কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন.....
দারিদ্র মানূষের সংখ্যা বাড়ছে । আয় বাড়ছে না, ব্যায় বাড়ছে। বিগত ১৫ / ২০ বছরের জরিপ কার্যক্রমে দেখা যায় ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে দুর্ভিক্ষ রোধ করা গেলেও দারিদ্রের চরমতা রোধ করা যায় নাই।
মানূষ মৃত্যুর আগে কলেমা না পড়ে কিস্তি কিস্তি করে জীবন শেষ হয়।
দারিদ্র বিমোচন যদি সরকারের কার্যক্রমে প্রাধান্য পায় তাহলে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমে নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সেই সাথে তার সুদ প্রক্রিয়ায় সার্ভিস চার্জ সহ অন্যান্য সরকারী রাজস্ব আইন কানুন সহজ করতে হবে। কোন ভাবেই সুদ এবং সার্ভিজ চার্জ সহ ৪% এর বেশি হওয়া উচিত হবে না।
কৃষি ঋণে সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করা যায় না। কৃষি ঋণ মেয়াদি ফসল থেকে ফসল উত্তোলন ভিত্তিতে দিতে হবে।
কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী, অল্প আয়ের মানূষ ক্ষুদ্র ঋণের সাথে সম্পৃক্ত।
কিন্তু এই শ্রেণী যে হারে সুদ দেয় তার আর কোন শ্রেনীর মানূষকে দিতে হয় না। বরং তারা বিগত আট বছরে ৪৫০০কোটি টাকা সুদ এরং ঋণ মওকুফ হয়েছে।
সেই হিসাবে ক্ষুদ্র ঋণের মওকুফ এর পরিমানে বিগত বিশ বছরে ০%।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় এই ক্ষুদ্র ঋণ প্রদাণকারী সংস্থাগুলো সরকারী তপশীলী ব্যাংক হইতে ৭/৮% সুদে টাকা ধার নিয়া ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমে ১৪৩% বছরে মুনাফা করে।
দারিদ্র কি আর এমনি এমনি হয়।
উপড় থেকে চাপিয়ে দেয়া দারিদ্র উপড় থেকে কেটে কমাতে হবে। এই দারিদ্র আমার কাছে একটু বৃটিশ উপনিবেশিক গোলামির মতোই মনে হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।