মহান সুফি সাধক দ্বয়ের নামের এমন কুদরত বোধকরি তার চরম আশিক বা মুরিদও দেখতে চাননি; নাকি চেয়েছেন? চান বা না চান ঢাকার হযরত শাহজালাল আর চট্টগ্রামের শাহ আমানত, এ দুটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সোনার খনিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ওই দুই খনি থেকে প্রায় নিয়মিতই উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সোনা। ইদানীং এর মাত্রাটা যে হারে বেড়েছে তা বেশ আশাব্যঞ্জকই বটে। কারণ – উদ্ধার হওয়া চোরাই সোনায় রিজার্ভ বাড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। জানেন তো, বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বশেষ ২০১০ সালের ০৭ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ১০ টন সোনা কেনে।
সেই কেনা সোনার সঙ্গে যোগ হচ্ছে পাচারকালে ধরা পড়া সোনা। মানে চোরাই সোনায় বাড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ। বিনামূল্যে পাওয়া এই সোনা আগে নিলাম করে বিক্রি করে দেয়া হত। কিন্ত ২০১১ সাল থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সোনা নিলাম স্থগিত রেখেছে। এদিকে গত বছর বাংলাদেশে অবৈধ পথে এসে আটক সোনার পরিমাণ তার আগের বছর ২০১২-এর চেয়ে ২২ গুণ বেশি।
আবার চলতি বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ-এ তিন মাসে যে পরিমাণ চোরাই সোনা আটক হয়েছে তা ২০১২ সালে সারা বছরের আটক হওয়া সোনার চেয়ে প্রায় নয় গুণ বেশি।
গতকাল, মানে ০৭ এপ্রিল সোনা সংক্রান্ত সাম্প্রতিক বিভিন্ন সংবাদ দেখতে ও পড়তে গিয়ে দুটি লাইনই মাথায় এলো – ‘হায় - ভারতীয় চাহিদায় / সোনার বাংলা ডোবে সোনায় । ’ ওই সোনা হাতাতে হাতাতে, মানে এ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতেই সবার জন্য এই সংবাদ কোলাজটি করার ইচ্ছা জাগে। সময় করে পুরোটায় একবার চোখ বুলালে যে কেউই হয়ত এ বিষয়ে একটি সম্যক ধারনা পাবেন। বিস্তরিত দেখুন - press & pleasure - pap’এ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।