Right is right, even if everyone is against it; and wrong is wrong, even if everyone is for it
শত ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটাতে কাটাতে হাঁপিয়ে উঠেছেন? পরিবার পরিজন নিয়ে কোথাও ঘুরে আসার কথা ভাবছেন? কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত, সুন্দরবন বা সিলেট যাবেন কিন্তু এত সময় কোথায়। তারপরও ব্যস্ততার মাঝে একটু বিনোদন প্রয়োজন। অনেকদিন হয়ে গেল পরিবার পরিজন কে নিয়ে কোথাও যেতে পারছেন না ঐ সময়ের সল্পতায় কারনেই। সল্প সময়ের মধ্যেই মনোমুগ্ধকর বাংলার প্রাচীন রাজধানী গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৈষ্টিত সোনারগাঁও জাদুঘর ঘুরে আসতে পারেন। বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনার গায়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতি সম্পর্কে ধারনা নিতে পারবেন অল্প সময়ে।
নদী-নালা, খাল-বিল পরিবেষ্টিত এবং অসংখ্য গাছপালা সবুজের সমারোহ আপনাকে সহজেই আকৃষ্ট করবে। আর এজন্য দূরের ভ্রমন পিপাসু মানুষ, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এবং বিদেশী পর্যটকরা প্রতিনিয়ত আসছে। ঈশা খাঁর বাড়ীটি অসাধারন স্থাপত্যশীল আর মধ্যযুগে পানাম নগরী আপনাকে কিছু্ক্ষনের জন্য হলেও ভুলিয়ে দেবে ব্যস্ততা, দুঃখ, বেদনা
কিভাবে যাবেন :
ঢাকার যে কোন জায়গা থেকে সায়েদাবাদ- যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর ব্রীজ পার হয়ে মোগড়াপারা বাসষ্ট্যন্ড থেকে প্রায় ২কি:মি:অভ্যন্তরে সোনারগাঁ যাদুঘরের অবস্থান এবং এর সাথেই রয়েছে পানাম নগরী। বাস, মিনিবাস বেবি-ট্যক্সি, মোটরছাইকেল সহ যে কোন বাহনেই এখানে আসা যায়। যাদুঘরের গেটেই রয়েছে সকল প্রকার যানবাহনের নিরাপদ র্পাকিং স্থান।
যা দেখবেন:
ঈশা খাঁর বাড়ীটি লোক ও কারুশিল্প যাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই বাড়ীটির নির্মান শৈলী অত্যন্ত চমৎকার কারুকার্যেগড়া। সময়ের আবর্তে এর নকশা গুলি প্রসনে মুছে যেতে বসেছে, ঠিক এবং নির্মান শেলী বলে দেয় বাংলার পুরোনো ইতিহাস এবং ঐতিহ্য। এই যাদুঘরে ১১টি গ্যালারী আছে যাতে দেখবেন গ্রামীণ,পটচিত্র, মুখোস ও নৌকার মডেল, উপজাতি, লোকজ বাদ্যযন্ত্র,ও পোড়ামাটির নিদর্শন। লোহা, তামা, কাশা, পিতলের তৈজশ পত্র,অলংকার।
মৎশিল্প, কাঠতৈরী, শামুক, ঝিনুক, নারিকেল, কারুশিল্প, জামদানী শাড়ী, তাত বস্ত্র, শতরস্তী, রেশম বস্ত্র,পাটজাত শিল্প, ও লোহার কারুশিল্প। যা বাংলার প্রাচীন ইতিহাস ঐতিহ্যকে ফুঁটিয়ে তুলেছে।
শিল্পচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প:
১৯৯৬ সালে শিল্পচার্য লোক ও কারুশিল্প স্থাপন করা হয়। এর দুটি গ্যালারী আছে নিচতলায় রয়েছে কাঠ খোঁদাই করা বিভিন্ন প্রাচীন ঐতিহ্যের আকর্ষনীয় দ্রব্যাদী এবং দ্বিতীয় তলায় রয়েছে জামদানী ও নকশী কাথার গ্যালারী
পিকনিক স্পট :
সবুজ ঘেরা সব প্রকার সুবিধা সম্মনিত তিনটি পিকনিক স্পট রয়েছে। এগুলো ভাড়ায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
নৌকা ভ্রমন:
সোনারগাঁও যাদুঘর পুরো এলাকাটাই মনোরম লেকদ্বারা পরি বেষ্টিত। আর এখানে রয়েছে সুসজ্জিত ৬টি নৌকা, ঘন্টা হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়। আরো রয়েছে, মেলা প্রদর্শনী, নাগোর দোলায় চড়া, শিশুদের ঘোড়ায় চড়া, এবং বড়শীতে মাছধরা সহ বিনোদনের যাবতীয় ব্যবস্থা।
পাশেই রয়েছে: প্রাচীন পানাম নগরী যেখানে দেখতে পাবেন অসংখ্য পুরাতন বহুতল পুরোনো ভবন। জনপূন্য ভবন গুলো যেন প্রাচীন বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
সোনারগাঁ এলাকা সবুজের প্রাচুর্যতা এতই বেশী যা আপনাকে ভূলিয়ে দেবে লোহা আর ইটের নগরী দুঃখ বেদনা আর ব্যস্ততা।
উল্লেখ্য:
যে সপ্তাহের বুধ এবং বৃহস্পতিবার সোনারগাঁ জাদুঘর বন্দ থাকে। জাদুঘরের প্রবেশ মূল্য মাত্র ১০ টাকা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।