আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘হার্ডলাইনে’ সরকার, নেমেছে বিজিবি

রাজ্য ছাড়া রাজা 1হরতালের নামে জামায়াতে ইসলামীর অপতৎপরতা কঠোর হাতে দমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এদিকে দেশজুড়ে আন্দোলনের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন এবং এক ব্লগারকে হত্যার পর রাজধানীতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীতে বিজিবি সদস্যদের মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক আজিজ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকারের চাহিদায় পুলিশের কাজে সহায়তার জন্য রাজধানীতে বিজিবি সদস্যদের নামানো হয়েছে। ” অন্য জেলাগুলোতে বিজিবি নেমেছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত হয়নি।

তবে চাইলে তাও মোতায়েন করা হবে। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নিষিদ্ধের দাবি ওঠার মধ্যে জামায়াত সোমবার হরতাল ডেকেছে। ‘যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার’ এই হরতাল প্রত্যাখ্যানের আহ্বান দেশবাসীকে জানিয়েছে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পরিবহন মালিক সমিতি এবং দোকান মালিক সমিতি বাস চালানো ও দোকানপাট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সারাদেশে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও খোলা থাকবে।

যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন থেকে গত কয়েক মাস ধরে পুলিশের ওপর হামলা ও সড়কে গাড়ি ভাংচুর চালিয়ে আসছে জামায়াত। জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালের আগের দিন বুধবার রাজধানীর শাহজাহানপুরে একটি গাড়িতে আগুন দেয় হরতাল সমর্থনকারীরা। সোমবারের হরতালের আগের দিন রোববার আইন প্রতিমন্ত্রী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আগামীকালের (সোমবার) হরতালে সরকার জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নতুন প্রজন্ম নির্দেশ দিয়েছে, আমরা হার্ডলাইনে যাচ্ছি। ” জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা এখন গণদাবি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার রায় প্রত্যাখ্যান করে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। ওই কর্মসূচি থেকে জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি তোলা হলে রোববার সংসদে ট্রাইব্যুনাল আইন পরিবর্তন করে যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের বিচারের বিধানও যোগ করা হয়। “জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এখন ঘোষণার ব্যাপার,” বলেন আইন প্রতিমন্ত্রী। পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতারা রোববার আইনমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

‘জামায়াত আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না’ দাবি করে শফিক আহমেদ বলেন, “এই দল সন্ত্রাসী দল। সংবিধান অনুযায়ী এই দলকে নিষিদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সরকার চেষ্টা করছে এ দলকে নিষিদ্ধ করার জন্য। ” জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার জন্য ২০০৯ সালে একটি রিট পিটিশন হয়েছে জানিয়ে শফিক আহমেদ বলেন, সরকার বিশ্বাস করে যারা জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে, আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতারা জামায়াত-শিবিরের আর্থিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে সরকারিভাবে প্রশাসক নিয়োগের দাবি জানান।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।