আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হার্ডলাইনে সরকার।যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর সকল ধরণের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ বন্ধ করা হবে।

হার্ডলাইনে সরকার। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুতে আর কোন ছাড় দেবে না তারা। বিএনপি-জামায়াত জোটের দেশব্যাপী পরিকল্পিত নাশকতা, তা-ব, জ্বালাও-পোড়াও মোকাবেলায় প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি আজ মঙ্গলবার বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতালে কেউ যেন কোন ধরনের নাশকতা চালাতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সকাল থেকেই রাজপথে সতর্ক অবস্থায় থাকারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে। সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সকল সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের সঙ্গে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের যৌথসভায় এমন নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। সূত্রটি জানায়, নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশ দেয়া হলেও কোনভাবেই বিশ্বজিতের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেদিকে সতর্ক থাকতেও বলা হয়েছে।

ঘটনার দায়ভার ছাত্রলীগ অস্বীকার করলেও বৈঠকে ক’জন সিনিয়র নেতা সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এই ঘটনা সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে। বৈঠক সূত্র জানায়, যৌথসভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা নেতাকর্মীদের রাজপথে সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, যে কোনদিন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় আসা শুরু হতে পারে। এ অবস্থায় যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা বিএনপির সহায়তায় মরণ কামড় দেয়ার চেষ্টা করতে পারে। সারাদেশে আরও ব্যাপক সহিংসতা ও নাশকতা চালাতে পারে। এজন্য সবাইকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে।

আর যেদিন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় হবে সেদিন প্রত্যেক পাড়া-মহল্লা, ওয়ার্ড-থানা থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিয়ে মিছিল করে স্বাধীনতার স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তরের সামনে জড়ো হওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কোন পাল্টা কর্মসূচী ছিল না উল্লেখ করে হানিফ বলেন, গত কয়েকদিনের ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। যার ফলে সাধারণ জনগণই তাদের প্রতিরোধ করেছে। বৈঠক সূত্র জানায়, আজকের হরতালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, সকাল থেকেই প্রতিটি নেতকার্মীর মাঠে থাকতে হবে। কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে যে, কোনভাবেই বিশ্বজিতের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

এ ঘটনা সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণœ করেছে। সূত্র জানায়, বিশ্বজিৎ হত্যাকা-ের বিষয়টি বৈঠকে প্রথম উত্থাপন করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ সেলিম। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কোন সংগঠন বা নেতার নাম উল্লেখ না করে ওই নিদের্শনা দেন। কাল ১৪ দলের জরুরী সভা ॥ বুধবার বেলা ১১টায় ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের জরুরী সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভায় বিজয়ের মাসে নরঘাতক, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও দেশদ্রোহী ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আগামী ২২ ডিসেম্বর শনিবার ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে গণমিছিলের কর্মসূচীকে সর্বাত্মকভাবে সফল করে তোলা, দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোচনা হবে।

সভায় সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।