স্থানিক আর লৌকিক ভাববাদী কবি
এখানে যে মগ্ন নৃত্য মাটির কণার সাথে মাটির কণার
অঘোর ঘোরের জন্মোৎসব- তার তীর জেগে ওঠে ঘোর ঘন
অমাবস্যা রাতে। স্বেদ জমে জমে উত্তাপও জমে ওঠে ধীরে
রতিকৃত জলের আগুন। ধুয়ে নিয়ে গেছে স্বেদ স্নিগ্ধতায়
স্বপ্নের আষাঢ়- আমি এই ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে বাঁক থেকে বাঁকে
শাদা শাদা সকালের ঝাপটায় তীরে তীরে আটকা পড়ে গেছি।
কেন এই লাবণ্যের রোদ নুয়ে পড়ে তীরে মগড়া স্রোতস্বিনী,
কী যে ফর্সা রমণী তুমি! ও, আমি এই হতভাগ্যজন্মা- এই
কলহাস্য দেখি। ঋতুকালে আষাঢ়ের ভেক, রক্ত-স্নায়ুময়
পাহাড়ি উজান থেকে নেমে আসা পূর্বসূরি আগুনের ঢল
মুহূর্তে ভাসতে শেখে সীমাহীন মৃত্যু অপচয়ে- তীরে তীরে
দীর্ঘ দীর্ঘ পথ জমে চকচকে প্রাণস্পন্দ ফসিলের মণি।
জমা মোহন- আগুন-কী ফর্সা রমণী- মগড়া স্রোতস্বিনী
আগুন জ্বালিয়ে ঘরে সব তাপ ফোঁটা ফোঁটা করে সব ত্বকে
ঠোঁটে-ঘ্রাণে, কোথায় কোথায় ধারণ করতে চাই! হে বিধাতা
আমাকে বিচ্ছিন্ন সবুজ পৃথিবী দাও আর এটুকু সাধ্যের
ছিটেফুঁটো- আমি তার লাবণ্যের বিচ্ছুরিত ক্ষীণ কণাটিও
ঘোর-স্বপ্ন অদেখা আড়ালে মুহূর্তেও হারাতে চাই না আর।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।