো সাটানো।
রাজিব এই দেশে প্রাণ নিয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার তোমার আমার আমাদের নাই। রাষ্ট্র লোক দেখানো শোক প্রকাশ করতে তোমার বাড়ি আমার বাড়ি আসবে কিন্তু ততক্ষণে তুমি আমি অনেক দুরে চলে যাব অনিয়মের এই নিয়মের দেশ থেকে মাটি থেকে দূরের কোন ঠিকানায় যেখান থেকে আর ফিরা যায়না।
এই দেশ থেকে জামাত শিবির রাজাকার এদের স্বমূলে কেউ উৎখাত করবেনা। কেউ করবেনা। শুধু ভোটের পাল্লা ভারি করতে আঙ্গুল উচিয়ে বড় বড় কথা বলবে। আর কেউ তাদের জামাই আদর দিয়ে মন্ত্রনালয়ের মসনদে বসাবে। এই দেশে শতকরা ৬০ ভাগ ঘরের কলবেলে এই ভাষা আন্দলোনের মাসেও বেজে ওঠে “মেহের বানীহে দরজা খুলিয়ে” ।
শাহবাগের মাটি কাপাতে রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে তোমাকে আমাকে আমাদেরকেই আসতে হবে। কিন্তু কেউ আমাদের নিরাপত্ত্বা দিবেনা। আমরা যে তাদের বিরুদ্ধে,অসভ্যতার বিরুদ্ধে বলে ফেলি নির্ভয়ে। রাজিব তুমি ঘুমিয়ে থাক নিশ্চিন্তে। আমরা আছি ,আমি আছি ।
অসভ্য আর অসভ্যতার বিরুদ্ধে আমরা বলেই যাব।
ন্যাকেড সত্য ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।